আমরা এক উৎসব মুখর জাতি। যে কোন কিছুতেই উৎসব আমাদের জুরি মেলা ভার। রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়ের কোন জুরি নেই আমাদের। আর থাকবেই বা কেন, বাড়ীর কাজের লোককে যদি রাত ১০টার পর জগে পানি ভরে রাখতে বলা হয় সে মুখ কালো করে কিন্তু ঠিক একই ব্যাক্তিকে রাত ১২টার সময় ৫লিটার তেল কিনতে দিলে সে হাসতে হাসতে চলে যায়, কেননা সেখানে তার অবৈধ স্বার্থ আছে, বিক্রেতার হাতে ধরে হলে ৫টাকা কম দিবে। বছর ৫ আগে একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলাম, ঠিক তার ৪/৫দিন সে অফিসের কর্মকর্তার সঙ্গে একটা কাজ পরলে অনেক সময় বসে গল্প করলাম। একটা বিল আসল উনার সামনে ১লাখ ৭০বা ৭৫হাজার টাকার। আমি বেশ আগ্রহণ নিয়ে বললাম আপনাদের তো খরচ আছে বেশ। উত্তর দিল আরে সেদিন যে আপনাদের নিয়ে সেমিনার হল সেটার খরচ। আমি মনে মনে হিসেব কষে দেখলাম সেরকম ছোট সেমিনার করতে বড় জোর ১৫/২০হাজার টাকা খরচ হওয়ার কথা।
আমরা যখন মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তর হয়ে গেলাম তখন বেশ উৎসব হলো একটা। সারাদেশে আলোক সজ্জা, ফেস্টুন, ব্যানার, সরকারী অফিসে উৎসব আমেজ, মাইকে ভাষণ আরো কত্ত কি। কয়েকদিন আগে দেখলাম সরকারের একজন বলল -যা বলেছি ভুল, থুক্কু। - তো আমরা কি থুক্কু উৎসব করতে পারি না? আবার না জানি কেও বলে বসে সেটি তার ব্যাক্তিগত মন্তব্য। যা হউক রাষ্ট্রে মন্ত্রীর কথাও ব্যাক্তিগত হয়। আলহামদুলিল্লাহ বলা ছাড়া আর কি বলার আছে।
যা হউক থুক্কু উৎসবটা করা গেলে আমরা একই কাজের জন্য ২টা উৎসব পাবো। সবাই এক যোগে থুক্কু বলবে। সেই সৌজন্য কাঙালি ভোজ হবে যেমনটি মৃত ব্যাক্তির উদ্দেশ্য করা হয়। মাইকে মাইকে শোক সংগীত বাজবে। মোড়ে মোড়ে কান্নার ছবি দিয়ে থুক্কু লেখা থাকবে। মিডিয়া নিউজ কভারেজ করবে, আজ সারা দেশে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনায় পালিত হচ্ছে থুক্কু উৎসব। রষ্ট্র এ উৎসব পালনের জন্য সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের ২০% উৎসব বোনাস প্রদান করেছেন। দেশ উন্নয়নে আরো একধান এগিয়ে গেল।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫২