somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিশুদের একা ছেড়ে দিতে নেই (খোঁচা পোস্ট-৪)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শিশুদের একা ছেড়ে দিতে নেই। একা ছেড়ে দিলে নানাবিধ সমস্যা হতে পারে। হারিয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় যে সমস্যা তা হল ছেলেধরা ধরে নিয়ে আরব দেশে পাচার করে দিতে পারে। শোনা কথা ওইসব দেশে ছোট বাচ্চাদের নাকি উটের জকি হিসেবে ইউজ করা হয়। বাচ্চারা যত জোরে কান্না করে উট ততো জোরে দৌড়ায়। খুবই ভয়ানক ব্যাপার।

ইহা একটি শিশুদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত জনগুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। শিশুদের একা ছেড়ে দিবেন না হারিয়ে যেতে পারে।

মানুষ আজকাল শিশুদের নিয়ে ক্যালাস হয়ে গিয়েছে। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতাম বড়রা আমাকে নিয়ে খুবই ভয়ে থাকত। সবসময় ছেলেধরার ভয়ে অস্থির থাকত সেই সময়ের বড়রা। একা এদিক ওদিক যেতে দেয়া হত না মোটেও। আর এখন কি সময়টাই না আসল। বাচ্চারা এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করছে কারো কোন খেয়াল নেই চিন্তা নেই।

আসল ঘটনায় আসি। আসলে সত্য বলতে কি আমারো এই বিষয়টা নিয়ে অতশত মাথা ব্যাথা ছিলনা। একটা আধা ভয়ংকর কাহিনী ঘটবার পর আমি এই গুরুত্বপূর্ন বিষটা সবার সামনে এনে ধরার ইচ্ছে হয়। ঘটনা আমাদের প্রিয় লেখক অন্ধ আগন্তুককে নিয়ে। যারা তার ভারী ভারী লেখা পড়ে তাকে মুরুব্বি ভাবছেন তারা স্রেফ বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। নিচের স্ক্রীনশটটা দেখুন



স্ক্রীনশটের লাল অন্ডারলাইন করা লেখা গুলো পড়ে ইতমধ্যেই নিশ্চয় অন্ধ আগন্তুক(অ আ) সম্বন্ধে আপনাদের প্রচলিত ভুল ধারনা শুধরে গিয়েছে। এবার আসি আধা ভয়ংকর কাহিনীতে। কাহিনীর প্রেক্ষাপট ১৬ই ডিসেম্বর, দ্য গ্রেট ইন্সম্নিয়াক ক্লাবের আড্ডা @ সোহ্রাওয়ার্দি উদ্যান। কমবখত বাধন ওরফে স্বপ্নকথক ওরফে রুদ্রফটাপ আমাকে বিকেল ৪ টার মধ্যে ছবির হাটে পৌঁছাতে বলে। সোয়া ৪ টার ভেতর পৌঁছিয়ে দেখি ফটাপ আর রাঝাস ছাড়া কেউ নেই। একজন দুজন আসতে থাকতে বেশির ভাগেরই খবর নেই। হঠাৎ শুনলাম অ আ আসবে। যেহেতু ও আগে থেকেই আমার এফ বি ফ্রেন্ড তাই ও যে কিউট পিচ্চি বেবী তা আগে থেকেই জানতাম। ও আসবে শুনে আমার বুকের ভেতরটা ধ্বক করে উঠল। প্রথমত বলতে গেলে এটা ওর বাবা মার উদাসীনতা। এত ছোট বাচ্চাকে কোন মতেই একা বাসার বাইরে বের হতে দেয়া ঠিকনা। তো পিচ্চিটা কিউট বাচ্চাটা সহ আরো অনেকে আসল, ব্যাপক খাওয়া দাওয়া হয়ে গেল কিন্তু এর মাঝে যে এত ভয়ংকর একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে তা টের পেলাম বাসায় ফিরে আড্ডা পোস্ট দেবার পর। হামা ভাই নিচের কমেন্ট টা দিলেন তার দীপা হাসান নিক থেকে



কিন্তু কাহিনীটা মোটেও কোন মজার কাহিনী ছিলনা।

কিউট সুইট পিচ্চিটা আবার ঘোড়েল। কাহিনী না বুঝার ভান করে জিগেস করল কি কাহিনী ঘটেছে।




দীপা হাসান এবার জানালেন যে ঘটনা অ আ কে নিয়েই। এটা বলে উনি খেউক করলেন


এরপর আবার ফাহাদ চৌ ভাই জানালেন যে ঘটনা উনিও জানেন।




এবার সুইট কিউট পিচ্চিটা ঘাবড়ে গেল। দীপা হাসানের নামে ষড়যন্ত্রের অপবাদ আনল এবং ফুলকপি ডীপজলের কসম খেয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেবার অপচেষ্টা করল।




এই জিনিসটা অনেকেরই নজর এড়িয়ে গেলেও আমার নজর এড়ায়নি মোটেও। আমি এফ বি চ্যাট এ হামা ভাই কে চেপে ধরলাম ঘটনা জানার জন্য। ঘটনা শুনে আমার গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে গেল।

যারা ওইদিন ভার্সিটি এরিয়ায় গিয়েছিলেন তারা জানেনই কি রকম ভীড় ছিল। তো এই গ্যাঞ্জামের মধ্যে হামা ভাই আর ফাহাদ ভাই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আর সুইট কিউট বাচ্চাটাকে ফোন দিয়ে বললেন তাদের খুজে বের করতে!! তো সুইট কিউট বাচ্চাটা অবধারিত ভাবে হামা ভাই আর মিশু ভাইকে খুজতে গিয়ে হারিয়ে গেল। পরে হামা ভাই আর মিশু ভাই ই কিউটিকে খুঁজে বের করে আড্ডায় নিয়ে আসে [ঘাম ছাড়ানোর ইমো]

পোস্ট শেষ করছি হামা ভাই আর মিশু ভাই কে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে। কোথায় আপনারা ছোট শিশুদের প্রোটেক্ট করবেন, তা না উলটো তাদের সেইফটি হ্যাম্পার করছেন। অবশ্য আপনারা ধন্যবাদ পাবার ও দাবিদার কারন আপনারা যদি সুইটুকে শেষ্মেষ খুজে না বের করতেন না জানি কি হয়ে যেত। হয়ত সুইটুকে ছেলেধরা ধরে নিয়ে যেত আর আরবে পাচার করে দিত। সুইটুর কান্নার দাপটে ঊট দৌড়াত। ভাবতেই বুক ফেটে কান্না আসছে [বুক চাপড়ে কান্নার ইমো :((:((]




সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৮
৫৮টি মন্তব্য ৫৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×