বাংগালীরা যেসব কাজ নিজে করার কথা ছিলো: পদ্মাসেতু, হাইওয়ে, বিদ্যুতকেন্দ্র, ড্রেইজিং, শিল্পএলাকার ইনফ্রাষ্ট্রাকচার; যেখানে নিজেদের ইন্জিনিয়ারদের চাকুরী হওয়ার কথা ছিলো, যেখানে ইন্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ানরা অভিজ্ঞতা সন্চয়ের কথা ছিলো, সেগুলো বাংলাদেশ সরকার চীনাদের দ্বারা করাচ্ছে; আমাদের ইন্জিনিয়ারেরা সামুতে কবিতা লিখছেন, হাদিস ব্যাখ্যা করছেন, রাজনৈতিক পোষ্ট লিখছেন, ফেইসবুকে বার্মার উপর এটম বোমা ফেলছেন।
মনে হয়, চীনারা খুশী হয়ে আমাদেরকে করোনার টিকা দিতে চায়; টিকা এখনো দেয়ার মতো স্তরে পৌঁছে নাই; আমাদের সরকারের সাথে ৩য় ফেইজের পরীক্ষা করার জন্য চুক্তি করেছেন। সরকার এই ব্যাপারের মানুষকে এখনো কিছু জানায়নি; চুক্তি করেছে স্বাস্হ্য বিভাগ; ওরা মনে হয়, আপার জন্য অপেক্ষা করবে, খবরটা ভাংগবেন আপা। যাক, চুক্তি অনুসারের হয়তো ৫/১০ হাজার ভলনটিয়ার টিকা নেবেন; আপাতত: একজন আছেন, তিনি হচ্ছেন, আমাদেরই ব্লগার শাহ আজিজ সাহেব; আর আমি বুঝালে ব্লগার নুরু সাহেবও ভলনটিয়ার হবেন, আশাকরি।
চীনারা মনে হয়, তাদের মিলিটারীর উপর পরীক্ষা নীরিক্ষা করছে; ওরা মিলিটারী ও জনতার উপর পরীক্ষা নীরাক্ষা করার সময়, তাদের মতামত নেয় কিনা কে জানে! তবে, বাংলাদেশের ডাক্তার নার্সেরা চীনা ভাষায় কথা বলে না, এবং বাদুরের স্যুপ খায় না; ফলে, চীনা টিকার জন্য স্বাস্হ বিভাগ থেকে ভলনটিয়ার পাওয়া সহজ হবে না।
আরেক সমস্যা হচ্ছে, সময়; ১৮ মাস নাকি বাংলাদেশের ৩য় ফেইজে লাগবে! মনে হয়, ইহা লম্বা সময়। আমেরিকার ১ কোম্পানী, এস্ট্রোজেনিকা বলছে, তারা টিকার উপর লাভ করবে না; আমেরিকানদের জন্য মাথাপিছু ২ ডলার পড়তে পারে টিকা। মাথাপিছু ২ ডলার পড়লে, হয়তো ৫০০ মিলিয়ন ডলারের মাঝে হয়ে যাবে; তবে, ট্রাম্প গতকালই ফাইজারকে ২ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে তাড়াহুড়া করার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৩