১. ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ যখন ৬২ আসন পায় সেটা ছিল তখনকার সময়ের আলোড়িত ঘটনা। অনেকে মজা করে কথা বের করেছিল, তখন টিভিতে যেই রেজাল্টই ঘোষণা করা হচ্ছিল খালি বিএনপি'র নাম আসছিল। পরে নাকি উপরের মহল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, আওয়ামী লীগরে আরও কিছু দাও, নাহলে পরে কথা উঠবে...
২.২০০৮ সালের ফলাফলও এখনও রহস্যময়। আগের সরকার(বিএনপি) মাত্র ৩০ টি আসন পাবে এটা কেউ ভাবতে পারেনি। ১/১১'র সরকার যে, সেফ এক্সিটের জন্য আওয়ামী লীগকে এত বেশী আসন দিয়েছিল তাও অনেকের কাছে বিস্ময়। কিন্তু এবার যা হল, তা বিস্ময়ের মাত্রা অতিক্রম করাতে এখন আর কোন কিছু বলতেও রুচিতে বাধছে...
৩. চাঁদগাজীর প্রিয় বিএনপি'র একমাত্র নেতা ড. মঈন খান জামানত হারিয়েছেন। আরও অনেক ভাল ও যোগ্য নেতা জামানত হারিয়েছেন। যেনারা এখনও রাস্তায় দাঁড়ালে ২০০০০ লোক হবে, আর তেনারা নাকি ভোট পেয়েছে ১০/১১/১২ হাজার মাত্র! ফেসবুক কমেন্ট - নকল করেছিলাম পাস করার জন্য, পেয়ে গিয়েছি জিপিএ ৬!
৪. এই অসম ব্যবধান দেখেই বোঝা যায় নির্বাচন কেমন হয়েছিল। তবে উপরের মহলের মধ্যে নিশ্চয়ই কোন সমন্বয়হীনতা ছিল। তা না হলে আরও কিছু আসন দিয়ে নির্বাচনকে বৈধতা(!) দিতে পারত। তেনারা ৭০-এর জোয়ার প্রমাণ করতে গিয়ে এমন কান্ড করে বসেছেন যে, এটা নিয়ে আর কোন বিশ্লেষণেই কেউ যেতে চাচ্ছে না...
৫. এই মহাসাগর চুরির পরও হাসান কালবৈশাখী, কলাবাগান সন্তুষ্ট! সবচেয়ে বড় কথা 'উনি' সন্তুষ্ট। এরপর আর কিছু বলার নেই। বর্তমানে এন্টি আওয়ামী রাজনীতি নিয়ে টক শো, কলাম, ব্লগ লেখার আর কোন মানে হয় না। অসীম শক্তির সাথে লড়াই করা বোকামী। সবাই যেখানে মেনে নিয়েছে, অভিনন্দন জানাচ্ছে তাহলে আর আমরা কোন...
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১১