চকবাজারে অগ্নিকান্ডে প্রথম দায়ী করা হলো রাসায়ণিক গোডাউন তার পর গ্যাস সিলিন্ডার তার পর হোটেল, দুর্ঘটনা আক্রান্ত গাড়ি থেকে রান্নার সিলিন্ডার কিন্তু মামলা দায়ের করা হলো অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের নাম ও কারণ দেখিয়ে । বাংলাদেশ ই সম্ভবত একমাত্র দেশ যেখানে অজ্ঞাত ব্যাক্তি দের নাম সংখ্যা অজ্ঞাত রেখে পুলিশ মামলা দায়ের করে ফলে অফুরন্ত আসামি ধরে চালান ও মুক্তি বাণিজ্য বেশ ভালোই জমে। তদন্ত কমিটি কাকে দায়ী করলো সেই অনুযায়ী পুলিশ কেস করলে আসল কারণ ও অপরাধী সনাক্ত করা যেত কিন্তু অজ্ঞাত নাম ও সংখ্যা ছাড়া তো উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানো যায় না।
ভবনে ছিল লাইটার রিফিলের ক্যান ফ্যাক্টরি ও কেমিক্যাল (প্রথম আলো) মন্ত্রী বললেন কেমিকেল ছিল না !!!! একেই বলে বিবৃতি।
কেউ কেউ লিখলেন গর্ভবতী স্ত্রীর জন্য স্বামী না নেমে নিজে মারা গেলেন, কত বড় মন বিশেষজ্ঞ আর মিথ্যা কথা তাহলে অন্যরা মারা গেলেন কেন তাদের তো গর্ভবতী স্ত্রী ছিল না ? আসল কথা হলো যারা বের হাতে পারেন নাই তারা সবাই মৃত্যু বরণ করেছেন সেখানে মিথ্যা স্বামী কে মহানুভব দেখাতে গল্প সাজিয়েছেন যে মহান সাংবাদিক তিনি কিভাবে জানলেন স্বামী ইচ্ছা করে বের হন নি ?
রাজউক জানে না ভবনের নকশা অনুমোদিত কিনা !! আর জানবেই বা কিভাবে নকশার ফাইলের তেলে তাদের হাত পিছলেই নকশা বের হয়ে গেছে তারা কি করবে ? তাছাড়া সেই তেলের জন্য দায়ী আগের সরকারের আমলের কর্মকর্তারা এখন তো নেই । এখন যারা আছেন তারা নুতন তেলক্ষেত্র আবিষ্কারে ব্যাস্ত । যেহেতু পুরাতন বিল্ডিং থেকে বিল্ডিং ইন্সপেক্টরদের নিয়মিত মান্তি (মাসিক টাকা ) আসে তাই তারা এগুলো দেখেও না দেখার ভ্যান করেন।
জেলখানা সরানো হলো যানজট এর কারণে । রাস্তা চওড়া করতে সেটাও ভাঙা যাচ্ছে না কারণ খালেদা জিয়া সেখানে ইচ্ছা করে কতদিন থাকবেন সেটা অনিশ্চিত হায়াৎ মউতের মালিক ছাড়া বলা যাচ্ছে না। খবর দেখলাম চকবাজারে বসতি থাকায় কেমিক্যালের গোডাউন ও ব্যবসা কেরানি গঞ্জ সরানো হবে সেখানে কি মানুষের বসবাস নেই না কি আগুন না লাগার গ্যারান্টী আছে ?
সবকিছু দেখে শুনে মনে হয় অদৃশ্য ভুতের ইচ্ছায় চলছে সবকিছু যেখানে ভয়ে কেউ কিছু বলতে চায় না