নাগরিকপঞ্জী, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে উত্তাল গোটা ভারত, যার ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে বাংলাদেশেও।
নাগরিকপঞ্জী, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এ দুটি জিনিস নিয়ে অমি শাহ তথা ভারত সরকার যা করছে তা মুলত আগুন নিয়ে খেলা নয়, দাবানলের ওপর দাড়িয়ে নৃত্য করার মত।
১. স্বাধীনতার ৭২ বছরেও কেন ভারত এর সরকার গুলো পারলো না একটা সুনির্দিষ্ট, নির্ভেজাল নাগরিকপঞ্জী করতে? এ দায় ভারতের। কারন তারা প্রযুক্তিগত ভাবে এতোটাই দুর্বল যে তাদের সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ডেটাবেজ (আধার)হ্যাক হয়ে সাধারন নাগরিকের তথ্য বেহাত হচ্ছে হরহামেশা।
২. সারা ভারত সীমান্তে মাইলের পর মাইল জুড়ে কাটাতারের বেড়া, ফ্লাডলাইট, ক্যামেরা এবয় বিএসএফের ২৮ ঘন্টা পাহারার পরও কি করে অবৈধভাবে মানুষ ভারতে অনুপ্রবেশ করতে পারলো? এ প্রশ্নের উত্তর কি মোদী-শাহ দের কাছে আছে?
৩. যে মানুষগুলোর নাম চুড়ান্তভাবে তালিকা থেকে বাদ পড়বে তখন তাদেরকে নিয়ে ভারত সরকার কি করবে? কোথায় পাঠাবে? কোন দেশই তো তাদের নেবে না।
৪. দক্ষিন এশিয়ায় একমাত্র বাংলাদেশই একমাত্র দেশ ছিল যে কিনা ভারতের সকল আবদার অকাতরে পুরন করে গেছে। নাগরিকপঞ্জী, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সেই দেশটির সাথেও সুসম্পর্কে মোটা কালো দাগ টেনে দিচ্ছে। যা কিনা ভারতকে একেবারে বন্ধু-প্রতিবেশীহীন করে তুলবে। এটা কি মোদী-শাহ একবারও ভেবেছে? ভারতকে দুদিক থেকে পাক চিন সারাক্ষন নির্ঘুম করে রেখেছে, নেপাল - ভুটানও ক্রমশ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের কাছ থেকে বন্ধুত্ব হারালে সমুদ্র ছাড়া আর কেউই ভারতের পাশে থাকবে না। ভারত এমন নয় যে আমেরিকা-ব্রিটেন কিংবা চিনের মতো শক্তিশালী দেশ যারা একাই একশো।
তাহলে কেন এই আত্মহননের তাগিদ!
এই সহজ বিষয়গুলো আমাদের মতো সাধারন মানুষ বোঝে কিন্তু ঝানু রাজনীতিবিদ মোদী শাহ রা কেন বুঝে না?
ভারত সরকারের হাতে এখনো সময় আছে এই ভুল পথ থেকে বের হয়ে আসার। হিন্দু-মুসলিম সকলে যারা ইতিমধ্যে নাগরিকত্ব পেয়ে গেছে তাদের আর বাদ না দিয়ে বরং এই মুহুর্ত থেকে যেন আর কারো নাম কঠোর যাচাই-বাছাই ছাড়া ভোটার লিস্টে না ওঠে। সীমান্ত যেন আরো নিশ্ছিদ্র হয়। আর হ্যা তিনটি দেশের অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দিতে চায় তা তারা দিতেই পারে। সেটা তাদের ব্যাপার।
------ মতামত লেখকের একান্ত ব্যাক্তিগত।