এইবার একুশে'র বইমেলায় গিয়ে দেখি তসলিমা নাসরিনের কোন নতুন বই নাই। কোন প্রকাশক তার বই ছাপতে নারাজ। news
মূর্খ বাংলাদেশীরা, তোরা তসলিমা নাসরিনের মতো গুণী মানুষকে সম্মান করতে শিখস নাই। তার পায়ের ধুলারওতো তোরা যোগ্য না। সেফাতুল্লাহর ভাষায় তোরা 'গরীব'। 'ছোটলোক'। ভারতে নির্বাসিত লেখিকার জীবনটাকে তোরা বাংলাদেশীরা তছনছ করে দিলি। অথচ তসলিমা নাসরিন একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। তাঁর লেখা, কথা সব জায়গায় তিনি বাংলাদেশকে মিস করেন।
গরীব বাংলাদেশী তোরা কপোত কপোতিরা যাবি বইমেলায় হাতে হাত ধরে প্রেম করতে। হুদাই ধুলাবালির মধ্যে হাঁটাহাঁটি। বই কেনার পয়সা নাই পকেটে। আর পঁচিশটা মিডিয়া চ্যানেল বইমেলায় বসে আছে আজাইরা সব নিউজ করার জন্য। চ্যানেল দেখলেই সেলিব্রেটিরা সেইদিকে দৌড় পাড়ে। একবার যদি তাদেরকে চ্যানেলে দেখায়। পুরা তামশা বানায় রাখছে।
এইবার বইমেলায় দেখি, যে ক্লাস ফাইভ পাশ, সেও বই বাইর করেছে। সবার লেখক হবার কী যে কামনা, বাসনা। ব্লগার-মগার কেউ বাদ নাই। টাকা থাকলেই বই বাইর কর। আর ব্লগে-ম্লগে নিজেরাই নিজেদেরকে বাহ বাহ দাও। খুশীতে বগল বাজাও। দুইপয়সার টাউট হিরো আলম থেকে শুরু করে সস্তা ডাক্তার মাক্তার কিছুই বাদ যায়নাই। এক ডাক্তারের বইয়ের বাণী শুনেতো আমি টাস্কিত। বুঝলাম এই ডাক্তার ভাই প্রশ্ন ফাঁসের সময় টেকা দিয়ে প্রশ্ন কিনে ডাক্তারিতে ঢুকছে।
১৯৯৪ সালে Sakharov Prize
১৯৯২ এবং ২০০০ সালের Ananda Puraskar
২০০৮ সালে Simone de Beauvoir Prize
২০০৪ সালে UNESCO-Madanjeet Singh Prize
তসলিমা নাসরিনের এই পুরষ্কারের কথা তোরা শুনছিস কখনো? নাকি চোখে দেখছিস? এখনও সময় আছে। গরীব বাংলাদেশী তোরা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪৫