এলো মেলো মন ভাবে শুধু তোমায় মন....মোবাইলে দিনার কল, রিসিভ করতেই অপর প্রান্তে দিনা মিষ্টি কন্ঠে ভেসে এলো কানে.....তুমি কী এখনো ঘুমাচ্ছো?
না, এই তো বিছানায় শুয়ে আকাশ পানে তোমায় ভাবছি....
ও তাই....
জ্বি হাহা....হৃদয়ের রাজকণ্যা
তাই নাকি.....
বিশ্বাস হয় না.....
না, হয় না....
আকাশ...পহেলা বৈশাখের জন্য কিছু কেনাকাটা করবো। তাড়াতাড়ি আসো...মার্কেটে যেতে হবে।
দিনা, অপেক্ষা করতে পারে না। তাড়াতাড়ি বিছানা ছেড়ে দে ছুট.....
দিনা সাথে মার্কেটে যাওয়া মানে আমি শেষ। মেয়েরা যে এতো মার্কেটে ঘুড়তে পারে.........
তবে আমার দিনার সাথে ঘুরতে মহা আনন্দ পাই। পহেলা বৈশাখের জন্য দিনাকে আমি সাদা-লাল রংয়ের জামদানি কাপড় গিফট করলাম। আর হাতের লাল চুড়ি, মাটির গহণা আর লাল টিপ। যদিও আমি টিপ পছন্দ করি না। তুবও দিলাম। দিনার জন্য কিছুই না করতে পাড়ি না।
দিনা, আমার জন্য ওর জামদানির সাথে মিলিয়ে কিনে নিলো একটি ফতুয়া। পহেলা বৈশাখে আমরা ঘুরবো সারাদিন...দু'জন হয়ে যাবে শুধুই দু'জনার। আমরা হারিয়ে যাবে ভালোবাসার উত্তাল সমুদ্রে ...... দিশাহীন পাল তুলা নৌকায়.....আসুক না ঝড় অথবা কালবৈশাখী। মরবো দু'জন ভালোবাসার মাতাল সূধা পানে। এলোমেলো বাতাসে দিনার চুল আছড়ে খাবে আমার গায়। দু'নয়নে অপলক তাকিয়ে থাকবো হাতে হাত রেখে। দিনার মেহেদী রাঙ্গা হাত ছুঁতে ব্যাকুল থাকবে আমার মন। দিনা.....ভালোবাসায় আবেশে জড়াবে আমায় আর আমি গাইবে ভালোবাসার গান।
দিনা, পহেলা বৈশাখে খুব ভোরে আমায় ঘুম থেকে উঠাবে...প্রতিদিনই ওর কন্ঠ শুনো আমার ঘুম ভাঙ্গে। পহেলা বৈশাখে ও তাই করলো। আমি ঘুম থেকে ওঠে তৈরী হয়ে গাড়ি নিয়ে রওনা হলাম। দিনা একা হয়তো দাড়িঁয়ে থাকবে তাই তাড়াহুড়া শুরু করে দিলাম। গাড়ি থেকে দিনাকে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে, দিনা রাস্তার ওপাশে দাড়িয়ে। আমি বিপরীত লেনে গাড়ি থামালাম। দিনা চলো এসো.....আওয়াজ দিলাম।
দিনাকে সাদা-লাল জামদানি শাড়িতে দারুন মানিয়েছে......অপূর্ব.....এতো সুন্দর! কপালো লাল টিপ, হাতে আমার দেয়া লাল চুড়ি........চুলের খোপায় লাল টকটকে গোলাপ.....গলায় লাল রংয়ের পাথরের মালা। ঠোটে হাসির ঝিলিক। ওর সৌন্দর্যে আমি আজ পাগল হয়ে যাবে।........
দিনা............................................................................................
বিছানা থেকে পড়ে গেলাম, ঘুম ভেঙ্গে গেলো। সারা শরীর ঘামে ভিজে গেছে। বাহিরে ধমকা বাতাস বইছে.....বৃষ্টিতে মেঝে ভিজে গেছে। রাতে জানালাটা বন্ধ করা হয়নি। ভয়াবহ দুঃস্বপ্নে আতঁকে ওঠে বড্ড তৃজ্ঞা পেয়েছে। রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে দিনা গাড়ি চাপা পড়ে...কী ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন। স্বাভাবিক হবার চেষ্টা করি অস্বাভাবিক এই আমি।
প্রিয় দিনা, আজ তুমি নেই। আসছে পহেলা বৈশাখ.......
এবারও তুমিহীন কাটবে বৈশাখ। আমাদের ভালোবাসার তরী আর ছুটবে না ভালোবাসার জোয়ারে উত্তাল সমুদ্রের মাঝে। তোমাকে না দেখার পর্বে ঘোগ হবে আরো একটি নতুন বছর। নববর্ষে পড়া হবে না তোমার দেয়া কোনো ফতুয়া। আইসক্রীম খাওয়ার ধুম পড়বে না আর।
দিনা...............ভালো থেকো, অনেক.....অনেক। মনে রেখো না আমায়...আমার ভালোবাসা।
রাজ্যের সব সুখ ভিড় করুক তোমার নিকটে আর দুঃখ-দুঃস্বপ্ন-যন্ত্রণার জ্বালাময়ী আগ্নেয়গিরি অনন্তকাল জেগে থাকুক আমার ভালোবাসাহীন হৃদয় গহীনে।
..................................নীরবে হায়..এ মন যে হারিয়ে যায়
..................................জানি না সে কোন স্বপ্নের সীমায়
..................................এলো মেলো মন ভাবে শুধু তোমায় আজ

আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাধু সাবধান
বেশ হতবাক হয়ে চেয়ে রইলাম খবরটার দিকে । চাল ডাল মাংসের স্বাধীনতা চাওয়া শীর্ষক খবর ছাপানোর অপরাধে সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে ।... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগার জুল ভার্ন এর চলে যাওয়া ও কিছু ক্ষোভ
ছবিঃ pinterest
জুল ভার্ন ভাইয়ের চলে যাওয়া উপলক্ষে এই কথাগুলো।
আমি অনুজ তাই অগ্রজদের নিয়ে বলছিনা কিছুই। একটা পরিবারে যদি বাবা মার ভেতর সুসম্পর্ক না থাকে তাহলে সন্তানের মানসিকতার উপর বিভক্ত রেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন
জুল ভার্নের প্রতি
জুল ভার্ন বিদায়েতে নক্ষত্র পতন
ঘটলো ব্লগের রাজ্যে। হতবাক সব
সুবোধ ব্লগার বৃন্দ; করে অনুভব
তারা তাঁর সুবচন হারানোর শোক।
রতন কথনে ভরা ছিল যাঁর মন
তাঁর অনুপস্থিতির বেদনা নিরব
যন্ত্রণা বিস্তারে খুব।যতটা সম্ভব
বিলাতেন... ...বাকিটুকু পড়ুন
একজন ব্লগারের বিষাদময় প্রস্থান ও কিছু কথা
ব্লগার জুল ভার্ন এর ব্লগ ছেড়ে যাওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাঁর মতো গভীর বোধ এবং তা প্রকাশের দক্ষতা খুব কম ব্লগারেরই আছে। সেদিক বিবেচনা করলে ব্লগ তার ঐশ্বর্যকে হারালো। যদিও... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রসঙ্গ ব্লগার 'জুল ভার্ন'
আমি প্রথমেই বলতেই চাই-
শ্রদ্ধেয় জুল ভার্ন আপাতত সামুতে নেই। এজন্য বেশ কয়েকজন ব্লগার জোরজবরদস্তি করে শ্রদ্ধ্যেয় চাঁদগাজীর উপর দোষ চাপাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। ইহা দুঃখজন। এবং নিম্মমানের আচরণ। আমরা... ...বাকিটুকু পড়ুন