somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবি আল মাহমুদকে নিয়ে ব্লগে অনেক পোষ্ট এসেছে

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



** উহা সম্পর্কে না জেনে, ব্লগে উহার উপর লেখা পোষ্টগুলোর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই পোষ্ট লিখেছিলাম ৫/৬ ঘন্টা আগে; একটু আগে ( রাত ১২টার দিকে) একটা ভিডিও দেখালাম, উহা ওখানে বক্তৃতা দিচ্ছে; উহা যা বলছেন, উহার বক্তব্যে আমি মর্মাহত হয়েছি, উহা যা লিখেছে, লেখাগুলো পোড়ায়ে ফেলার দরকার, উহা বাংগালী জাতীর অংশ হতে পারে না। **

(উপরের বাক্যটি এখন, রাত সাড়ে ১২টায় লিখেছি, নীচের অংশটুকু ৫/৬ ঘন্টা আগের লেখা)।

শেখ সাহেবের অবদান সম্পর্কে হাজারো বিতর্ক আছে; একটা বিষয়ে কেহ বিতর্কে যায়নি (ব্লগার নুরু সাহেবের কথা জানি না), সেটা হলো কবি নজরুল ইসলামকে ঢাকায় নিয়ে আসা, কবির জন্য বাসস্হান, চিকিৎসা, সবকিছুর দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দেয়া। কবি নজরুল ইসলামকে ঢাকায় আনার আগে, কলকাতার মানুষ কবিকে কিন্তু ফেলে দেয়নি, পশ্চিম বাংলার মানুষ উনাকে সন্মান করেছেন, সেখানকার সরকার উনার ভরণপোষণ করেছে; বাংলাদেশ সরকারের মতো বাড়ী দেয়নি, কিন্তু মানানসইভাবে থাকার সব ব্যবস্হা সব সময়ই করা হয়েছিলো। শেখ সাহেব যতটুকু করেছেন, এতে পুরো বাংগালী জাতি কবির হয়ে ভালো অনুভব করেছেন, নিজেদের বদান্যতায় নিজেরা খুশী হয়েছেন।

কবি আল মাহমুদের জন্য কিছু করা সম্ভব হলে, বাংগালীরা তাতেও নিশ্চয় খুশী হবেন।

দু:খখু মিয়ার জন্য যতটুকু করতে হয়েছে, কবি আল মাহমুদের জন্য অতটুকু করার দরকার হয়নি, তিনি নিজেই বাংলাদেশের মধ্যবিত্তের মত চলেছেন; বৃদ্ধ বয়সে ছেলেমেয়েরা উনার ভার নেয়ার মত অবস্হানে ছিলো, আমৃত্যু উনার খরচ বহন করার মতো অবস্হা পরিবারের ছিলো; উনার মৃত্যু হয়েছে বয়সের কারণে, জটিল রোগে বিনা-চিকিৎসায় উনার মৃত্যু হয়নি। উনার চিকিৎসা ইত্যাদি চালানোর ক্ষমতা না থাকলে, পরিবার সাহায্য চেয়ে ব্যর্থ হলে, শেখ সাহেবর মেয়েকে দোষারোপ করা যেতো!

শেখ সাহেবের মেয়ে কিন্তু জনতার টাকা বিলায়ে ইতিমধ্যে নিজে নাম কুড়ায়েছেন; মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্হা না করে, মানুষকে সিংগাপুর পাঠানোর জন্য কোম্পানীর টাকা দিয়ে, নিজে হাজী মোহাম্মদ মহসীন সেজেছেন।

ব্লগে যারা কবির হয়ে অনুযোগ করেছেন যে, উনার মৃতদেহ শহীদ মিনারে আনা হয়নি, রা্ষ্ট্রপতি যাননি, কিংবা রাষ্ট্রীয়ভাবে দাফন করা হয়নি; এগুলো করলে অভিযোগ হয়, না করলে আরো ভালো হয়। আল মাহমুদ'কে নিয়ে যারা গত ২দিন ব্লগে লিখছেন, তারা প্রায় সবাই শেখ সাহেবকে সমালোচনা করে থাকেন, উনার বাকশাল, টাকশাল নিয়ে টানাটানি করেন; যারা বাকশালের সমালোচনা করেন, আমর চোখে উনারা কমবুদ্ধিমান মানুষ; এদিকে, আমার আবার চোখের সমস্যা আছে! এসব ব্লগারেরা, যারা শেখ সাহেবের বাকশাল, টাকশালের সমালোচনা করেন ও কবি আল মাহমুদের মৃত্যুর পর, আল মাহমুদের অধিকার নিয়ে পোষ্ট দেন, তাদের পোষ্ট নিয়ে আমার নিজেরই সন্দেহ শুরু হয়েছে, কবি আল মাহমুদ সাহেবকে নিয়েও আমার সন্দেহ শুরু হয়েছে। এসব ব্লগারদের পোষ্ট পড়ে, আমার কেন মনে হচ্ছে, কবি আল মাহমুদকে মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয়ভাবে দাফন না করার পেছেন যড়যন্ত্র আছে; আবার, এসব ব্লগারেরা যে কবিতা মবিতা ভালোবাসেন, সেটা কেন যেন আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।

কবি আল মাহমুদের মৃত্যুর পর উনাকে জানার সুযোগ হলো; ব্লগার নুরু সাহেবের পোষ্ট ও কমেন্ট আসার পর, আরো পরিস্কার হবে। আমার দৈন্যতা হলো, আমি উনার কিছু পড়েছি বলে মনে হয় না; ব্লগের পোষ্টগুলোর বদৌলতে বুঝতে পারলাম, উনি বড় মানের কবি ছিলেন, ও উনার এক কবিতার ২টি বিখ্যাত লাইন হচ্ছে, মায়ের নোলক হারিয়ে যাওয়া ও সারা বাংলাদেশে নোলক খোঁজা; এই ২ লাইনে উনি কি বুঝায়েছেন, কেহ পারলে কমেন্ট করে আমাকে একটু বুঝাবেন।

যেসব ব্লগারেরা বাকশালের বিপক্ষে লিখেন, তাঁরা কবি আল মাহমুদের পক্ষে লেখায়, ব্যাপারটা আমার কাছে ধোঁয়াটে লাগছে; তবে, কবি যদি বিশাল কর্ম রেখে যান, উনাকে বদির বউরা, কিংবা শেখ সাহেবের মেয়েরা ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না।






সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:৩৮
২৮টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×