চির বিদায় নিয়ে চলে গেলেন ভাষাসৈনিক এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আহমেদ আলী ।মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর ।তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।শুক্রবার রাতে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে আহমেদ আলী মারা যান।
অ্যাডভোকেট আহমেদ আলীর মেয়ে আইরিন আহমেদ গণ মাধ্যমকে জানান, অ্যাডভোকেট আহমেদ আলীর প্রথম জানাজা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাজলিয়া গ্রামে তাদের বাড়িতে হবে। পরে আসরের নামাজের পর কুমিল্লা টাউন হল মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে শাসনগাছা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।অ্যাডভোকেট আহমেদ আলী ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গণপরিষদ নির্বাচনে বৃহত্তর কুমিল্লা-৫ বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসন থেকে এমএলএ নির্বাচিত হন।
আহমেদ আলী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থে শেখ মুজিবুর রহমান উল্লেখ করেছেন দেশের পূর্ব- দক্ষিণাঞ্চলে গেলে তিনি আহেমদের বাসায় বিশ্রাম নিতেন। বঙ্গবন্ধু সেখানে আইনজীবী ও ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সক্রিয় কর্মী অতিন্দ্রমোহন রায়ের সাথে গল্প করে সময় কাটাতেন।সে থেকেই আহমেদ আলীর পারিবারিক বাসস্থান কুমিল্লা অঞ্চলের প্রাচীন রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পায়। বৃত্তহত্তর কুমিল্লাজেলা আওয়ামী লীগের প্রথম প্রশাসক এবং ১৯৫৩ সালে কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে আহমেদ আলী বাংলাদেশের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ৮ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে কুমিল্লা জেলা পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত তিনি প্রথম মুক্তির বিজয়ী পতাকা উত্তোলন করেন। কুমিল্লা জেলার বার কাউন্সিলের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ঢাকা বার কাউন্সিলের প্রথম নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন আহমেদ আলী।
তার প্রকাশিত বই
আহমেদ বাংলাদেশের রাজনীতির ওপর বই রচনা করেছেন- উল্লেখযোগ্যগুলো হলো-
(*)আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার ইতিকথা
(*)সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জীবন ও সাধনা
(*)স্বাধীনতা উত্তর আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব’
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৯