এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি গণতন্ত্র চেয়েছি বলে। খালেদার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি গণতন্ত্র পাইনি বলে। হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করিনা গণতন্ত্র পাওয়ার আশা হারিয়েছি বলে। গণতন্ত্র ছিনিয়ে এনে কার হাতে তুলে দেব? গণতন্ত্রের আমানত রক্ষা করার মত কেউ আছে কি? যার হাতেই গণতন্ত্র সঁপে দেওয়া হয় সেই গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে। গণতন্ত্রের কাঁন্না কেউ শুনে না।
বিজ্ঞ জনেরা বলে-
১। আমরা গণতন্ত্রের যোগ্য নই।
২। গণতন্ত্র উন্নয়নের অগ্রগতি থামিয়ে দেয়।
৩। গণতন্ত্রের জন্য যথেষ্ট জ্ঞান আমাদের নেই।
কেন বলে? কারণ আমরা দেখেছি-
১। সরকার বদল হলেই নতুন শাসক ভাল মন্দ সব বদলে ফেলতে চায়। এমনকি জাতির ভাগ্য জলাঞ্জলি দিয়ে হলেও তারা চায় অপরের সব স্মৃতি মুছে ফেলতে।
২। গুম খুন হত্যা লুটপাট চলতেই থাকে।
৩। জনগণের দশা হয়, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, আমাদের করার কিছু ছিলনা।
এখন এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময়কে সময়ের চরম অপচয় বলেই মনে হয়। কারণ এরশাদের রেখে যাওয়া চেয়ারে যে বসে সে এরশাদের মত হয়ে যায়। ফলে আমাদের গণতন্ত্রের বঞ্চনা থেকেই যায়। মাননীয় এরশাদ চাচা আপনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য আপনার কাছে ক্ষমাচাই। কেউ কি গণতন্ত্র পেয়েছেন? আমি বলব আমি পাইনি। এখন আর কোন কিছু প্রশ্ন বিঁদ্ধ নয় বরং সব কিছু প্রশ্নাতীত হয়ে পড়েছে। কে কাকে কি বুঝায়। আমাদের বোধ শক্তি এখন ভোঁতা হয়ে গেছে। জেগে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে আমরা এখন ঘুমিয়ে পড়েছি। এখন আমাদের সব কিছু লুন্ঠিত হলেও আমরা টের পাই না। আমাদেরকে যে ঘুম জেঁকে ধরেছে আমাদের সে ঘুম সহজে ভাঙবে বলে মনে হয়না।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৪