somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নাকি সমাজের উদারতা অথবা পতিতালয়ের পুনর্নির্মান।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ধর্ষণ মূলত:একটি সামাজিক সমস্যা এবং ব্যক্তির নিজস্ব চেতনা ও রাষ্ট্রের সহযোগে তার সমাধান খোঁজা প্রয়োজন। প্রশাসন,সুষ্ঠু বিচার তাকে কিছু অংশে রোধ করতে পারে, কিন্তু একেবার বন্ধ করতে হয়ত পারবে না। সবাই বলছেন সুষ্টু বিচারের অভাব,দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া, এবং শাসকদের ক্ষমতালোভী অনৈতিক রাজনীতির সাথে ওইসব ধর্ষকদের সংশ্রবের কারণেই ওরা এমন বেপরোয়া । অসহায় এক নারীকে বলাৎকার করে মানবতার অপমান নিশ্চয়ই। কিন্তু পাপীর সাজা দিলেই পাপ বন্ধ হয়ে যাবে এমন কখনও হয় না।

প্রতিকারের নানারকম প্রপোজাল আসছে। কেউ বলছে ধর্ষকদের রোমহর্ষক শাস্তির দৃষ্টান্তের কথা বলছে। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস তেমন প্রকাশ্য শাস্তি হলে জীবনেও কেউ ধর্ষণ করতে সাহস করবে না। আইন মন্ত্রী বলছেন ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ড রেখে আইন পাল্টান হবে। মৌলবাদীরাও খুশী। তাদের অনেকেই জেনার শাস্তিরও ফতোয়া দিচ্ছে। আবার হেফাজতীরা তো ঘোষণাই দিয়ে ফেলেছেন মেয়েদের পর্দা করার জন্য বোরকা বাধ্যতামূলক করতে। সমাজ পূতপবিত্র রাখার এটাই একমাত্র সহি তরিকা।

নিশ্চয়ই পাপের দায়ভার শুধ পাপীরই একার নয়,এর সাথে শাসক,অসৎ রাজনীতি,সমাজ তার সংস্কার, অনেক কিছু জড়িয়ে। শুধু পাপীর শাস্তি একে রোধ করা যাবেনা । ধর্ষণ একটি সামাজিক সমস্যা,সমাজের একটা বড় ভূমিকা আছে। আমরা ব্যক্তিকে দোষ দিই। চুরি করলে হাত কেটে দিলেও চুরি বন্ধ হবে না, যতদিন সমাজে অসাম্য থাকবে,দারিদ্রতা থাকবে।

মানুষের বাঁচার যেসব 'বেসিক ইন্সটিনকট্' ,তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে ক্ষুধার জন্য খাদ্য। আর তার পরেই আসে যৌনতা। মানিক বন্দোপাধ্যায়ের সেই 'প্রাগৈতিহাসিক' গল্পটা নিশ্চয়ই মনে পড়বে। সেই ভিখারিটা ,যার ক্ষুধা মিটবার পরই যে খুঁজতে যায় নুলো ভিখিরিনীটাকে পরম আদিমতায়। বলা হচ্ছে আমাদের ‘চরম দারিদ্রতা কমেছে’- আমরা মধ্য আয়ের দেশে। তার মানে আমাদের না খেতে পেয়ে মরার মত অবস্থা নেই।খাদ্যের ব্যবস্থা করা গেছে সকলের। এবং তা যদি সত্যি হয় ,তো মানুষ এখন সে তার জৈবিক ক্ষুধা মিটাতে চাইবে। কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব? সবাই কি দারিদ্রতার গ্রাফ এমনি উচ্চতায় নিয়েছে যে তার যৌনতাকে এর জন্য সমাজ স্বীকৃত একমাত্র উপায় হিসেবে বিয়ে করে ঘর সংসার করবে ? হয়ত সামর্থমত অনেকে করছে।

কিন্তু যারা পারেনি সে কি করবে? শুধু তো তাই না,মানুষ এখন বিয়ে করে দেরীতে, অর্থনৈতিক কারণে,ক্যারিয়ার তৈরি করতে যৌবনই ঝরে যায় ,কিন্তু প্রাকৃতিক ভাবে ঠিক সময়েই যৌনতা তাকে বারবার হানা দেয়, তখন সে কী করবে? লক্ষ লক্ষ কর্মজীবী মানুষকে দিনের পর দিন ঘর ছেড়ে বাইরে থাকতে হয় কার্যোপলক্ষে, তখন সে কি করবে । বহু যুবকের কিন্তু ঘর বানাবার সামর্থ নেই, সংসার চালানোর মত টাকা জমেনি, অন্যদিকে প্রেমিকও জোটেনি, হয়তো নেই, চাকরীও হয়তো যোগাঢ় করতে পারেনি যে ' বেলা বোস' কে টেলিফোনে বলবে । তখন তার এই দ্বিতীয় বেসিক ইন্সটিনকট্ মিটবার উপায় কি হবে?

এখানেই সমাজের কথা আসে। সমাজ তার কি উপায় করছে। আমার ধর্ম বলছে নিজেকে সংযত রাখ,চোখ নীচে নামিয়ে চল, খৃষ্টধর্ম উপদেশ দেয় স্বমৈথুন কর,বৌদ্ধরা বলছে যৌনতাকে অবদমন কর, ভারত বলছে ব্রম্ম্যচর্য পালন করো, চীনা দার্শনিক বলেন, ঠান্ডা জলে স্নান কর। পুরুষ মানুষের গভীর রাতে স্বপ্নদোষে পায়,এইটা যে স্বাভাবিক সেই আমাদের স্কুলে এই শিক্ষাও পায় না, কখনও আত্মমৈথুনে অভ্যস্ত হয়। কিন্তু তখন তার এক অপরাধ বোধ কাজ করে, তাকে কেউ বলার নেই যে মৈথুন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ,কখনও স্বাস্থ্যকরও বটে ,ব্যক্তি ও সমাজেরও।

কিন্তু এগুলো সেই নৈতিকতা, যা আমরা সবাই জানি,কিন্তু পালন সম্ভব কেবল মা্ত্র ফেরেশতাদের এবং অতিমানবিক চরিত্রবানদের ।পার্থিব আম জনতার দরকার কিছু বাস্তব পদক্ষেপ। আমাদের কারিকুলামে যৌন শিক্ষা নেই। আমাদের সামাজিক জড়তা ভাঙ্গেনি। তারপর আজ এই মুক্ত আকাশ সংস্কৃতির যুগে,মোবাইল, ইন্টারনেট,ডিশ,নেট তাকে প্রতি নিয়ত উত্তেজিত করছে। কিন্তু তাকে নিবৃত করার কোন উপায় সমাজ রাখেনি। এখানে তার জন্য কোন খোলা আকাশ নেই।

নরনারীর জীবনে যে স্বাভাবিক প্রেম ভালবাসা, তা করতেও সমাজে শত বাঁধা । পার্কে বসতে পুলিশ এসে চুল কেটে দেয়,নইলে স্বপ্রনোদিত শরীয়া মাস্তান এসে বিয়ের সার্টফিকেট দেখতে চায়। কোথায় যাবে? ছেলেমেয়েরা একত্রে একটু আনন্দ করবে,ভাল লাগলে মিশবে, বলবে কিছু,-কিন্তু সেখানে শত বাঁধা সমাজের। সে সব বন্ধ, অথচ এটাই তো স্বাভাবিক। আর সমাজটা যদি উদার হতো, ছেলেরা ভাললাগার মেয়েটিকে ফুল নিয়ে প্রপোজ করার বিরুদ্ধে সামাজিক টাবু গুলো যদি না থাকত,তবে টিসিং এত উগ্র হতো না,তাকে বন্ধ করার জন্য আইনও লাগতো না । আমরা ছেলেমেয়ের মধ্যে মেলামেশা বন্ধ করে ভাবি তাতেই সব বন্ধ হবে, চোখ বন্ধ করলেই যেন প্রলয়ও( প্রেমও) যেন থেমে যাবে ।

যৌনতার প্রকাশ, তার চাহিদা স্বাভাবিক,প্রাকৃতিক। তার শিক্ষিত স্বাস্থ্যবিধিসম্মত বিকাশ না পেলে সে বিকৃত পথ ধরবে। এরই অবধারিত ফল ধর্ষণ। কখনও যৌনতার বিকাশ সাহিত্য সংস্কৃতি খেলাধুলাসহ,নানা সৃষ্টিশীল প্রকাশের মাধ্যমেও হতে পারে। মানব সংস্কৃতির নানাভাবে তাকে প্রস্ফুটিত করা যায়। অবদমন থেকে চিরকালীন সাহিত্যও সৃষ্টি হয়, কালিদাস ,তার প্রমান। সাহিত্য সংস্কৃতি সঙ্গীত চর্চা ও খেলাধূলার চর্চা ছেলেমেয়ের মধ্যে পারস্পরিক জানা শুনা হয়,আদান প্রদান, তাতে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বাড়ে। একটি ছেলে ও মেয়ের মধ্যে পারস্পরিক হাতের স্পর্শও বহু ধর্ষণ রোধ করতে পারে । প্রেমের মধ্য ধর্ষণ নেই।

কিন্তু ধর্ম বলছে, সমাজ বলছে ,প্রেম করা অবৈধ,কেবল চুক্তি করলেই প্রেম করা জায়েজ। গান গাওয়া হারাম, মেয়েদের গলার স্বর যেন পুরুষ না শুনতে পারে, কবিতা যারা চর্চা করে এবং যারা অনুসরণ করে তারা বিভ্রান্ত, ছবি আঁকাও হারাম , জীবজন্তু প্রাণীর ছবি চলবে না শুধু নিষ্প্রাণ ইটপাথর আর নইলে বিমূর্ত ক্যালিগ্রাফী । সাহিত্য চর্চাও নয়,কারন তা পরকিয়ায় প্রলুব্ধ করে।তাহলে রইল কি?

কিছু বিদ্রোহী মানুষ তবু এসব নিষিদ্ধ চর্চা করতে নাচ-গানের স্কুল করেছে, মধ্যবিত্তের,রবীন্দ্র নজরুল চর্চা, কখনও ছায়ানট, নয় বাফা ,কখনও কফিহাউস এর কাব্য ।কখনও কোথাও হয়তো বা খেলারমাঠ, জিমনেশিয়াম । কিন্তু সবই একটা অপরাধবোধ নিয়ে, যে ওইসব করা খারাপ। পরে কিছু মাফ চেয়ে নিলেই হবে। অথচ আমাদের প্রকৃতির মধ্যে আছে কলসিন্দুরের মেয়েদের ফুটবল, ধানসিঁড়ির জীবনানন্দের কবিতা। কিন্তু সবাই কি তার সুযোগ পায়? না আছে সেই অবকাশ? সেই খোলা মাঠ ?

সবচাইতে বড় প্রশ্ন সুযোগই বা আমাদের সমাজে কতটুকু আছে এবং সব শ্রেণি কি তার চর্চার সুযোগ পায়। উচ্চ ও মধ্যবিত্ত যতটুুকু পায়, নিম্নবিত্ত বা বিত্তহীনরা ?,তাদেরও জীবন যৌবন আসে,তাদের সংস্কৃতি চর্চা,খেলার মাঠ ?হায়, তাদের জন্য এ সবই বিলাসীতা।

খেলাধূলা সংস্কৃতি চর্চায় যেসব সমাজ এগিয়ে তাদের এই সমস্যাও নাই যদি নাও হয় ,অনেক কম। কারণ এইসব ক্ষেত্রগুলোয় মানুষের মাঝে মেলামেশা হয়, আদানপ্রদানের মাধ্যমে মনের আবেগ প্রশমিত হয়,প্রলম্বিত হয়। আর চাপা দিয়ে রাখলে ছাই চাপা আগুনের মত , সামান্য যৌনতার ইঙ্গিত তা দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। ধর্ষনের এটাও কারণ। সহজ মেলামেশার স্থান গুলোও নাই। বহুজনকে বলতে শুনেছি তারা একটা জায়গা পায় না একটু হাত ধরে নিভৃতে বসে বলতে পারে---' আজকে শুধু একান্তে আসীন, চোখে চোখে চেয়ে থাকার দিন'।

তাও যতটুকু আছে সেখানে আরেক সমস্যা, ছেলেমেয়েদের আলাদা করা পৃথকীকরণ, সেগ্রেগেশন । কারণ হুযুররা বলেন পুরুষরা আগুন আর মেয়েরা মোম । আগুনের কাছে গেলে মেয়েরা গলে যাবে। অতএব আলাদা কর , পার্থক্য কর । কিন্তু আমি বলি আরও যোগ কর ,প্রাণে প্রাণে যোগ। তাহলেই মানুষের বলাৎকারের ঝোঁক অনেকটাই কমবে।

সাম্প্রতিক কালেই আমাদের বিভিন্ন শিক্ষাকেন্দ্রেও গুরুজনেরা যে হারে ছাত্রছাত্রীদের উপর চড়াও হন,তাতে বোঝা যায় তাদের এই নারী পুরুষের মধ্যেকার পৃথকরাখার দৃষ্টিভঙ্গীও কোন কাজে আসছে না,বরং পৃথকীরকরণের কালচার থেকে বেরিয়ে সহজ সম্পর্ক স্থাপন করতে পারলে এসব কমে যাবে হবে। আলোর প্রকাশই অন্ধকার দূর করে। যাকে চাপা দিয়ে নিষিদ্ধ করে রাখি তাতেই আগ্রহ বাড়ে।

এসব গেল সাংস্কৃতিক ও মানবিক দিক। আরেকটি উপায় যা পার্থিব মনুষ্য সমাজে বহুদিন ধরেই আছে, বহু সমাজবিদরাই তাকে একটি সমাধান ভেবেছেন তা হলো যৌনতা নিবৃত্তির রাষ্ট্র স্বীকৃত নির্দিষ্ট অঞ্চল,যাকে বলা 'রেড লাইট এরিয়া। এই বিশেষ অঞ্চল এবং তার জন্য নির্দ্রি্ষ্ট মানুষ নানাভাবে সবকালেই ছিল। প্রাচীন ভারতে সেবাদাসী থেকে মোঘল আমলের বাঈজী সংস্কৃতি,ইরানে মুতা বিবাহ সবই প্রকান্তরে একই ।ইউরোপসহ বহু দেশে পতিতাবৃত্তি লিগ্যাল,এবং প্রায় সমস্ত বড় শহর বা উপশহরে নির্দিষ্ট অঞ্চলে সরকারের তত্তাবধানে সেসব চালান হয়। উপমহাদেশে ঔপনিবেশিক আমল, বা স্বাধীনতার পর পাক আমলেও এমন এলাকা ছিল।
কিন্তু বাংলাদেশের আশির দশকে কিছু শুদ্ধাচারীরা দলবেধে সেইসব অঞ্চল,তাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে ফেলে । কিন্তু তার ফলে কি এসব রোধ করা গেছে? বরং তা সমাজের বাইরে থেকে এসে একেবারে অন্দরমহলের ভেতরে বাসা বেঁধেছে। নিষিদ্ধ অঞ্চল থেকে তাদের নামিয়ে ফেলেদেয়া হলো প্রকাশ্য রাস্তায়। ফলে এখন তার খেসারত দিচ্ছে বেগমগঞ্জের নারীরা।

বিষয়টি কিছুটা বিতর্কিত, হয়ত মানবিকতারও পরিপন্থি। তবু এটি বাতিল কোন বিষয় নয়,যদিও সর্বজনসম্মত নয়। বিশিষ্ঠ বুদ্ধিজীবী,বিখ্যাত হলিডে পত্রিকার প্রয়াত সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ খান এই ব্যাপারে অনেককাল আগে ইংরেজি সাপ্তাহিক 'হলিডে'র এক উপসম্পাদকীয়তে লিখেছিলেন: 'এদেশে লালবাতি এলাকার বা পতিতালয়ের অভাবেই ধর্ষণ বেড়েছে। তাই সরকারের উচিত লালবাতি অঞ্চল বা বিধিসম্মত পতিতালয় বানানো, তার স্বাস্থস্মত তদারকীর মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়া এবং তাদের পরিচর্যা করা'। (সাপ্তাহিক হলিডে ২২/৫/৯৮)

এর প্রতিবাদ করে একই পত্রিকায় কিছু ছাত্রী লিখেছিল যে :যদি পতিতালয়ের স্বল্পতাই ধর্ষনের কারণ হয় তবে আমেরিকার মতো ফ্রী সোসাইটি তে এত ধর্ষণ কেন? তারা আরও লেখেন যে পতিতালয়ের বৃদ্ধির আবেদনকারী ওইসব বুদ্ধিজীবীরা কি তার আপন কন্যাকে ওইসব পতিতালয় পাঠাতে রাজি আছেন? যদি না হয়, তবে কারা যাবে সেখানে পতিতা হতে?'
তারা আরো বলেন : সমাজের দরিদ্র দূর করা, মানুষের কর্মের সুবিধা যাতে তারা পরিবারকে সাথে রাখতে পারে, এইসব সমাজকল্যাণমূলক কাজ করলে বরং উপকার হবে'। (ঐ)
এর প্রত্যুত্তরে এনায়েত উল্লাহ খান লেখেন :পতিতাবৃত্তি সম্পর্কে ছাত্রীদের নৈতিকতা খুবই সরল মামুলি । কেউ চান বা না চান, পতিতাবৃত্তি প্রতিটা সংস্কৃতিতে ছিল, আছে, থাকবেও । আর সবসময় কিছু না কিছু মহিলা পাওয়া যাবে যারা খুব স্বেচ্ছায় সেই বৃত্তিকে গ্রহণ করবে।--- .আমরা চাই সরকার নিয়ন্ত্রিত পতিতালয় শুধু যৌনরোগ নীরোধেই নয়,এটাও নিশ্চিত করতে সেখানে যেন কোন মেয়েকেই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাধ্য না করে পতিতাবৃত্তি করতে। যে অনিয়ন্ত্রিত পতিতাবৃত্তি চলছে সেখানে মেয়েদের জোর করে কখনও অপহরণ করে তাদের আনা হয়। তাইআমরা মনেকরি সরকার নিয়ন্ত্রিত হলে মেয়েদের এইপ্রকার বঞ্চনার স্বীকার হতে হবে না।
:That prostitution itself is a disease is a proposition prompted by simplistic morality. Whether one approves it or not It is present in almost every culture, And always a certain section of female population will gladly take up such a calling--
We want government regulated prostitution not only to prevent the spread of veneral diseases, but to ensure that no unwilling women has been forced into the profession. In the kind of unregulated prostitution that is going on women are brought or kidnapped and terrorised into whoredom. that is why we think the Restoration of the red light areas will go a long way in curbing such gross exploitation of women. also it will keep the prosttitutes off the streets.
এনায়েত উল্লাহ খান আরো বলেন যে : যদিও আমরা চাইনা আমাদের কন্যারা যৌনবৃত্তি অবলম্বন করুক। কিন্তু আমরা এটাও মানি যে প্রতিটা মানুষের কাজ বা বৃত্তিকে শ্রদ্ধা করা উচিত, তা যদি যৌনবৃত্তিও হয়। while we don't want our daughters to be whores, we also feel that every human being whatever his or her profession is deserves respect.
আমেরিকা আর বাংলাদেশের ধর্ষণ সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের ব্যাপারে খান জানান যে বাংলাদেশের দশভাগের একভাগ ধর্ষণের খবর কাগজে আসেনা। তাছাড়া ধর্ষণের সংজ্ঞা ও আমেরিকা ও বাংলাদেশএ এক নয়। । Holiday ঐ

সে যাই হোক, মানুষের জীবনের এই অত্যাবশ্যকীয় উপাদানের সুস্থ ও স্বাস্থসম্মত ভাবে নিরসনের জন্য সুনির্দিষ্ট অঞ্চল ও আবাস। তাতে ধর্ষণও কমবে, বা একেবারে না কমলেও তার তীব্রতা নিশ্চয়ই হ্রাস পেয়ে সহনীয় হবে। এতদিন যেমন ছিল। বাংলাদেশে ধর্ষণ বহুকাল ধরেই ছিল, থাকবে। মনুষ্যসমাজ যেমন হত্যা খুন ডাকাতির মধ্যেই চিরকাল বাস করছে। শুধু, সত্যজিতের ছবির এক চরিত্রের মত বলা যায় ,'শুধু যদি মাত্রাটা একটু সহনীয় করা যায়' ।

ধর্ষণের আর এক সহযোগী সমস্যা মাদকাসক্ততা । এমন কিছু ড্রাগ বা মাদক এর চল হয়েছে যা খেলে যৌন উত্তেজনা বাড়ে। কিন্তু এই উত্তেজনাকে নিবৃত করার উপায় না থাকায় ধর্ষণ বাড়ে । নেশা মানুষের সহজাত সভ্যতার আদি থেকেই বহমান।আমরা বহু নেশাকে মেনে নিয়েই বসবাস করি,পান,জর্দা,সিগারেট থেকে স্বল্প মাত্রায় এনার্জি ড্রিনকস।যদি বিকল্প দিতে পারি যা কম ক্ষতিকর তাহলে ড্রাগ ও তদ্দজনিত কারণ ধর্ষণের থেকে অনেকাংশে মুক্ত সম্ভব।
যদি সাধারণ লিকার সহজ প্রাপ্য হয় এবং তা নিয়ন্ত্রিত আইনসিদ্ধভাবে হয় ,তাহলে ওই নিষিদ্ধ মাদকের ব্যবহার কমবে।মাদক উত্তেজনার চাইতে যা কম ক্ষতিকর। মাদকাসক্ততা মদালসতার চাইতেও ভয়াবহ। পরিমিত মদ শরীরবৃত্তীয় ক্ষতি নয় বলে বহু বিশেষজ্ঞের মত। তবে এর ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা আছে।

মানুষের,সভ্যতা গড়ে ওঠার তার সাথে বর্জও জমে। আলোর সাথেও অন্ধকার যেমন। যদি বিবাহ বহির্ভূত সব যৌনতাকে অবৈধও বলি তবুও তা থাকবে। আমাদের কল্পিত স্বর্গেও তাকে ফেলতে পারিনি । এইসব মনুষ্যচজনিত পাপ হয়তো সেই নিষিদ্ধ ফল ভক্ষনেরই অভিশাপ। কিন্তু এও তো সত্য, সেদিন সেই নারী নিষিদ্ধ জ্ঞানবৃক্ষের ফল খেয়েছিল বলেই আজ আমরা এই পৃথিবীতে এসেছিলাম।হয়তো তা জীবনেরই আবশ্যকীয় উপাদান সাদা আর কালো,ভালো আর মন্দের মত। এক না থাকলে যা অন্যের অনস্তিত্বের কারণ হয়।
আমাদের করোনা নিয়েই বাস করতে হবে,যা বাস্তবতা,- শুধু দরকার প্রয়োজনীয় ভ্যাকসীন ।

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৯
৯টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×