খবর নিচ্ছেন, বাংলাদেশের মাসতুতো ভাইবোনেরা কি ভেজাল-করোনা পেলো, নাকি খাঁটি কোয়ালিটির করোনা পেয়েছে !
বাংলাদেশে চীনারা যেসব কাজ করছে, এইসব কাজগুলো বাংগালীরা নিজেই করার কথা, নিজেরাই পারার কথা। বাংলাদেশের প্রশাসন এগুলো চীনাদের দ্বারা করাচ্ছে ওভার-ইনভোয়েসিং করার জন্য; প্রশাসন জাতির সাথে সাব-কন্ট্রাকটারী করছে। চীনা প্রেসিডেন্ট ভয় পাচ্ছে যে, করোনার কারণে বাংলাদেশের প্রশাসন কোন কারণে মত বদলায় কিনা, কিংবা টাকা পয়সার টানাটানিতে পড়ে, নিজেরা আবার কাজকর্মে হাত লাগায় কিনা; বাংলাদেশের মানুষ বেঁকে বসে কিনা, সেই ভয়ে বাংলাদেশে ফোন করছে।
ট্রাম্প প্রতিদিন বলে, চীনের প্রেসিডেন্ট উনার ঘনিষ্ট বন্ধু; কিন্তু গত-সপ্তাহে চীনা-প্রেসিডেন্টের ফোন ধরেনি। এরপর চীনা প্রেসিডেন্ট কাকে ফোন করবেন? এখন লিষ্টে আছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, বার্মা, উত্তর কোরিয়া, শ্রীলংকা ও আফ্রিকা।
আমেরিকা ১ম পদক্ষেপ নিচ্ছে, আমেরিকান ষ্টক-মার্কেট থেকে চীনা পাবলিক কোম্পানীগুলোর ষ্টকগুলোকে বাদ দেয়া হবে: আমেরিকান ষ্টক-মার্কেটে চীনের কয়েক'শ কোম্পানীর শেয়ার লিষ্টেড আছে, এবং সেগুলো সব সময় ভালো করছে; কিন্তু পাবলিক কোম্পানী হিসেবে ঐ কোম্পানীগুলোর বোর্ড-অব-ডাইরেক্টর নির্বাচন ও নিয়োগ ইত্যাদিতে চীনা-ঘাপলা আছে; এবং হিসেবপত্রে আরো বেশী ঘাপলা আছে; এগুলোকে আমেরিকান ষ্টক-মার্কেট থেকে বাদ দেয়ার জন্য বিল এসে গেছে সিনেটে।
আমেরিকা ও ইউরোপ চীন থেকে জানতে চায়, উহান ও হুবেই প্রদেশ থেকে যখন বেইজিং-গামী ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছিলো, তখন কি কারণে আমেরিকা, ইউরোপ ও অন্যদেশ মুখী ফ্লাইট বন্ধ করা হয়নি? ভাইরাসের উৎপত্তিস্হল নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, চীনা ফ্লাইট নিয়ে কোন বিতর্ক নেই।
বাংলাদেশে শুধু ফোন নয়, দরকার হলে, চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে চলেও আসতে পারে। শুধু বাংলাদেশ যে ফোন পেয়েছে তা নয়, আফ্রিকার সবাই ফোন ও করোনা-কালীন সাহায্যও পাবে। ইউরোপ চীনাদের সততা নিয়ে সব সময় সান্দিহান ছিলো; আমেরিকানরাও তাই; কিন্তু আমেরিকার লোভী রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা আমেরিকান মানুষের স্বার্থের বিপক্ষে কাজ করে আসছিলো বরাবরই , সেই কারণে, চীনারা আমেরিকান গাড়ী বানায়, আর আমেরিকনরা উহা বিক্রয় করে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:৪০