রোহিংগা মেয়েদের খুব সহজেই পতিতাবৃত্তিতে নিয়োগ দিচ্ছে কিছু মানুষ; এসব চাকুরীদাতাদের বড় অংশ হচ্ছে, আগে-আসা ৩ লাখ রোহিংগাদের লোকজন; সাধারণ বাংগালীরাও আছে। আমাদের সব সমস্যা এখন সমাধান করেন শেখ হাসিনা একা, এই সমস্যা আরো বড় হওয়ার আগে, উনাকে এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। এই সমস্যায় পুলিশের লোকজনও যুক্ত থাকার কথা; বাংলাদেশে বিবিএ পাশকরা গ্রেজুয়েটদের চাকুরীদাতাদের পুলিশ হয়তো কম চিনেন; কিন্তু রোহিংগা মেয়েদের পতিতালয়ে কারা চাকুরী দিচ্ছে, পুলিশ তাদের চেনেন; ফলে, শেখ হাসিনাকে ব্যাপারটা নিয়ে কাজ করতে বেশী বেগ পেতে হবে না।
বাংলাদেশে রোহিংগা পরিবারগুলোর আয় নেই, এটা ১টা ফ্যাক্টর; আর, বার্মা, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনে দেহ বিক্রি করে পরিবারের জন্য আয় করাটাকে ভয়ংকর খারাপ চোখে দেখা হয় না; ফলে, এই ব্যবসায় এদের আনার জন্য খুব একটা বেগ পেতে হচ্ছে না। কিন্তু এরা আমাদের দেশে এসেছে বেঁচে থাকতে, পতিতাবৃত্তিকে বাঁচার অংশ বলা ঠিক নয়; এতে ওদের জীবনটা নষ্ট হচ্ছে, সাথে সাথে বাংগালীদের বদনাম হচ্ছে!
রোহিংগারা আরাকানে ফেরত যেতে পারবে না: আরাকান ও বার্মার সাধারণ নাগরিক ওদের চাহে না, হত্যার মাধ্যমে রোহিংগাদের মনে ভীতির সন্চার করা হয়েছে, রোহিংগারা শিক্ষিত নয়, ফিরে গেলে তাল মিলাতে পারবে না। রোহিংগারা যদি দীর্ঘ সময় কাজ না করে, এবং একই এলাকায় সংবদ্ধভাবে বাস করে, তারা আমাদের দেশের জন্য সমস্যা হবে; তাদেরকে অনেক আগেই কাজে নিয়োগ করার দরকার ছিলো। পরিবারের ১ জন কাজ করলে, মেয়েদেরকে আয় নিয়ে ভাবতে হবে না।
কমপক্ষে, ১১ লাখ রোহিংগা সরকারী খাতায় আছে; এদের মাঝে ৩ লাখ কার্যক্ষম পুরুষ আছে; এরা দৈনিক ২৪ লাখ ঘন্টা কাজ করলে বিশাল পরিমাণ সম্পদ উৎপন্ন হবে; সেই উৎপাদিত সম্পদ থেকে তাদেরকে "পরে" বেতন দেয়া সম্ভব, তাদের জন্য কর্মস্হলের আশেপাশ 'গুচ্ছ গ্রাম' গড়ে তোলা সম্ভব। যেখানে বাংগালীরা কাজ পাচ্ছে না, সেখানে ৩ লাখ রোহিংগাকে চাকুরী দেয়া কিভাবে সম্ভব?
এভাবে সম্ভব: রোহিংগাদের পুরো বেতন এখন দেয়ার দরকার নেই; কারণ, তারা সরকারী ও বিদেশী রিলিফ পাচ্ছে; তাদের খাবার খরচ, বাড়ীর খরচ ও মেডিক্যাল খরচ নেই; ফলে, তাদের হাতে বেতনের একাংশ নগদ দিলেই চলবে; এদের কাজের ফলে যে সম্পদ সৃষ্টি হবে, তা থেকে পরে এককালীন পুরো বেতন দেয়া সম্ভব ও সহজ হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫