বাংলাদেশে চাকুরীজীবি মানুষের চাকুরী চলে গেলে, পরেরদিন থেকে তার আয় থাকে না; চাকুরীহীন নাগরিক, পুনরায় চাকুরী না পাওয়া অবধি চলবে কি করে? এই সাধারণ সমস্যাটি একটি দেশের সরকার ৪৯ বছর সমাধান করতে পারেনি; এই ৪৯ বছর বাংলাদেশের লেবার ডিপার্টমেন্ট ও লেবার মিনিষ্ট্র্রিতে যারা চাকুরী করে গেছে, কিংবা যারা করছে, তারা বুদ্ধিহীনতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে; আন-এমপ্লয়মেন্ট ভাতা চাকুরীজীবির আয় থেকেই দেয়া হয়। চাকুরীজীবিরা নিজেদের এই নাগরিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হননি এই দীর্ঘ সময় ধরে।
আন-এমপ্লয়মেন্ট ইনস্যুরেন্চ চালু করা ছিলো পার্লামেন্টের দায়িত্ব; বাংলাদেশের পার্লামেন্ট সেইদিক থেকে ফেল করেছে; দেশের প্রেসিডেন্ট একটি ডিক্রির মাধ্যমে এটি চালু করতে পারতেন; হাইকোর্ট ইহা চালু করার জন্য দেশের সরকারকে নির্দেশ দিতে পারতো; ট্রেড ইউনিন এই ব্যাপারে দাবী জানাতে পারতো, ও ইহা চালু করতে পারতো; সম্ভাব্য কোন দিক থেকে এই নাগরিক অধিকারটি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়নি, আধুনিক হবুচন্দ্রদের কাহিনী।
আন-ইনস্যুরেন্চ কোন দেশের সরকারের বাজেট থেকে দেয়া লাগে না, উহা চাকুরীজীবির আয় থেকেই আংশিকভাবে কেটে নেয়া হয়, এবং ইহাতে একাংশ আসে প্রতিষ্ঠানের ইনভেষ্টমেন্টের অংশ হিসেবে; প্রতিমাসে (বা বেতন দেয়ার দিন) একজন কর্মচারীর নামে তার মুল বেতনের একাংশ কেটে নিয়ে উহাকে তৃতীয় কোন ফাইন্যানসিয়াল প্রতিষ্টানের মাধ্যমে ইনভেষ্ট করা হয়; সেই ইনভেষ্টমেন্ট থেকে আন-এমপ্লয়মেন্ট ভাতা দেয়া হয়, খুবই সোজা পদ্ধতি, আমাদের ব্লগার নুরু সাহেবও ইহা প্রথমবারেই বুঝ যাবেন।
এসব সোজা ও প্রয়োজনীয় নাগরিক অধিকারগুলো কেন যে, বাংগালীরা বুঝেন না, বা করতে পারেন না, ইহা চিন্তার বিষয়; এই সহজ বিষয়গুলো জাতি যদি না বুঝেন, জাতি কি করে আইনষ্টাইনের থিওরী অব রিলেটিভিটি বুঝবেন, কি করে জাতির উন্নয়ন হবে, কি করে চাকুরীজীবিদের অসহায়ত্ব কমবে, কি করে সমাজে সুখশান্তি আসবে?
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:০৯