somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৯৬৭, ১৪৩০ নাকি ৪৬৭ বঙ্গাব্দ?

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিক্রমসংবৎ ছিল আমাদের উপমহাদেশের প্রথম সৌরপঞ্জিকা যার সূচনাসাল ৫৬ অব্দে। সেটা ৫৯৩ অব্দে শশাঙ্কের সময় পরিমার্জিত করা হয়; আবার ১৫৫৬ অব্দে আকবরের সময়েও পরিমার্জিত করা হয়। আর অধিবর্ষের এক দিন যোগ করার প্রচলন করেছিলেন ১৯৬৬ সালে ডঃ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ। সবাইকে কম বেশি ক্রেডিট দেয়া লাগে।

বিক্রমসংবৎতে এক বছর ছিল ৩৫৪ দিনের। সেটা সম্ভবত শশাঙ্কের সময় ৩৬৫ দিনে রূপ নেয়। শূন্যবর্ষও পরিবর্তন করা হয়। ইসলামিক শাসনামলে মূলত খাজনা আদায়ের জন্যে সেটা রিপ্লেস করে হিজরি পঞ্জিকা ব্যবহার করা হত; যেটা উপমহাদেশের ঋতুচক্রের সাথে কোন মিল ছিল না। যার কারনে কৃষিনির্ভর ভারতবর্ষে খাজনা নিতে সমস্যা যেত। কিন্তু কৃষকরা প্রাচীন পঞ্জিকা ধরেই ফলন করত। সম্রাট আকবর এটা উপলব্দি করে পঞ্জিকা স্ট্যান্ডার্ডাইজ করেন ও পরিমার্জন করে। অর্থবছর ও হালখাতার প্রচলন উনি শুরু করেন। একজন মোঘল শাসক হিসেবে এমন পরিবর্তন করার মেন্টালিটি রাখাটা যথেষ্ট পজেটিভ ও র‍্যাডিকাল ছিল। সেটার জন্যে সে প্রশংসার দাবিদার। আকবরের ক্যালেন্ডারের শূন্যবর্ষ ১৫৫৬ সালে, উনার সিংহাসন-আরোহণের বছর থেকে। কিন্তু ২০২৩ আর ১৪৩০ মাইনাস করলে আসে ৫৯৩। যেটা শশাঙ্কের ক্যালেন্ডারকে সাজেস্ট করে। কিন্তু শশাঙ্ক ও বিক্রমাদিত্যের ক্যালেন্ডারেও অনেক মাসের নাম বর্তমান পঞ্জিকাতে নাই। আবার আকবরের ক্যালেন্ডারের মাসগুলোর নামও ছিল একেবারেই ভিন্ন।

কেন ও কিভাবে বাংলা পঞ্জিকা এখনকার অবস্থায় এসেছে এটা নিয়ে ইতিহাসবিদরা এখনো কিছু কিছু জায়গায় ডিসাইসিভ থিউরি দিতে পারে নাই। তবে হ্যা, যতদূর আমরা জানি আর এই পথে যাদের কন্ট্রিবিউশন ছিল তাদের সবার স্বীকৃতি দেয়া উচিত ও হাজার বছর ধরে বিবর্তিত এই ক্যালেন্ডারকে এপ্রিসিয়েট করা উচিত।

সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৩১
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×