somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অপ্রাপ্তি ই হোক আমাদের বড় প্রাপ্তির কারন।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক আগের কথা আমেরিকায় তখন চাকুরীর বাজার খুব খারাপ। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট করে ও ভালো চাকুরী সহজে পাওয়া যেত না। অবস্হাটা
এমন দাড়িয়েছে যে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট করে ও মানুষ পিয়নের চাকুরির জন্য আবেদন করত আর তাদের ই একজন ছিল মিঃ ডগলাস। তিনি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট করার পর অনেক জায়গার আবেদন করলেন কিন্তু কোথাও হতে ভাইভার জন্য তার ডাক পড়ে না অন্যদিকে তার সঞ্চয় করা টাকা দ্রুত শেষ হয়ে আসতে লাগলো। মিঃ ডগলাস উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তে লাগলেন ভবিষ্যত এর কথা ভেবে কিভাবে তিনি যাবতীয় খরচ বহন করবেন। অবশেষে উপায় না দেখে তিনি ও পিয়নের পদের জন্য আবেদন করতে লাগলেন এবং একদিন তাকে ভাইভার জন্য ডাকা হলো। মিঃডগলাস ভাইভা দিতে যাচ্ছে আর ভাবছে তিনি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট করছেন তাই অন্ততপক্ষে তার এই পিয়নের চাকুরী পেতে তেমন কোন কষ্ট হবে না কিন্তু ওয়েটিং রুমে চাকুরীপ্রার্থীর সংখ্যা দেখে ডগলাস এ চোখ কপালে উঠার অবস্থা।অনেকক্ষন অপেক্ষা করার পর ডাক পেলেন ভাইভার জন্য এবং ভাইভা ও হলো মোটামুটি। ডগলাস বাসায় ফিরে আসার সময় তার মনের মাঝে উকিঁ দিচ্ছে পিয়নের চাকুরী খানি ও বোধহয় তার কপালে জুটবে না। বিধাতার অশেষ কৃপায় মিঃ ডগলাসকে প্রাথমিক বাঁচাইয়ে নির্বাচন করা হলো এবং তাকে সেটা চিঠির মাধ্যমে জানানো হলো এবং তাকে বলা হলো তার একটি ইমেইল এড্রেস দিতে যাতে করে তার সাথে পরবর্তীতে যোগাযোগ করা হবে কিন্তু ডগলাস এর কোন ইমেইল এড্রেস ছিল না তিনি সেটা জানিয়ে দিলেন। কিছুদিনপর ডগলাস কে জানানো হলো তার ইমেইল এড্রেস না থাকায় থাকে বাদ দেওয়া হলো কারন যে প্রতিযোগীর ইমেইল এড্রেস নাই এই ধরনের প্রতিযোগীর তাদের দরকার নাই। এই দিকে ডগলাস পড়ে গেলেস অথৈ সাগরে কি করবেন ভেবে কূল পাচ্ছেন না অন্যদিকে পকেটের সঞ্চয় ও তলানিতে এসে পৌঁছেছে। তার হাতে আছে মাত্র ২০ ডলার। ডগলাসের এই ২০ ডলার ই যেহেতু তার শেষ সম্বল তাই কোন ভাবেই এই ডলাসগুলা খরচ করবেন না বলে চিন্তা করলেন কিন্তু খরচ না করলে খাবে কি? এই চিন্তায় ও তার আর ঘুম আসে না। অনেক ভেবে তিনি চিন্তা করলেন তিনি ব্যবসা করবেন এবং যথারীতি শুরু ও করলেন। ২০ ডলার দিয়ে তিনি সবজি কিনলেন বিক্রীর উদ্দ্যেশে। ২০ ডালার এর সবজি বিক্রী করলেন ৩০ ডলারে এবং ৩০ ডলার দিয়ে সবজি কিনে আবার বিক্রী করলেন ৫০ ডলারে এইভাবে চক্রবৃদ্ধি হারে তার ব্যবসা বাড়তেই থাকলো। শুরুর দিকটা ব্যবসার ভালোভাবে চললেও কিছুদিন পর ক্ষতির সন্মুখীন হলেন ডগলাস কিন্তু হাল ছাড়লেন না তিনি চালিয়ে গেলন তার ব্যবসা। সততা এবং কঠোর প্ররিশ্রম এর কারণে ডগলাস কে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ডগলাস হয়ে উঠলেন বড় একজন ব্যবসায়ী শুধু তাই নয় হয়ে ক্রমে হয়ে উঠলেন একজন বড় সবজি রপ্তানিকারক। রপ্তানির সুবাদে তার সাথে পরিচয় হতে লাগলো অনেক বড় বড় ব্যাসায়ীর সাথে একদিন একজন বড় ব্যবসায়ী তার ইমেইল এড্রেস চাইলো তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য। ডগলাস ঐ ব্যবসায়ীকে বললেন তার কোন ইমেইল এড্রেস নাই কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন তার যদি ইমেইল এড্রেস থাকত তবে তিনি আজ বড় একজন ব্যবসায়ী হতেন না হতেন একজন পিয়ন।

আমাদের সবার জীবনেই কম বেশী অপ্রাপ্তি আছে আর এই অপ্রাপ্তি গুলোই আমাদের ক্রমাগত ঠেলে দেয় হতাশার জগতে কিন্তু এই অপ্রাপ্তি গুলোর অনেক ভাল দিক ও আছে সেটা কি আমরা কখনো ভেবেছি? যে মানুষটি এই অপ্রাপ্তি গুলোকে চ্যালেন্জ হিসাবে নেয় সে এগিয়ে সামনের দিকে এবং সমৃদ্ধি ই তার শেষ ঠিকানা অন্যদিকে যে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে সে থাকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে অন্ধকার ই তার নিত্য সঙ্গী।এই জীবনে আমরা সবাই কমবেশী তীর ছুড়েছি এবং এটা ও জানি তীরের এ্যারো যতো পিছনে টেনে ছুড়বেন এ্যারো ততবেশী দূরে যাবে এবং তার গতি ও হবে তীব্র।

পরিশেষে, সকল হতাশা ও অপ্রাপ্তি ই হোক আমাদের এগিয়ে চলার মূলমন্ত্র।

প্লিজ ভুল ভ্রান্তি হলে ধরিয়ে দিবেন।এডিট করে নিবো।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×