গতকাল, ৫ই ফেব্রুয়ারি, আমেরিকান সিনেট ৯ দিনের শুনানী শেষে, দেশের ইমপিচ-করা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নির্দোষ ঘোষণা করেছে, ট্রাম্প তার পদ হারায়নি। ডেমোক্রেটরা এককভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইমপিচ করতে গিয়ে, যথাসম্ভব, বিরাট রাজনৈতিক ভুল করেছে; সিনেট ট্রাম্পকে নির্দোষ ঘোষণা করায়, ট্রাম্পের গলার জোর অনেক বেড়ে গেছে; সাথে সাথে ট্রাম্পের সাপোর্টারেরা ধরে নিয়েছে যে, ট্রাম্প কোনভাবে সংবিধান কিংবা আইন ভংগ করেনি।
ট্রাম্প এখন বড় গলায় বলে বেড়াবে যে, ডেমোক্রেটরা কোন কিছুই সঠিকভাবে করতে সমর্থ নয়। ট্রাম্প আসলে বলার শুরু করেছে: গত ৩রা ফেব্রুয়ারী আইওয়া রাজ্যে ডেমোক্রেটিক দলের প্রথম প্রাইমারী ভোট ( ককাস পদ্ধতিতে, মেশিনে নয়) হয়েছে; ভোটের ফলাফল ঘোষনা, সংরক্ষণ ইত্যাদির জন্য এবার তারা নতুন কম্প্যুটার সফটওয়ার ব্যবহার করেছে; দৈবচক্রে সফটওয়ারটি সঠিকভাবে কাজ করেনি; ফলাফল ঘোষণা করতে ১২/১৩ ঘন্টা দেরী হয়ে গেছে; ট্রাম্প বলেছে যে, এভাবেই অতীতে ওরা দেশ চালায়েছে, ওদের কোন কিছুই কাজ করে না।
ট্রাম্প রাজনীতিবিদ নন, এবং রাজনীতিবিদদের পছন্দ করেন না; ২০১৬ সালে, তার দলের কোন রাজনীতিবিদ চাহেনি যে, সে প্রার্থী নির্বাচিত হোক; রাজনীতিবিদদের দুর্ভাগ্য যে, বিপাবলিকান ভোটারেরা ট্রাম্পকেই প্রার্থী বানায়েছিল ও বিজয়ী করেছিলো। মুল ভোটের আগে, ২ দলই ধরে নিয়েছিলো যে, ট্রাম্প হিলারীর বিপরিতে জয়ী হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। কিন্তু সেই জয়ী হলো।
ট্রাম্প কিছু কিছু বিষয়ে ভালো করেছে; সে খারাপ কিছু কাজ করেছে, যার একটি হলো, দরিদ্র লোকদের হেলথ ইন্স্যুরেন্সের আইনটি বাতিল করে দেয়; এতে যথাসম্ভব ৬ কোটী দরিদ্র মানুষ হেলথ ইন্স্যুরেন্স হারায়েছে। সে আমেরিকার ক্যাপিটেলিজমকে 'গলাকাটা স্তরে' নিয়ে গেছে। আগামী নভেম্বরের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভোট, সে আবার দাঁড়াচ্ছে; ডেমোক্রেটদের তেমন শক্ত প্রার্থী নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৬