পাবলিক ভার্সিটি থেকে পাশ করা ছাত্ররা নিজেদেরকে অনেক বড় ভাবে। মহান ভাবে। তারা গাছে উঠে গেছে। কিন্তু গাছের নিচে মই নাই। মাটিতে নামার উপায় নাই।
প্রশ্নপত্র ফাঁস করে পাবলিক ভার্সিটিতে ভর্তি হইছো বলেই তোমরা মেধাবী হয়ে গেলা নাকি? কোন আসমানী কিতাবে লেখা আছে? তোমাদের মতো সমাজের কীটরা লবিং করো, রাজনৈতিক ভাইব্রাদারকে ধরে চান্স পাওয়ার জন্য নিজেদের বিবেক বুদ্ধি বিসর্জন দাও।
আরও শুনবা?
কোটা মোটার বদৌলতে তোমরা চান্স পাও। তারপর পড়াশুনা চাঙ্গে তুলে শুরু করো দলীয় রাজনীতি। ছাত্র রাজনীতি করে দুনিয়া উল্টায় ফেলো। হোস্টেলে সীটের রাজনীতি। চাঁন্দাবাজির রাজনীতি। আর গাঞ্জা, মদ, নারী কাহিনী তো তোমাদের দৈনন্দিন সঙ্গী। তারপর শিক্ষকতার নামে দলীয় ক্ষমতায় লালদল নীলদল করো? লজ্জা করেনা তোমাদের? নির্লজ্জ্ব বেহায়া পাবলিক ভার্সিটির পোলাপাইন!
আর কথায় কথায় প্রাইভেট ভার্সিটির পোলাপাইনদেরকে ছোট করো। তুচ্ছতাচ্ছিল্য করো। তোমাদের মতো ঘুনে ধরা অন্ত:স্বার শূণ্য মাথার খুলিগুলা দেশের কোন কাজে আসবে? তোমরা নিজেরাই নিজেদেরকে গার্বেজ করে দিয়েছ। মনে রেখ, এখন প্রাইভেটের ছেলেপেলেরাও বিসিএস পাশ করে। তারাও সরকারের বড় বড় পজিশন হোল্ড করে। তোমাদের খোখলা মাথায় সেটা ঢুকেনা। তোমরা আছ আত্মঅহমিকায়। পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ে তোমরা ধরাকে সরা জ্ঞান করো।
তোমরা প্রাইভেটে পড়া ছাত্রদেরকে হিংসা করো? বলো যে, তাদের বাপের টাকা আছে বলে তারা প্রাইভেটে পড়ে? হ্যাঁ তো হইছেটা কী? বাপের টাকা আছে বলে পড়ে। তোমাদের সমস্যাটা কোথায়? হিংসা হয়? তোমাদের এত জ্বালা কেন? নর্থ সাউথে পড়তে পারোনাই তাই? নর্থ সাউথে তোমাদের পড়ার যোগ্যতা আছে? আয়নায় দাঁড়ায় নিজেদেরকে প্রশ্নটা করো। প্রাইভেটে পড়া ছাত্ররাই এখন বিদেশে স্কলারশীপ পায়। সেই বৃত্তি পাওয়ার যোগ্যতা তোমাদের নাই। কারণ তোমরা মাকাল ফল।
প্রতিজ্ঞা করো যে, প্রাইভেটে যেসকল মেধাবী ছাত্ররা পড়তেছে, তাদেরকে নিয়ে আজকে থেকে আর মশকরা করবেনা। তাদেরকে হিংসা করবেনা। তাদেরকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলবেনা। তাদেরকে সম্মান করবে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১২