গাজা বাংলাদেশের যে কোন উপজেলার সমান কিংবা একটু ছোট হবে; বাংলাদেশের উপজেলাগুলোতে গড়ে ৫/৬ লাখ মানুষ করে, গাজায় বাস করে ১৮ লাখ; বাংলাদেশের উপজেলার মানুষেরা সারাদেশে যেতে পারে, গাজার লোকেরা কোথায়ও যেতে পারে না, ৩ দিকে কাঁটাতারের ঘেরাও ও ইসরায়েলের সিকিউরিটি, এটা হলো ১ম স্তরের বন্দীত্ব।
গাজার মানুষ ২ স্তরে বন্দী হচ্ছে হামাসের হাতে; হামাস তাদের ভোট পায়, ভয়েই হামাসকে ভোট দিতে হয়। প্যালেষ্টাইনীদের ভুল ধারণা, হামাস তাদেরকে রক্ষা করছে; আসলে, তাদের সকল কষ্টের মুল হচ্ছে হামাস, পিএলও ও ইরান। ইরানী রাজনীতি বিশ্বের কাছে গ্রহযোগ্য নয়, ইরানীদের কারণে প্যালেষ্টাইনীরা বিশ্বের কিছুটা সহানুভুতি হারাচ্ছে।
গাজায় বেকারত্বের হার শতকরা ৫০ ভাগের বেশী; গাজায় যারা ভালো আছে, তারা হয় হামাস পরিবারে লোকজন, কিংবা হামাসদের অনুগ্রহ প্রাপ্তরা। হামাস ভুল রাজনীতি করছে, ভুল কাজ করছে, হামাসের অন্যায় ও ভুলের জন্য খড়গ নামে সাধারণ মানুষের উপর। এবার গন্ডগোল শুরু হয়েছিলো জেরুসালেমে, এবং ইহুদীদের উসকানীর ফলে। জেরুসালেমে ফিলিস্তিনী মুসলামন ও ইহুদীদের মারামারিতে কেহ প্রাণ হারায়নি তখনো, যখন হামাস ২০০ রকেট ছাড়ে।
হামাস রকেট ছুঁড়লে তখন কি ঘটে? তখনই ফিলিস্তিনীদের প্রাণ যায় ইসরায়েলী বোমায়। ২০১৪ সালে, হামাস ৩ টি ইসরায়েলী কিশোরকে হত্যা করে, বিনিময়ে ২৩০০ ফিলিস্তিকেে প্রান দিতে হয়েছিলো, ৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নষ্ট হয়েছিলো; এবার যেখানে যেরুসালেমে কেহ মারা যায়নি, হামাসের রকেটর কারণে গাজার ২০০ মানুষকে প্রান দিতে হয়েছে; এর মাঝে আছে ৫৮ জন শিশু; সমানে আরো ভয়ংকর কিছু ঘটবে।
গাজার মানুষ কি চায় যে, হামাস লক্ষ্যহীনভাবে ইসরায়েলের সাধারণ মানুষের উপর রকেট আক্রমণ চালাক? গাজার মানুষ হামাসকে রকেট ছোঁড়া থেকে বিরত করতে পারবে? হামাস গাজার মানুষের কথা শুনে? গাজার মানুষ কাজ করে ইসরায়েল গিয়ে, ওদের চাকুরী আছে এখন? গাজার মানুষ হামাসের বিপক্ষে প্রতিবাদ করতে পারবে?
ইসরায়েলের ৪০ ভাগ মানুষ চায় যে, প্যালেষ্টাইদের ভুমি ফেরত দেয়া হোক; আজকে, হামাসের রকেটের কারণে ইসরায়েলের মানুষ সরকারের বিপক্ষে প্রতিবাদ করার সুযোগ পাচ্ছে না; কিন্তু এভাবে গাজায় বোমা ফেলাটা সব ইসরায়েলী পছন্দ করছে না, তারা শীঘ্রই প্রতিবাদ করবে; কিন্তু গাজার মানুষ হামাসকে কোনভাবে থামাতে পারবে না, রকেট ছোঁড়া বন্ধ করতে বলার সাহস কোন গাজাবাসীর নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২