গত বছর ৮/৯ লাখ তরুণ, তরুণী গ্রেজুয়েশান করার কথা ছিলো, তাদের কি হলো আমি ঠিক জানি না; তবে, এদের মাঝে হয়তো ৮/৯ হাজারও চাকুরী পায়নি। এ'ছাড়া অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ১০/১১ লাখ শ্রমিক বাজারে আসার কথা ছিলো; এদের থেকে কেহ কি রেগুলার চাকুরী পেয়েছেন বলে মনে হয়? করোনার ফলে, কি পরিমাণ গার্মেন্টস কর্মী চাকুরী হারালেন?
শিক্ষকদের বড় অংশ, সরকারী চাকুরেদের বড় অংশ, এমপি'রা কাজ না করে, বসে বসে বেতন পেয়ে যাচ্ছেন; কিন্তু গার্মেন্টস'এর মেয়েরা কাজ করেও বেতন পাচ্ছে না, চাকুরী চলে যাচ্ছে; দেখছেন কি ধরণের অর্থনীতি চালু করেছেন বাবা মাইজভান্ডারী!
মানুষ ১ম লক-ডাউনে ঠিক মতো নিয়ম কানুন মানেনি; এবার কিছুই মানছেন না; সরকার মোটামুটি মানুষকে কিছু বলছে না, আদেশ দিয়ে দায় সারা। মানুষ একবার অরাজকতায় অভ্যস্ত হয়ে পড়লে, তাদেরকে নিয়ম কানুনের মাঝে ফেরত নেয়া খুবই কঠিন কাজ; বাংলাদেশের মানুষ অনেকভাবেই এনার্খিষ্ট।
মানুষ পিএম'এর কথায়ও আজকাল কান দিচ্ছেন না; কারণ, পিএম কোনভাবেই মানুষকে এই মহামারীতে সঠিক প্ল্যানের মাধ্যমে সাহায্য করেননি, সম্পৃক্ত করেননি; আসলে, দেশে কি হচ্ছে, কি হতে যাচ্ছে, মানুষকে কিছুই পরিস্কার করে বলা হয়নি; টিকার ব্যাপারে মানুষ যখন বিভ্রান্ত ছিলো, সরকার মানুষকে সঠিকভাবে জানায়নি যে, সরকার কি পরিমাণ টিকা কেনার জন্য কি পরিমাণ ডলার পে করেছে।
প্রেসিডেন্ট কিংবা পিএম'এর দিক থেকে মানুষকে কি বুঝানো হয়েছে যে, করোনা যদিএভাবে চলতে থাকে, বেকারত্ব বাড়তে থাকবে, সরকারের পক্ষে নতুন ভাবে চাকুরী সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না! মানুষ কি বুঝতে পারছেন যে, করোনার আগেও আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিলো বেকারত্ব? এইভাবে ২/৩ বছর করোনা চলতে থাকলে, আমাদের জাতির অবস্হা কি হবে? কাজ না করলে, আমরা কতবার কি পরিমাণ টিকা কিনতে পারবো?
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮