মিলিটারী শাসন বার্মাকে এমন যায়গায় নিয়েছে যে, আমাদের ঘাঁড়ে এসে পড়েছে তাদের ১২ লাখ অশিক্ষিত ও কিছুটা ভীতিকর জনগোষ্ঠী; সেই দেশের অন্য আরো ২/১টি জনগোষ্ঠীকে হত্যা করছে বার্মার মিলিটারী। পুরো রাখাইনে, ৩০/৪০ বছর বয়সী পুরুষদের দাঁতের খারাপ অবস্হা দেখলে, ওদের স্বাস্হ্য সম্পর্কে ভালো ধরণা পাওয়া সম্ভব। ৬০ বছর মিলিটারী শাসনে থেকে পুরো জাতি অমানুষে পরিণত হয়েছে; পুরো জাতিই তাদের নিজস্ব একটা জনগোষ্ঠী রোহিংগাদের চাহে না; রোহিংগা হত্যায় ধর্মীয় মানুষ, ভিক্ষুরা প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছে।
বার্মা আয়তনে বাংলাদেশের ৪ গুণ বড়; বাংলাদেশের সমান ঘনত্বের জনসংখ্যা হলে, বার্মায় বসবাস করতো ৭২ কোটী মানুষ; কিন্তু বর্তমান বার্মায় বাস করছে ৬ কোটী মানুষ। ওদের মাথাপিছু সম্পদ: জমি, গাছ, তেল, গ্যাস, দামী পাথর মিলে বাংগালীদের চেয়ে ১০০ গুণ বেশী; কিন্তু ওদের জীবনযাত্রার মান বাংলাদেশের চেয়ে অনেক অনেক নীচে।
বার্মার মিলিটারী ১৯৭৯ সাল থেকে শুরু করে, ৪০ বছরে, রোহিংগা জনগোষ্ঠীকে আদিম মানবে পরিণত করেছে, কোচিন নামে এক জনগোষ্ঠীকে নিজ ঘরে ঘুমাতে দিচ্ছে না; চীনারা প্রায় পুরোদেশ অর্থনৈতিকভাবে দখল করে নিয়েছে; রাখাইনের ধর্মীয় মানুষরা, ভিক্ষুরা কাজ করে না।
এগুলো সবই ঘটেছে মিলিটারী শাসনের ফলে। বার্মার মানুষের দুর্গতি আমাদের সমস্যায় পরিণত হয়েছে; পাকিস্তানের মিলিটারী শাসনের ফলে আমাদের ৩০ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
তেমনিই, ২ মিলিটারী জেনারেল বাংলাদেশকে দখল করে নেয়ার পর, বাংলাদেশ তার কক্ষপথ হারিয়েছে; সেই হারানো কক্ষপথে বাংলাদেশ কিছুতেই ফিরে আসতে পারেনি আজো। বাংলাদেশে এই ২ মিলিটারী জেনারেলের দল আজো আছে; আজো অনেকে এসব দলকে চালু রেখেছে; জাতি এদের বুঝতেছে না; আমাদের জাতি রোহিংগা হয়নি, বার্মার অবস্হানে যায়নি; তবে, এই ২ জন জেনারেল ও তাদের দল আমাদেরকে বার্মার কাছাকাছি নিয়ে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৯