সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে কিছু কিছু জিনিসের বয়স বাড়ে। আর বয়স বাড়ার সাথে সাথে আশা করা হয় পরিপক্কতা। সেদিক থেকে ৫ ফেব্রুয়ারিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ আজ পনের দিনের যুবক। যারা এর সমন্বয়ের দ্বায়িত পালন করছেন ঢাকার শাহবাগ চত্বরে তাদের গৃহিত বেশ কটি কর্মসূচি সার্বজনীনতা পেয়েছে। তিন মিনিটের স্তব্ধতা, মোমবাতি প্রজ্জলন, একযোগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারন।
এই সব কর্মসূচি সফল হওয়ায় দ্বায়িত বেড়েছে আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের। তাই পর্ববর্তী কর্মসূচি যতটা সাবধনতার সাথে নেয়া যায় ততটাই ভালো। আজ এই আন্দোলনে ছেলে মানুষীর আর কোন সুযোগ নেই। শহীদের উদ্দেশে চিঠি লিখে বেলুন উড়িয়ে দেবার কর্মসূচি ছেলে মানুষী নয় কি। আমরা ধর্মভিত্তিক উর্গ জঙ্গীবাদে বিশ্বাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। কিন্তু ধর্মীয় আচরণের বিরুদ্ধে যেন আমাদের অবস্থান-এমন না হয়। তাহলে এই আন্দোলন নিয়ে সংশয় জাগবে। এবং---
চিঠি লিখে বেলুন উড়ানোর কর্মসূচি বাতিল করে প্রজন্ম চত্বর সহ সারাদেশে শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় সর্ব ধর্ম প্রার্থনার কর্মসূচি গ্রহণের আহ্ববান জানাই।
বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক...
জয় বাংলা।