কোন এক যায়গায় এটার জন্য একটা ডিটেল ব্যাখ্যা লিখেছিলাম, আজকে সেটাকে পেয়ে এখানে নোট করে দিলাম, কারো কারো উপকারে লাগতে পারে:
দেশে বৈদেশিক মুদ্রা তথা ডলার আসে রপ্তানী, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক ত্রান ও লোনের মাধ্যমে
উপরের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় না করে শুধু টাকা ছাপালে দেশে মুদ্রাস্ফীতি ঘটবে, বাজারে সম্পদের মুভমেন্টের মাধ্যমেই সেটার পরিমান বৃদ্ধি পায়। মুদ্রাস্ফীতি কেন ঘটে সেটা খুবই সরলভাবে বুঝাই, উৎপাদন বৃদ্ধি না পেয়ে অর্থের জোগান বৃদ্ধি পেলে মুদ্রাস্ফীতি হয়। যদি বাজারে মুরগীর সাপ্লাই না আসে, তবে মুরগীর দাম বেড়ে যাবে। হয়ত আগে একশ টাকায় একটা মুরগী কিনতে পারতেন, সেটার জন্য এখন পাচশ টাকা, সেটাই মুদ্রাস্ফীতি
একটা দেশ চালাতে অনেক কিছুই কিনতে হয়, সরকারের জন্য ঘোড়া গাড়ি থেকে প্লেন কেনার জন্য বিদেশের কারখানা থেকে আমদানী করতে হয় , সেই আমদানীর টাকা মেটাতে হয় বৈদেশিক মুদ্রায়। ধরুন এক মন সোনা বাজারে বিক্রি না করে সেটা সিন্দুকে রেখে দিলেন, সেটা অটোমেটিকালি সিন্দুকে ভ্যালু এড করবে না, সেটাকে আপনার বিক্রি করে চালডাল কিনতে হবে, এখন আপনি একটা দেশ, আপনার দেশের ধাতব মুদ্রার বিনিময়ে কে কত পরিমান চালডাল দেবে, এটাই ডলার আর টাকার এক্সচেন্জ রেটটা ঠিক করে দেয়
বৈদেশিক মুদ্রা আয় না করেও একটা দেশ টিকে থাকতে পারে, কিন্তু পৃথিবীতে এরকম দেশ নেই, মোটামুটি গরীব দেশেরও কিছু না কিছু বেচাবিক্রির থাকে, কেউ বেগার খাটে না
টাকার বিনিময়ে ডলার যদি আন্তর্জাতিক বাজারে কিনতে পারা না যায় তাহলে টাকার কোন ভ্যালু থাকে না। এজন্যই বিদেশের ব্যাংকে নস্ট্র আর ভস্ট্র একাউন্টের মাধ্যমে আমাদের দেশের পণ্যের বিনিময়ে আমরা বিদেশের মুদ্রা পাই আর বিদেশী জিনিস কেনার জন্য সেই টাকা খরচ করি
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৪