১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বে ৫ কোটি মানুষ মারা যায়। তখন সাধারণ মানুষের মধ্যে সার্জিকাল মাস্ক ব্যবহার শুরু হয়। কাগজ বা কাপড়ের তৈরি সাদা, নীলচে বা সবুজ রঙের যেসব সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক ওষুধের দোকানে পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করলে রাস্তায় ধুলা আর ধোঁয়া থেকে কিছুটা রেহাই মিলতে পারে।
তবে এসব মাস্ক বাতাসে ভাসমান ভারী বস্তুকণা ঠেকাতে পারে না। ভারী বস্তুকণা আটকাতে পারে এরকম সবচেয়ে জনপ্রিয় মাস্ক হল এন ৯৫, যার দাম বাংলাদেশে একশ থেকে তিনশ টাকা। এই মাস্ক ২.৫ পিএম (পার্টিকুলেট ম্যাটার) আকারের ভারী কণার ৯৫ শতাংশ আটকে দিতে পারে। ভাইরাসের ব্যাস ০.৩ মাইক্রন পর্যন্ত হলেও তা ঠেকিয়ে দিতে পারে। কিন্তু করোনাভাইরাসের ব্যাস মাত্র ০.১২ মাইক্রন যা এই মাস্ক কোনভাবেই ঠেকাতে পারবেনা!
বাংলাদেশে সার্জিক্যাল মাস্কের পাশাপাশি গেঞ্জি বা সুতি কাপড়ের তৈরি এক ধরনের মাস দোকানে বা ফেরি করে বিক্রি হয়, যা মানুষ একটানা কয়েকবার এবং ধুয়ে ধুয়ে বেশ কিছুদিন ব্যবহার করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনো মাস্ক টানা কয়েকদিন ব্যবহার করলে তা উল্টো আরও ঝুঁকি বাড়াতে পারে। অপরিষ্কার ওই মাস্কই হয়ে উঠতে পারে জীবাণুর বাসা।
বেলফাস্টের কুইনস ইউনিভার্সিটির এক্সপেরিমেন্টাল মেডিসিন বিষয়ের গবেষক ড. কোনোর বামফোর্ড বিবিসিকে বলেন, সাধারণ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এ ধরনের ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। যেমন হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে ফেলতে হবে, তারপর সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে হাত। সাবান ও গরম পানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধুলে জীবাণু থাকার ঝুঁকি কমবে। আর না ধোয়া হাত যেন কোনোভাবেই মুখ, চোখ বা নাকের সংস্পর্শে না যায়।
বাঁচতে হলে জানতে হবে সুস্থ জীবনযাপনের সাধারণ নিয়মগুলোও মানতে হবে।
জনস্বার্থে : কাট পেস্ট ও এডিটেড।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৪