(আগের পর্বের পরে...।)
এরপর সুন্দরিরে ইমোশোনালি ব্লাকমেইল করা শুরু করলাম...। কইলাম ও... বুঝছি, আমিই কিছু করছি নাইলে তুমি বেড়াইতে আইসা কানবা কেন? আমি আসলেই একটা ইডিয়ট! আমি দিলের তলা পর্যন্ত দুঃখিত! আমি আসলে বুঝতে পারি নাই! মাগার কি আকামডা করছি মেহেরবানি কইরা এইডা কইয়া দিলে একটু দিলে শান্তি পাইতাম! (এই অস্ত্র যদি কাম না করে তাইলে আমি ডেড!!!) সুন্দরি আস্তে কইরা কইল নাহ তুমার দোষ না। ব্যাপারটা আলাদা। আমি মনে মনে একটা মিচকি হাসি দিয়া মুখটা ভার কইরা কইলাম তুমি আসলে আমারে বিশ্বাস কর না। বিশ্বাস করলে ঠিকই বলতা। ঠিকই তো তুমি আমারে বিশ্বাস করবা কেমনে? এইরাম ভুয়ামি মার্কা কথাবার্তা শুইনা সুন্দরি ক্ষেইপা গিয়া কয়, শুনবা? তাইলে শোন, আমার একটা বয়ফ্রেন্ড ছিল, আমাদের একটা বয়ফ্রেন্ড ছিল ওর সাথে আমার ব্রেকাপ হইছে কিছুদিন আগে। সেও আমাকে এই প্লেসে নিয়ে আসছিল বেড়াইতে। ওর কথা মনে পড়তে কেঁদে ফেলছি।
এই কথা শুইনা সাকা চৌধুরীর মত টুট...... টুট... হইয়া গেলাম। আই ডিড নট সি দিস কামিং।
আমি জানতাম উত্তরটা আনেক্সপেক্টেড হবে বাট এইটা একটু বেশী হইয়া গেছে। কিন্তু পরের মুহূর্তেই নিজেরে সামলাইয়া নিলাম। সুন্দরির পিরিত থাকবে না তো কি আমার থাকবে!!! সুন্দরি দেখতেছি আবার চোখ মুছা শুরু করছে। সান্ত্বনা দেওয়া শুরু করলাম। কইলাম আমিও জানি এইরাম লেভেলে কিরাম ফিলিং হয়। আমিও এককালে পিরিত করছিলাম কিনা!!! এইবার সে চোক তুইলা আমার দিকে তাকাইয়াই হাইসা দিছে(সেই লেভেলের ফানি এক্সপ্রেশন দিছিলাম কিনা, ক্লাস সিক্সে থাকতে শিখছিলাম! )! আমারে কয় মানে কি? তুমারে তো ভালো ছেলে মনে করছিলাম। তুমিও দেখি বান্দর বাইর হইছ। তারপর আস্তে আস্তে সুন্দরি নিজেরে সামলাইয়া নিল।
কিছুক্ষন পর হাঁটা দিলাম পাশের পার্কটার দিকে। এরমধ্যে সন্ধ্যা হইয়া গেছে। পার্কের ল্যাম্পগুলা জইলা উঠছে। একটা বেঞ্চে বইসা শুরু হইল গল্পের। আমি মূলত শ্রোতা হইয়াই থাকলাম। আর সুন্দরি ছুটাইল কথার তুবড়ি! আস্তে আস্তে আমার কাছে লাইফের পুরাটাই বইলা দিল। এত্ত বেশি বলছে যে আমার নিজের কাছেই মনে হইছে যে কিছু কিছু ইনফরমেশন নিজের কাছে রাখাই উত্তম। আমারে না বললেই মনে হয় ভালো করতো। দুনিয়াটা খারাপ মানুষে ভরপুর, একটু মনোমালিন্য হইলেই সবাইরে সবকিছু বইলা বেড়াইতে পারে। অবশ্য ব্যাপারগুলা জানতে পারায় একটা নাইস ফিলিংও হইতেছিল এই মনে কইরা যে সুন্দরি আমারে তার লাইফে এক্সক্লুসিভ এক্সেস দিছে। কয়জন মানুষ এরাম এক্সেস পায়!!! বাট যেহেতু সুন্দরী আমারে এক্সেসটা দিছে , আই উইল কিপ দেম সিক্রেট।
এরপর দেশে গেলাম! কিন্তু যোগাযোগে ভাটা পরে নাই। ফেসবুকিং চলত হরদম! দিনরাত কাবার কইরা লাইতাম ফেসবুকিং করতে করতে! এরাম করতে করতে একসময় দেশ থেইকা চইলা আইলাম। সুন্দরির জন্য দিনাজপুরের “মোহাম্মাদি শাড়ি হাউজ” থেইকা থেইকা একখান নীল রঙের জামদানি শাড়িও আনছিলাম! শাড়ি পাইয়া সেকি খুশি!!! (আমি মনে মনে ভয় পাইতেছিলাম যে তার পছন্দ হবে তো?) সেই শাড়িতে তারে দেখতে আসলেই একদম পরীর মত দেখাইত।
তারপর আস্তে আস্তে সুন্দর দিনকাল যাইতেছিল! চুরি কইরা পিরিত করতে বেশ ভালোই লাগতেছিল।মাগার হঠাত একদিন আমাদের পিরিতের আকাশের কোনায় কালো মেঘের উদয় হইল। সেই মেঘ আস্তে আস্তে কইরা সবদিক ছড়াইয়া সাইক্লোন হইয়া উপর দিয়া চইলা গেল। ঝড় শেষে দেখি সুন্দরি আর আশেপাশেও নাই! (ডিটেইল দিতে পারতেছিনা বইলা দুঃখিত)
সুন্দরিরে ফেয়ারওয়েল দিলাম ফ্লাশিং এর একটা রেস্টুরেন্টে। সেইদিন অফিসিয়ালি সম্পর্ক ডাউনগ্রেড করলাম পিরিতের পাবলিক থেকে সরাসরি এক্যুয়াইন্টেন্স এ। তার সাথে “ফ্রেন্ড” হইয়া থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না। আফটার পিরিত, দিস টার্ম কামস উইথ সো মাচ পেইন। সুন্দরির সাথে যেই অল্প সময়টাই কাটাই না কেন সেই সময়টাই ছিল লাইফের বেস্ট মোমেন্ট! এরাম মোমেন্ট আর লাইফে আসবে কিনা কে জানে।
লাইফে আনরেস্ট্রিকটেড এক্সেস খুব সহজে কাউরে দেই না। সুন্দরিরে দিছিলাম। মাগার সুন্দরি এক্সেসের আবিউজ করলো। দিলটা কাইট্টা হাতে দিয়া কইলাম যত্ন কইরা রাইখো, মাগার উনার উনার ইচ্ছা হইলো আর উনি আমার দিল লইয়া ফুটবল খেলা শুরু করলেন। তাও ভালো ছিল, কিন্তু উনি লাস্টে দিলেরে ছত্রিশ চাক্কার ট্রাকের নিচে চিপা দিয়া দিলেন।
সুন্দরী যেই কারণেই হাত ফসকাবার ডিসিশন নিক না কেন, আমি তার ডিসিশনরে রেস্পেক্ট করি। সুন্দরির সিচুয়েশন বোঝার ভান করবো না কিন্তু আই হোপ যে ডিসিশনের পেছনে তার লেজিটিমেট রিয়েজন ছিল। কারন আমি জানি “সি উইল মিস মি সুন, এন্ড হোয়েন সি ডাজ, সি বেটার হ্যাভ দি রিয়েজন রেডি টু কনসোল হার ওউন সেলফ”।
(নো মোর পিরিত। সিরিজ বন্ধ। মুড পুরাই খ্রাপ হইয়া গেছে, পিরিতের টুট...টুট... টুট...)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৭:২১