২ টা গল্প বলব ,বাস্তব জীবন থেকে নেয়া । এই দুটো গল্পে আমদের নিচু মাসিকতার রুপ খুঁজে পাবেন ।
১) এক বৃদ্ধলোক অনেকগুলো কলা নিয়ে রাস্তার ধারে বসে আছেন সকাল থেকে । বেঁচাকেনা একদম হয়নি । বেঁচতে না পারলে তার পরিবারের খাবার জুটবেনা । তখন এক মহিলা আসল । জাঁকজমক পোষাক পড়া । মহিলা বৃদ্ধ লোকটিকে জিজ্ঞেস করল ," কলা কত করে।''?
বৃদ্ধ লোকটি বলল ," পাঁচ টাকা করে প্রতি পিস "।
মহিলা তখন বলল ," ছয়টা কলা পঁচিশ টাকা হলে দিন নাহলে নিবনা "।
বৃদ্ধ লোকটির এই টাকায় বেঁচলে খুব কম লাভ হবে । তারপরও তিনি ঐ টাকায় বেঁচলেন ।
মহিলা কলা কিনে লাভবান হয়েছে এই ভেবে বেশ খুশী মনেই চলে গেল ।
সন্ধ্যাবেলায় মহিলা তার বন্ধু-বান্ধব নিয়ে রেষ্টুরেন্টে খেতে গেল । খাওয়ার পর সেখানে বিল হয়েছে ৯৫০ টাকা । মহিলা ১০০০ টাকার নোট দিয়ে বাকি ৫০ টাকা টিপস দিলেন । রেস্টুরেন্টে টিপস হিসেবে দেয়া টাকাটার চেয়ে রাস্তার পাশে বৃদ্ধলোকটিকে পাঁচ টাকা দিলে তার উপকার বেশি হত । যে বেশি গরীব তাকে আমরা আরো বেশি গরীব বানাচ্ছি ।
( আমরা ঠিক একই কাজ করি প্রতিনিয়ত ,রাস্তার পাশে যত সস্থায় পারা যায় জিনিস কিনি , আর বড় বড় জায়গায় গেলে খুব উদার হয়ে পড়ি ।)
২) একজন প্রভাষক কলেজে(ইন্টারমিডিয়েট) ক্লাস নিচ্ছেন । ক্লাস নেয়ার সময় সবাইকে জিজ্ঞেস করলেন ," তোমরা কেউ কি শিক্ষক হতে চাও ?
ক্লাসে সবাই তখন নিরব ।কেউ শিক্ষক হতে চায়না ।
তখন তিনি আবার প্রশ্ন করলেন ," কে কে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাও ''?
তখন অর্ধেকের বেশি হাত তুলল ।
তখন তিনি আবার বললেন , সরাকারি একজন কলেজের শিক্ষক আর ইঞ্জিনিয়ারের বেতন এবং সম্মান প্রায় সমান ।তারপরেও কেন কেউ শিক্ষক হতে চাওনা?
তখন একজন ছাত্র বলল ,স্যার ইঞ্জিনিয়ারের তো আলাদা ইনকামের উপায় আছে ।"
( এই শিক্ষক ব্যক্তিটি হলেন ,জনপ্রিয় শিক্ষক ও ব্যক্তিত্ব "আবদুল্লাহ আবু সাঈদ " ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬