কৃত্রিমতা হলো মেকিপনা, স্বভাবজাত না এমন। এই যেমন আমার যেভাবে হাঁটা দরকার ছিলো, সেভাবে হাঁটি না; নতুন একটা রূপ নিয়ে আসি। আমার মাঝে যে যোগ্যতা নেই, তাও আছে এমন ভাব দেখাই।
স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে প্রাণান্তকর ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাই। আমার যা বলার ছিলো, তা না বলে বাড়তি বলি। আই মিন, কৃত্রিম একটা অবয়ব নিয়ে প্রকাশিত হই। এটা খুব খারাপ। নিজের জন্যও, সমাজের জন্যও। এটা অশ্লীল ভণ্ডামি।
মাঝে মাঝে চাপাবাজ কিছু কৃত্রিম মানুষদের দেখে চরম হাসি পায়। আসলে আমাদের জানার পরিধি কম। বাঙালি হলেই এমন হতে হয় কি না, জানি না। আমরা যতোটা না জানি তার চেয়ে বেশি বলি। এটা মেধা ও চিন্তার জন্য খুবই ক্ষতিকর। উচিত ছিল, জানবো বেশি বলবো কম।
আমরা সাহিত্যে পড়েছি, সাহিত্য দুই প্রকার। একটা হলো স্বভাবজাত সাহিত্য, আরেকটা হলো কৃত্রিম সাহিত্য। আমাদের চারপাশ খুঁজলে এই দুই প্রকারের সাহিত্য খুব সহজেই অনুমেয় হবে।
সাহিত্যে আবেদন হলো মূল। আমি পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পারলাম কি না সেটা মুখ্য। তার অন্তরে রেখাপাত করাই সাহিত্যের বড় সফলতা। ভাষা আমার সহজ হতে পারে। বাক্যের শৈল্পিকতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কতেক দুর্বোধ্য শব্দসমষ্টির সারি সারি স্তূপ নাও গড়তে পারি। এটা বিষয় না।
এর বাইরে যা আছে কৃত্রিম। জাল, নকল, অসত্য এবং অপ্রকৃত। যাক আমার টপিক কিন্তু সাহিত্য না। যেটা বলতো চাই, কৃত্রিমতা সবসময়ই অগ্রহণযোগ্য। ভ্যালুলেস। কৃত্রিমতা আমাদের গিলে খাচ্ছে। রুচিবোধ, ভালোবাসা, প্রেম সবই দুষ্প্রাপ্যতার বাজারে হারিয়ে যাচ্ছে। ভাণ্ডামিতে ছেয়ে গেছে সমাজ।