এই দুইজন "মুমুর্ষ রুগীর" জন্য দেশে এবং বিদেশে যে পরিমান ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে তাতে আপনার মনে কি প্রশ্ন জাগবে না, কি দরকার ছিলো দেশ ছাড়ার? আমিও বুঝি নাই এত প্রবলভাবে সরকারের কয়েকটি সেন্সেটিভ দফতর এবং থাইল্যান্ডের বাংলাদেশ দুতাবাস জড়িত থাকার পরেও কেন তাদের দেশ ছাড়তে হলো?
এটেম্পট টু মার্ডার, আরে ভাই মার্ডার করে বসুন্ধরার চেয়ারম্যানের ছেলে এখন বহাল তবিয়তে আর তোমরা দুই নান্না মুন্না তো ধমক দিতে যেয়ে বন্দুক ফস্কে গুলি?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে যাওয়া এই দুই ‘মুমূর্ষু রোগী’ হলেন— সিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদার। তারা দুই জনই ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার ইস্যুতে দুই শীর্ষ ব্যাংক কর্মকর্তাকে গুলি করার হুমকি ও নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত।
ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানালেও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ গত ২৫ মে দুই জন যাত্রী নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিকদার গ্রুপের সিস্টার কনসার্ন আরঅ্যান্ডআর অ্যাভিয়েশন লিমিটেডের মালিকানাধীন বলে নিশ্চিত করেছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল-আহসান।
গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘গত ২৫ মে সকাল ৯টা ১৩ মিনিটের দিকে সরকার অনুমোদিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ফ্লাইটটি ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি থাইল্যান্ডে অবতরণের অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে গত ২৩ মে সেখানকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দিয়েছে থাইল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস।
ওই দিনই তাদের অনুমোদন দেওয়া হলে ঢাকায় অবস্থিত থাই দূতাবাসে একটি চিঠি দেওয়া হয়। যেখানে দুই জনকে মেডিকেল ভিসা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২৪ মে ভিসা ইস্যু করা হয় এবং পরের দিন (২৫ মে) তারা ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেয়।
তো খবর পড়ে কি মনে হলো? এতো এতো ক্ষমতার ব্যাবহার করে কি দেশ ছাড়ার দরকার ছিলো????????
খবর লিন্ক
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৪১