বাংলাদেশে ১৮ জনের বেশী ব্লগারকে হত্যা করা হয়েছে, ৮/১০ জন ব্লগার আহত হয়েছেন, কোন প্রকারে প্রাণে বেঁচে গেছেন; যাঁরা প্রানে বেঁচে গেছেন, তাঁরা সমাজ থেকে পালিয়েেছেন, পরিচয় গোপন করে আছেন। একজন ব্লগার পোষ্ট লিখে কত বড় অপরাধ করতে পারে যে, অন্য একজন ব্লগার তার হত্যার সমর্থন করতে পারে?
আমার মনে হয়, ব্লগে এমন কিছু কেহ লিখতে পারেন না, যা পড়ে কোন কোন ব্লগার, লেখক ব্লগারের মৃত্যু কামনা করতে, হত্যায় সাহায্য করতে পারে, হত্যা সমর্থন করতে পারে, হত্যার পক্ষে যুক্তি দেখাতে পারে, মৃত ব্লগারের দোষ খুঁজে বেড়ায়; এরা ব্লগার নয়, এরা খারাপ লোকজন।
ব্লগে লেখার কারণে, কয়েকটি দেশে ব্লগারদের প্রাণ হারাতে হয়েছে; অন্য জাতির তুলনায়, বাংলাদেশে ব্লগিং নেই বললেই চলে, এবং ব্লগিং এখনো বেশ প্রাথমিক স্তরে আছে; কিন্তু ব্লগার হত্যায় বাংলাদেশ সবার চেয়ে এগিয়ে আছে; এই জাতির মাঝে অনেক হত্যাকারী আছে, যারা সুযোগ পেলে হত্যাকান্ড চালায়, ব্লগে এদের বিচরণ ছিলো।
ব্লগার হত্যায় কিছু ব্লগারের ভুমিকা ছিলো: এরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্লগারদের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে থাকতে পারে, সমর্থন দেখায়েছে, হত্যার পক্ষে লিখেছে, কিংবা এমনভাবে মন্তব্য করেছে, যা ব্লগার হত্যাকারীদের পক্ষে গেছে।
ব্লগার হত্যাকান্ডের পর, বাংলাদেশে ব্লগিং অনেকটা থেমে গেছে; ব্লগিং নিয়ে মানুষের মাঝে ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। ব্লগে এখনো প্রচুর ব্লগার আছে, যারা ব্লগার হত্যাকে সমর্থন করে, এরা কোনভাবেই ব্লগার নন, ব্লগে এদের বিচরণ ভয়ংকর ব্যাপার।
বাংলাদেশের ৩ পরিচিত মুখ প্রত্যক্ষভাবে ব্লগিং এর বিপক্ষে মতামত সৃষ্টি করেছে, হত্যাকান্ডকে উৎসাহিত করেছে; এরা হচ্ছে, বেগম জিয়া, তথাকথিত সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান ও মোল্লা শফি। শেখ হাসিনা বেগম জিয়া ও মাহমুদুর রহমানকে কিছুটা শাস্তি দিয়েছে; মোল্লা শফি শাস্তি পায়নি, বরং পুরস্কৃত হয়েছে; ব্লগে বেগম জিয়া, মাহমুদুর রহমান ও মোল্লা শফির সমর্থকের অভাব ছিলো না, এখনো আছে!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫১