জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্হার ডেফিনিশন হচ্ছে, সমাজের উন্নয়নে মানুষের সুক্ষ্মজ্ঞান প্রয়োগ করে, নাগরিক জীবনের সমস্যাগুলোকে ক্রমাগত-কার্যকরভাবে সমাধান করে, সমাজের সুখ-শান্তি বৃদ্ধি করা। আজকের বিশ্বে, নাগরিক জীবনে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, জাতিগুলোর মাঝে সম্পদ ও সুযোগ নিয়ে প্রতিযোগীতা, এবং বেশীরভাগ সময়ে, অসম ও অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা। জাতিগুলোর মাঝে অকারণ ও অসম প্রতিযোগীতার ফলে জাতিগুলো পরস্পরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারছে না, এবং সমবেতভাবে সমগ্র মানব জাতির সমস্যাকে সমাধানের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে পারছে না। মানব জাতির বড় সমস্যা এখনো খাদ্য, শিক্ষা, আয়, চিকিৎসা, বাসস্হান, পরিবেশ সংরক্ষণ ও যু্দ্ধ এড়ানো।
কিছু কিছু জাতি, শিক্ষাদীক্ষা ও জ্ঞানবিজ্ঞানে খুবই উন্নত হয়ে গেছে, তাদের জীবনের মান উন্নত; একই সাথে কিছু জাতি ক্রমাগতভাবে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিক্ষা-সংস্কৃতিতে পেছনে পড়ে সমস্যায় জড়িত হচ্ছে নতুন করে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য মানুষের লব্ধজ্ঞানের প্রয়োগ দরকার সারা বিশ্বে।
জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্হা গড়ে তোলার জন্য এই মহুর্তে বড় বাধা হচ্ছে, রাজনীতিতে পেশাদার মানুষের অভাব ও অর্থনীতিতে ধনিক শ্রেণীর অশুভ কন্ট্রোল। অপেশাদার রাজনীতিবিদদের এজেন্ডা অনেক জাতিকে তাদের মুল সমস্যা থেকে দুরে রেখে ভুল পথে নিয়ে যায়, তারা ভুল এজেন্ডা কার্যকরী করতে সময় ও সম্পদ প্রয়োগ করে জাতির ক্ষতি করে; উদাহরণ হিসেবে ইয়েমেনের কথা বলা যেতে পারে। ইয়েমেনের হুতি রাজনীতিবিদরা মানুষকে ভুল পথে নিয়ে গেছে, তাদের এজেন্ডা হুতিরা সংখ্যাগরিষ্ট, তাদের মতানুসারে দেশ চলবে। আসলে, ছোট এই জাতির সবাই একই ধরণের মানুষ, তারা একই দেশে আছে, একই পরিবেশে বাস করছে, তাদের সবার নাগরিক অধিকার একই রকম হওয়ার কথা। হুতিদের ভুল রাজনৈতিক এজেন্ডা জাতির সম্পদ ও সুযোগকে বিনষ্ট করে দিচ্ছে।
ক্যাপিটেলিষ্ট আমেরিকায়, মাত্র কয়ে'শ পরিবার দেশের ৮০ ভাগ সম্পদ দখল করে রেখেছে; তাদের ভয়ংকর কন্ট্রোলের ফলে রাজনীতি, অর্থনীতিতে সাধারণ মানুষের অধিকার অনেকটা নেই বললেই চলে। করোনায়, আমেরিকান সরকার 'রেসকিউ প্যাকের' নামে ৪ ট্রিলিয়ন ব্যয় করেছে; পুরো টাকাটা চলে গেছে কর্পোরেট আমেরিকার হাতে। আমেরিকার এয়ার লাইনসগুলো বসে বসে ১ বছরে ৬০ বিলিয়ন পেয়েছে, আরো পাবে; কিন্তু মহামারীর আগে, তারা যখন ব্যবসা করছিলো, তখন তারা এতো টাকা আয় করতে পারেনি; তারা এতো টাকা কিভাবে পেয়ে গেলো? কারণ, রাজনীতি তারাই কন্ট্রোল করছে; তাদেরকে টাকা না দিলে, রাজনোোতিবিদেরা ভোটে পরাজিত হবে। বাইডেনকে জয়ী করার জন্য বিলিওনিয়ার ব্লুমবার্গ জর্জিয়া রাজ্যে একাই ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। অথচ, ভোটের সময়, তার নিজের কর্পোরেশন থেকে মানুষ চাটাই করা হয়েছে।
( পরে আরো লিখবো )
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯