হাঁ, তাই বলছেন বিশ্বে একটি মাত্র নেতা এবং তিনি হলেন তুর্কি রাষ্ট্রপতি, এরদোগান।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা
তুর্কি রাষ্ট্রপতি আরও শরণার্থী গ্রহণের জন্য বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে। অন্য দিকে মানবাধিকার সংগঠন গুলো বলেছে রোহিঙ্গা বেসামরিক মুসলমানদের ইচ্ছাকৃতভাবে আরাকান থেকে নির্যাতন করত তাদের জন্মস্থান থেকে বিতারিত করতে ব্যবস্থা নিয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এ বিষয়ে উদ্যোগী। অং সান সূ চী কে কেন নোবেল শান্তি পুরষ্কার দেয়া হয়েছিল, তা নিয়েও জোড় বিতর্ক চলছে। এবং তাকে প্রদত্ত নোবেল শান্তি পুরষ্কার পদবীটি কেন ফিরিয়ে নেয়া হবে না, তা নিয়েও আবেদন, বিবেদন চলছে।
বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমার সরকারের দূতকে বার বার ডেকে পাঠাচ্ছেন, কিন্তু আমাদের সন্মানিত সরকার সেই দূতকে কি "কঠিন" বার্তা দিচ্ছেন,তা খবরে জানানো হচ্ছে না।
ভারতের সন্মানিত রাষ্ট্রপতি মোদি রোহিঙ্গাদের পছন্দ করেন না, তা তার বক্তব্যেই পরিষ্কার।
৩,০০,০০০ রোহিঙ্গা রিফিউজির মধ্যে ৪০,০০০ ভারতে আস্রয় নিয়েছেন, এবং সন্মানিত মোদি জানিয়েছেন, ভারতে এই রোহিঙ্গারা অবৈধ।
দু বছর আগেও রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের কারনে তারা তাদের জন্মভূমি ছাড়তে বাধ্য হন। সিত্ওয়ে সমুদ্র তীরবর্তী শহরে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জালিয়ে দেয়া হয়।
জানা যায় সিত্ওয়তে গভীর সমুদ্র বন্দর করা হবে চীনের সহায়তায়, সুতরাং মিয়ানমার বাসি বৌদ্ধ জাতি ছাড়া অন্য কোন গোষ্ঠি সেই শহরে বসবাস করলে গভীর সমুদ্র বন্দর চীন করতে পারবে না, বা পারলেও রোহিঙ্গারা ঝামেলা করতে পারে, সুতরাং দূর্বল রোহিঙ্গাদের কোন ক্ষতিপূরন তো দূরের কথা, ঘড় বাড়ি জ্বালিয়ে দিলেই যথেষ্ট, তারা এমনিতেই সিত্ওয়ে সহর ছেড়ে চলে যাবে।
গভীর সমুদ্র বন্দর করা হলে চীন সরাসরি সিত্ওয়ে বন্দর থেকে তেলের পাইপলাইন করবে চীনের কুনমিং প্রদেশ পর্যন্ত।
অনেক রকম পলিটিক্স বা রাজনীতির খেলা চলছে, এই আরাকান এলাকার রোহিঙ্গাদের নিয়ে। সকল রাজনীতিই হল রোহিঙ্গাদের তাদের আবাসস্থল, আরাকান থেকে তাড়িয়ে দেয়া।
বর্তমান তথ্য বিপ্লবের যুগে এটি হওয়া উচিত নয়।
রোহিঙ্গা স্বরনা্র্থী সংকটের ওপর নিচে বিখ্যাত "টাইম" পত্রিকার ভিডিও সংযোগ।
http://time.com/4926678/rohingya-bangladesh-refugees-myanmar-killing/
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৪