মেয়েটি যখন বাইক লইয়া শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করিয়া বাইকখানি পার্কিং করিতে গেল, একদল যুবক "জয় শ্রীরাম" বলিয়া চিৎকার করিয়া উঠিল। ভয় না পাইয়া মেয়েটি "আল্লাহু আকবার" বলিয়া চিৎকার করিয়া উঠিল। সবাই তাহাকে বাহবা দিল। ভারতীয় একটি মুসলিম সংগঠন তাহাকে পাঁচ লাখ রুপি দিল। বাংলাদেশ থেকেও কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ঘোষণা করিলেন তাহাকে পুরস্কৃত করা হইবে।
খলিফা এরদোয়ানও না কি ভারতকে হুঁশিয়ারি করিয়া বলিয়াছেন, মেয়েটির কিছু হইলে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিবেন। যাহোক, মোটামুটি দেখা গেল ভারতের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষও মেয়েটির পক্ষে। কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তো বলিলেন, মেয়েদের বিকিনি, হিজাব ও বোরখা পরার অধিকার আছে। সুশীল সমাজও এমন বলিতেছে।
আচ্ছা, বিকিনি কি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশে পরার বিধান আছে? সে না হয় বাদ দিলাম। বিকিনি পরে দুষ্টু মেয়েছেলেরা। উহারা ছেলেদের বিপথগামী করিতে চায়। এখন কথা হলো, কোনো হিন্দু, শিখ বা অন্যান্য সম্প্রদায়ের মেয়েরা যদি স্ব স্ব ধর্মীয় পরিচ্ছদ পরিধানপূর্বক শিক্ষাঙ্গনে যায়, কর্তৃপক্ষ বা সুশীল সমাজ কী বলিবে?
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ড্রেস কোড থাকে, তাহাই মানা বাধ্যতামূলক। মেয়েটি যদি মাদ্রাসায় পরিত তাহার ড্রেস কোড লইয়া কাহারও ঝামেলা হইত না। তাহা সত্ত্বেও সে কেন ইহুদি-নাসারাদের প্রতিষ্ঠানে পড়িতে গেল, সেটা বোধগম্য হইতেছে না। আল্লামা শফি বলিয়াছিলেন, মেয়েদের চতুর্থ শ্রেণির অধিক পড়া আবশ্যক নহে। এখন প্রশ্ন হলো, এই বালিকা কি সহি সালামতে ধর্ম পালন করিতেছে? মেয়েদের কি উচ্চ স্বরে কথা কহিবার অধিকার আছে? তাহা ছাড়া মেয়েটি মাহরাম ছাড়া বাহিরে বাহির হইয়াছে; ইহা কি ধর্ম সম্মত?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪৩