গল্পটা বহুদিন ধরে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল। গল্পটা একটা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের। ঘরানায় থ্রিলার। বাংলাদেশে থ্রিলার ঘরানায় খুব বেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় না।
একটা গল্প মাথার মধ্যে ফুলের মতো করে ফুটতে থাকে। একেকটা অংশ যেন একেকটা ফুলের পাপড়ি। প্রথমে কলি। তারপর এক সময় ফুল হয়ে ফুটে ওঠে। এই গল্পটাও মাথার ভেতর ধীরে ধীরে ফুল হয়ে ফুটছিল। মাথার ভেতর গল্প জন্ম নেয়ার এই সময়কালটা অনেকটা গর্ভধারণ করার মতো্ । প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগের। এক সময় বোঝা যায়, পুরো গল্পটি ফুল হয়ে ফুটে গেছে। এবার তাকে লেখার দোলনায় শুইয়ে দেবার পালা।
এই গল্পটা প্রথম যখন ফুল হয়ে ফুটল আমি তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে থাকলাম। তার সুগন্ধে মোহিত হয়ে থাকলাম। একটা ঘোরের মধ্যে কেবল ফুলের পাপড়িগুলোর স্নিগ্ধ সৌন্দর্য আমাকে তাড়িয়ে বেড়াতে লাগল। মনে হল, একটা ঘোরের মধ্যে আমি কেবল গল্পটাকে দেখি আর দেখি। তার সৌন্দর্য উপভোগ করি।
সিনেমা বানানো এই রকম ঘোরগ্রস্তের কাজ নয়। সিনেমা একটা বাস্তব জিনিস। ওতে অভিনেতা অভিনেত্রী লাগে। ক্যামেরা লাইট লাগে। ক্যামেরার পেছনে অনেক লোক পরিশ্রম করে। তারপর একটা সিনেমা আলোর মুখ দেখে।
আমার এই প্রিয় গল্পটা দিয়ে একটা সিনেমা বানিয়ে ফেলেছি। তারপর যথারীতি ওটা ইউটিউবে আপলোডও করেছি। যারা সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন, তারা নিদ্বির্ধায় দেখতে পারেন। বলতে পারি, দর্শক হিসেবে নিরাশ হবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০১