কেহ যদি একটি দলের সভাপতি থাকেন ৩৫ বছর, এবং তিনি যদি গণতান্ত্রিক সুস্হ নির্বাচন চান, তাঁকে গণতান্ত্রিক সুস্হ নির্বাচন কে দেবে?
শেখ হাসিনা ৩৮ বছর আওয়ামী লীগের সভাপতি, বেগম জিয়া ৩৫ বছর ধরে বিএনপি'র সভাপতি; ২ জনের মাঝে কোন জন গণতান্ত্রিকভাবে পদে আছেন, কিংবা ছিলেন? নিরপেক্ষ, সুস্হ নির্বাচন হলো গনত্ন্ত্রের ২য় পদক্ষেপ; প্রথম পদক্ষেপ হলো, গণতান্ত্রিক দল ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত কেন্ডিডেট! শেখ হাসিনা ও বেগম জিয়া একা দলের কেন্ডিডেট দেয়া কি গণতান্ত্রিক ছিলো কোনভাবে?
৩৮ বছরের সভাপতি নিয়ে একদল নির্বাচন করতে যাচ্ছেন, আরেক দল যাচ্ছেন ৩৫ বছরের সভাপতির দল হিসেবে; আপনারা কি কারণে মনে করছেন যে, এদের নির্বাচনে সবাই নিজের ইচ্ছা মতো ভোট দিতে পারবেন? আপনারা সুস্হ, নিরপেক্ষ ভোট চাচ্ছেন অসুস্হ গণতান্ত্রিক ২টি দলের ভোটে!
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে, ১৯৭৫ সালের আগষ্ট মাসে, উনার পিতা ও পুরো পরিবারকে মিলিটারী হত্যা করার দিন থেকে। সেইদিন থেকে জেনারেল জিয়াও রাজনৈতিক কার্যকলাপ শুরু করেছিলেন; শেখ হাসিনা করেছেন বৈধ পথে, জেনারেল জিয়া এগিয়েছেন অবৈধ পথে।
১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে প্রবেশ করেছেন রাজনীতি করার জন্য, দেশে উনার জন্য কি অপেক্ষা করছিলো? তিনি ভয়ংকর রিক্স নিয়ে দেশে প্রবেশ করেছিলেন, যেই দেশে শাসনতান্ত্রিকভাবে উনার বাবা ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রাইম মিনিষ্টারের হত্যার বিচার বন্দ্ধ করা হয়েছিলো।
১৯৭৫ সালে, যেদিন থেকে উনার রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু হয়েছিলো, এরপর, যেদিন তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন, সেইদিন গুলোর তুলনায়, রাজনীতি নিয়ে আজ অবধি উনার ভাবনা কি বদলেছে? না বদলায়নি, সেজন্য তিনি ৩৮ বছর আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ছাড়ছেন না। ৩৮ বছর পদে থেকেও তিনি নিজের দলের কাছে, দেশের অর্ধকের বেশী মানুষের কাছে গণতান্ত্রিক।
সেনা বাহিনীর ২য় পদে থেকে, সুযোগ মতো ১ম পদ দখল করে, দেশের সামরিক প্রধান হয়ে, দেশে রাজনৈতিক দল গঠন কি গণতান্ত্রিক? যাদের কাছে ইহা গণতান্ত্রিক, তাদের কাছে শেখ হাসিনার ৩৮ বছর, বেগম জিয়ার ৩৫ বছর অবশ্যই গণতান্ত্রিক হওয়ার কথা; এবং বর্তমান ভোটও সুস্হ হওয়ার কথা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬