somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গরুর ইয়ের স্বাদ যে এত খারাপ :-& হইতে পারে আগে জানা ছিলোনা।

০২ রা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
প্রথমেই আমার এক দোস্তের ব্যাপারে দুটা কথা বলতে চাই। ওর নাম জুবায়ের। আমার নুড ফ্রেন্ড মানে ন্যাংটা কালের বন্ধু। ক্লাস ওয়ান থেকেই পরিচয়। একসাথে S.S.C এবং H.S.C পাশ করলাম। তারপর ভর্তি পরীক্ষায় কোথাও চান্স না পাওয়াতে ঐবছরটা আমার লস চলে গেলো। আমার দোস্তেও আমার দুঃখে দুঃখিত হইয়া ইয়ার লস দিয়া দিলো।

ক্লাস ফোরে থাকতে আমরা সাইকেল চালানো শিখলাম। তারপর একে অন্যের বাড়িতে নিয়মিত যাওয়া আসা শুরু হলো। ক্লাস এইটে থাকতেই আমরা বিভিন্ন আঁশ বাগান বাঁশ বাগানে লুকিয়ে, আদাড়ে বাদাড়ে ঘুরা ঘরি করে বিড়ি সিগারেট খাওয়া শিখলাম। এভাবে দেখতে দেখতে আমাদের ১৮ বছর পূর্ণ হয়ে গেল।

একদিন দেখি আমার দোস্তে সাইকেলের বদলে মটারসাইকেলে করে আমার বাড়িতে ঘুরতে আসছে। কোথায় ঘুরতে নিয়ে যাবে।
কিন্তু আমি তো মটরসাইকেলে চড়তে পারবো না, পরিবারের কড়া আপত্তি। কারন আমার পরিবারের কয়েকজন মেম্বার মটরসাইকেল অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে, তাই মটরসাইকেল চালানো শিখা তো অনেক দুরের কথা তার উপর চড়েও যেন কখনও না বসি। এবং বাস্তবিকই এটা একটা কিলিং মেশিন।

সেদিন বাপ মার নির্দেশ অমান্য করে গোপনে দোস্তের সাথে ঘুরতে বের হয়ে গেলাম। সেদিন সে এত জোরে গাড়ি চালাচ্ছিলো মূহুর্তের জন্য মনে হয়েছিলো পরিবারে মৃতের তালিকায় বোধহয় এবার আমার নাম উঠতে যাচ্ছে।

দোস্তরে সেদিন বার বার বলি আস্তে চালাও। সে বলে চুপচাপ বইসা থাকো কিছু হবেনা। বলতে বলতেই সামনে দিক থেকে আসা অন্য একটা মটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ। আমার দোস্তে আমাকে আর মটরসাইকেলকে নিজ নিজ ভাগ্যের হাতে ছাইড়া দিয়া নিজে ক্যামনে কইরা নিরাপদে নাইমা পড়লো। আমি আর মটরসাইকেল দুজনাতে বড়ই আহত হইলাম। এই হচ্ছে আমার প্রাণের দোস্ত।

সেদিনের সেই অ্যাক্সিডেন্টের পরও গোপনে আমরা অনেক জাগায় ঘুরে বেড়িয়েছি কিন্তু শিখার ইচ্ছা কখনই ব্যাক্ত করিনি। হঠাৎ একদিন শিখতে ইচ্ছা হলে বাড়ি থেকে বেশ কিছু দুরে এক কলেজ মাঠে চালানো শিখলাম। পরেরদিনই উঠলাম রাস্তায়। দোস্তের পাড়ায় ঢুকে গেলাম, চলে গেলাম অনেক দুরে। আমার দোস্তে পিছনে বসে এইটা করো ঐটা করো বিভিন্ন ইনসট্রাকশন দিয়েই যাচ্ছে। সব কিছু সুন্দর ভাবেই চলছিলো। গাড়ি যে চালাতে পারছি এই আনন্দে আমি একেবারে আত্মহারা। হঠাৎ দেখি এক মহিলা তিন টা ছাগল নিয়ে সামনে দিয়ে চলে আসছে। দুটা ছাগলকে পাশ কাটালাম। পিছনের ছাগলটা আমার চাকার সামনে এমন ভাবে পড়লো যে ধাক্কা খেয়ে কোন দিকে যেন ছিটকে চলে গেল। মরলো না বাঁচলো জানিনা। আমার হাত ততক্ষনে কেঁপে গেছে। দোস্তের দেয়া সমস্ত ইনসট্রাকশন আমি ভুলে গেছি। অ্যাক্সিলেটরে জোরে চাপ দিয়ে বসলাম। রাস্তার ধারে ছিলো এক গোয়াল ঘর। তার পাশেই ছিলো একটা গর্ত, যেখানে রাখা ছিলো কয়েকদিনের জমা করা গোবর। যেগুলো পরে গাছের সার হিসেবে ব্যবহার হবে। গর্তের মধ্যে পড়ে গেলাম। যখন উঠলাম দেখি আমার মুখের ভিতর কাদার মত কিযেন ঢুকে গেছে। যখন বুঝলাম জিনিষটা কি, কি বলবো, জঘন্য :-& ।
পাশের পুকুরে গোসল করলাম। বাড়ি আসার সাথে সাথে একটা গোটা পেস্টের অর্ধেক শেষ করে ফেললাম। তারপরেও সন্দেহ যায় না, মুখ ঠিক মত পরিস্কার হলো তো?

পরের দিন সকালে আমার দোস্তের বাবা কোরবানীর জন্য কোথায় একটা ছাগল পছন্দ করে রেখেছে তাই দেখার জন্য ছেলেকে সাথে নিয়ে বের হয়ে গেলো এবং যে জাগায় অ্যাক্সিডেন্টটা হয়েছিলো সেখানেই তিনি রিকশা দাঁড় করালেন। দোস্তে জানতে চাইলো আব্বা এইখানে থামলা কেন? বাপে উত্তর দিলো এইখানেই তো সেই ছাগল কিনেছি।
কি আর বলি, যে ছাগলটাকে আমি ধাক্কা দিয়েছিলাম, যেটার জন্য আমাকে ..............................................ছিঃ। সেটাই হচ্ছে ওদের এবারের কোরবানীর ছাগল। দাম ৯৭৫০ টাকা।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৭
৩২টি মন্তব্য ৩১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×