গতকাল আমেরিকান বিক্ষোভের ৬ষ্ঠ দিন শেষ হলো; মনে হচ্ছিল, শনিবারের পর, মানুষের ক্ষোভ কমে আসবে, রবিবার মানুষ তেমন নামবে না রাস্তায়; আসলে, উল্টোটা ঘটেছে, রবিবারে বেশী মানুষ নেমেছে ও অবস্হা খারাপের দিকে চলে গিয়েছে।
ট্রাম্প যেভাবে করোনা হ্যান্ডলিং করেছে, উহার শাস্তি হওয়ার দরকার; যাক, মানুষ জানে যে, আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের শাস্তি হয় না; মানুষের মনে ভয়ংকর ক্ষোভ জমেছে; ট্রাম্প দেশের ভবিষ্যতকে ভয়ংকর রিস্কের মাঝে ঠেলে দিয়ে টাকা ছড়াচ্ছে নিজের অপরাধ ঢাকার জন্য ও আগামী ভোটের আশায়। যাক, গত ৬ দিনের বিক্ষোভ প্রমাণ করছে যে, মানুষ টাকা নিয়ে সন্তষ্ট নয়, তারা তাদের ও আমেরিকার ভবিষ্যত নিয়ে হতাশ ও শংকিত; জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু মানুষের বিক্ষুব্ধ মনে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।
ট্রাম্প এই বিক্ষোভ না থামিয়ে, উল্টো মানুষকে ক্ষেপিয়ে দিয়েছে; কিছু মানুষ গত শুক্রবারে হোয়াইট হাউজের দেয়াল ডিংগিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলো; এটাকে কেন্দ্র করে সে বলেছে, "দেয়াল টপকায়ে ভেতরে ঢুকলে, ওরা ভয়ংকর কুকুর ও জাহান্নামের গুলির মাঝে পড়বে"। এটা কোন আমেরিকান প্রেসিডেন্টের কথা হতে পারে না; সে বুঝে, বা না বুঝে ভয়ংকর উস্কানী দিয়েছে; ফলাফল, হোয়াইট হাউজের ২০০ গজের মাঝে, আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের ধর্মীয় মিলনস্হান, ঐতিহাসিক গীর্জা পোড়ায়ে দিয়েছে মানুষ।
বিক্ষোভের গতি বেড়েছে, কিন্তু মান হারিয়ে গেছে; কিছু দরিদ্র আফ্রিকান আমেরিকান, দরিদ্র সাদা ও দরিদ্র স্পেনিশ দোকানপাট লুট করে চলেছে; ইহা ট্রাম্পকে অস্ত্র দিচ্ছে, সে ন্যাশনাল গার্ড নামিয়ে বিক্ষোভ বন্ধ করিয়ে দিতে পারে; আবার, ন্যাশনাল গার্ড যদি বিক্ষোভ থামাতে না পারে, তখন তাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। মনে হচ্ছে, সে ন্যাশনাল গার্ড নামানোর জন্য অপেক্ষা করছে।
বিক্ষোভকারীরা এখনো ট্রাম্পের পদত্যাগ চাচ্ছে না; মানুষ আসলে তেমন কোন দাবী দিচ্ছে না, মানুষ মনের ক্ষোভ উড়াচ্ছে। ট্রাম্প হঠাৎ করে ভয় পেয়ে যেতে পারে যে, সে আগামী ভোটে জিতবে না, তখন সে তার পক্ষের লোকদের রাস্তায় নামার জন্য বলবে; ওর পক্ষের লোকেরা রাস্তায় নামলে, সাথে অস্ত্র নিয়ে আসতে পারে; সেটা ভয়ংকর হতে পারে; তবে, সেটা হবে ভয়ংকর ভুল, পুলিশ, কিংবা ন্যাশনাল গার্ড অস্ত্র হাতে কাউকে সহ্য করবে না।
মনে হচ্ছে, ট্রাম্প অপেক্ষা করছে মানুষের ক্ষোভ স্বাভাবিকভাবে কমে আসুক, অথবা সে ন্যাশনাল গার্ড নামানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছে; তবে, ন্যাশনাল গার্ড ফেল করলে, ট্রাম্পকে বিদায় নিতে হবে, তার পদত্যাগ চাওয়ার দরকার হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৯