somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বার বার ফিরে আসে জাতীয় দূর্ভাগ্য

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমরা ৬৯ পেয়েছি, ৭০ পেয়েছি, ৭১ পেয়েছি, ৩০ লক্ষ প্রাণ দিয়েছি, ২ লক্ষ ইজ্জত দিয়েছি তথাপি দুষ্টলোকেরা বলে আমরা নাকি স্বাধীন হইনি। তবে কি আবার ৬৯, ৭০, ৭১ জাতীয় কিছু প্রয়োজন? আমাদের প্রাণের অভাব নেই, ইজ্জতের অভাব নেই, দিতে কি? যারা স্বাধীণতার যুদ্ধ দেখেনি দুষ্টরা কি তাদেরকে আবার স্বাধীণতা যুদ্ধ দেখাতে চায়? দুষ্টের স্থান কারাগার। দরকার হয় ১৭ কোটি লোকের থাকার মত কারাগার ব্যবস্থা হবে তথাপি দুষ্টের প্রশ্রয় হবে না। এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবেনাকো তুমি। সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।

তারা কেন নির্বাচনে আসলো? আগেরবার নির্বাচনে না এসে তারা ভুল করেনি সে কথা প্রমাণ করতেই তারা এবার নির্বাচনে আসলো।বুঝিনা ভদ্র লোকেরা এত মারামারি করে কেন? সৈরাচার তাড়ায়ে তাদেরকে ক্ষমতা দেওয়ার পর তাদের মনে সৈরাচার হওয়ার খায়েশ জাগলো এটা দেখার জন্য যে জনগণ তাদেরকে নিয়ে কি করে! তারা দেখলো জনগণ তাদেরকেও তাড়িয়ে দিয়েছে। এখন তারা চিড়িয়া খানার প্রাণী। এখন তারা আমাদের প্রাণী সম্পদ।এত্ত কিছুর পরেও তাদের মনোনয়োন বানিজ্য থামেনি।একজন কাকুরে বিশ্ব বেহায়া খেতাব দিয়েছিল। এখন তারা যে কি সেটার হিসেব কষিতে বসেছে জনগণ।

গণতন্ত্রের জন্য নূর হোসেন জীবন দিয়েছে। গণতন্ত্র কি মুক্তি পেয়েছে? শিক্ষিত লোকেরা বলে এ জাতি গণতন্ত্রের যোগ্য নয়। তবে কি শিক্ষিত ছিলনা বলেই নূর হোসেন প্রাণটা বিসর্জন দিয়েছে। কেউ স্বৈরাচার কোলে নেয়। কেউ রাজাকার কোলে নেয়? দুষ্টলোকেরা প্রশ্ন করে এরা এমন করে কেন? বোকা লোকেরা বুঝেনা উপরে যে যাই বলুক ভিতরে যে তারাও সেরকম তারা সেটা জনগণকে বুঝাতে চায় অথচ অবোধ জনগণ সেটা কিছুতেই বুঝতে চায় না।

দূর্নীতিতে বহুবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আমাদের নীতির অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে এখন আপনি সব নীতি একই স্থানে হাজির পাবেন। কি নেই তাদের? ধর্ম নিরপেক্ষ, মৌলবাদ, জাতীয়াতাবাদ, সমাজতন্ত্র, স্বৈরাচার, রাজাকার সব একই স্থানে বিদ্যমান পাবেন। কি দেয়নি আমাদেরকে আমাদের রাজনীতি? ভোট দিতে গিয়ে বুকফেটে কান্না আসে। তখন স্বেচ্ছা সেবকেরা বলে চাচামিয়া আপনার ভোট দেবার দরকার নেই। আপনি বাসায় যান। আপনাদের ভোট আমরা দেব যাকে খুশী তাকে দেব।

বীরমুক্তিযোদ্ধা চন্দ্রগাজী বলেন, দেশে টাকার অভাব নেই। তো সে টাকা পকেটে পুরে সুরক্ষা প্রদানের জন্য দেশ প্রেমিকেরা চেষ্টা করবে এটা তাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে, এটা ভুলেগেলে চলবে কেমন করে? কপাল আমার কপাল, এদেশে বার বার ফিরে আসে জাতীয় দূর্ভাগ্য।আমাদের প্রাণের অভাব নেই আমরা প্রাণ দেব। আমাদের ইজ্জতের অভাব নেই আমরা ইজ্জত দেব। এখানে খুন ধর্ষন চলছে চলবে। দোষ কারো নয় দোষ আমাদের কপালের। কেউকি আমাদের বেডরুম পাহারা দিবে? আল্লার মাল আল্লায় নিয়ে যায়! দুষ্ট লোকেরা গেট ধরে নয়তলা বিল্ডিং ফেলে দেয়। ভয়ে লোকেরা দেশ ছেড়ে পলিয়ে যায়। এতে আমাদের মঙ্গল হয়, কারণ তারা রেমিটেন্স পাঠায়।

আমরা বসে বসে ভাবি কোন এক ত্রাণকর্তা এসে আমাদেরকে উদ্ধার করবে।দুষ্টলোকেরা হাসে, কারণ ত্রাণকর্তা আর আসে না।দুষ্টলোকেরা আমাদেরকে নিয়ে কুতকুত খেলে। হাডুডু ছেড়ে অবশেষে নিজে থেকেই কুতকুত খেলা আমাদের জাতীয় খেলায় পরিণত হয়েছে। স্বীকৃতির কথা বলছেন? এখানে স্বীকৃতির প্রয়োজন হয় না। কারণ আমরা সবাই রাজা আমাদের রাজার রাজত্বে। আমরা সবাই নিজের মত করে আইন তৈরী। নিজেরা সে আইন অমান্য করি আর অন্যদেরকে সে আইন মানতে বাধ্য করি। মগের মুল্লুক আর কি! সে জন্য কায়দা বুঝে মগেরা তাদের নাগরিক আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। কারণ এপার ওপার এখন মগের মুল্লুক। তো সে পারে তারা থাকলে এ পারে কেন নয়? নীতি-নৈতিকতা বলতে একটা কথা আছেনা? সুতরাং আমাদের যাদের মাথায় গোবরভরা আমরা কাঁদি। কেন কাঁদি সেটা না বুঝেই আমরা কেঁদে অন্যদের জ্বালাতনের কারণ হই। পাকি হামলার সময় যারা রাজাকার ছিল ভরতীয় হামলায় তারা প্রতিরোধ যোদ্ধা হবে কি? ভারত হামলা করবেনা এমন কথা জোর দিয়ে বলা যায় কি? এ জন্য জাতির ত্রাণকর্তা বুঝে জাতির জনগণকে কিভাবে কাজে লাগাতে হয়। একজন বলল, কম্পানিতো ডুবগিয়া, অন্যজন বলল, ২০ হাত পানি(শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী লিমিটেড)। তো তলিয়ে যাবার পূর্বে জাতির ত্রাণকর্তা আবশ্যক। এ ১৮ সালের শেষ প্রান্তে জানিনা আবার কোন চেতনার উদয় হয়। এমনিতে আমরা চেতনা সর্বস্ব নাকি সমৃদ্ধজাতি! পুরনো চেতনা রক্ষা করতে করতে আমরা ক্লান্ত। এর মধ্যে নতুন নতুন চেতনা গজিয়ে আমরা হয়রান। আমাদের সবার সুভবোধদয়ের উদয় হোক।

# অন্যের দোষের কারণে নয় নিজের গুণের কারণে ভোট চাওয়া অধিক উত্তম- সনেট কবি।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০২
৭টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×