নেতা অসুস্থ । লাগবে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কেবিন । লাগবে ধরিত্রির সেরা শল্য চিকিৎসক ।
হাওয়াই জাহাজে নেতা উড়বে পৌছে যাবে সীমানা পেরিয়ে ।
এতকড়ি আসে কোথা থেকে ?
জনতার কোষাগার থেকে ।
জনতা সে মুখ নীচু করে জুতা পালিশ করছে । মুখ নীচু করে সেলাই করছে । মুখ নীচু করে কাপড় ডলছে ।
কখনো জনতার হচ্ছে মাছের মৃতু, কখনো কয়লার মৃতু, কখনো বা ছিন্নভিন্ন দেহ চলে যাচ্ছে শকুনের পেটে ।
অথবা চাটাই মোড়া, শেওলা ধরা প্রাচীরের পাশে বেওয়ারিশ লাশ ।
ফজরের আজান দেয়া মোয়াজ্জেন, সুরা কাহাফ পড়ানো ঈমাম সবাই ভীত ।
এযে বেওয়ারিশ লাশ । বাঘে ছোয়া আঠার ঘার চেয়ে ভয়ংকর ছত্রিশ ঘা ।
তাকিয়ে রয় বন্দুকের নল । সবচেয়ে ভয়ংকর লোহা । যা দিয়ে বাঘ মহিষ এক ঘাটে জল খায় ।
নেতার কফিন আসছে চন্দন কাঠে মোড়া । লাখো লাখো আদম । গার্ড অফ অনার ।
বিউগলের করুন সুরে বিদায় । কফিনের পেছনে ছুটছে মতিহার যার কারনে দুনিয়া ছেড়েছে জরিনা ।
পেছনের ছুটছে মাতবর যে দখল করেছে তুলসী বালার ভিটা । মিনহা খালাক না কুম ।
কবরের পাশের জমানো মাটি শেষ । লাখো আদমের এত মাটি কোথায় ?
শোকের কালো পতাকা বাতাসের টানে দুলছে । জবুথবু দেবদারু তাকিয়ে দেখছে ।
বন্দুকের নলের পিছে উড়ছে শাড়ীর আচল ।
ঘিরে আছে সুবিধাবাদী জারজের দল শ্বাপদের দল ।
শত সহস্রাব্দের চেনা মুখ অচেনা ধুসর,
যেন ইদির চোখ, খায়বার পাখতুনের আগার চোখ,
মিয়ানওয়ালীর মিয়ার চোখ ।