somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

দি হাবলু
আসলে আমি খুবই আপনভোলা। ভাবতে ভালোবাসি। এই বয়সে কার্টুন দেখে নির্মল আনন্দ পাই। ছবি আঁকাই মনের সুখে। গলা ছেড়ে গান গাই যখন কেউ থাকে না পাশে।

একটি ব্যাচেলর ময় দিন :|

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হুম, ঠিক তাই , মাঝে মাঝে মনে হয় চোখ দুইডা যেদিকে যাই চলে যাই । ভালো লাগে না কিচ্ছু করতে । সামনে যারে পাই মনে হয় অরে ধরে আগে খানিক্ষণ পিডাইয়া নেই পরের কাজ পরে দেখা যাবে । মাথার যত ক্রিয়েটিভ চিন্তা চেতনা ছিল পরীক্ষার পর সব জানি কেমন করে উবে গেল :-/

পরীক্ষার আগে মনে হত , পরীক্ষার পর হেন করমু তেন করমু , ইমেজ প্রসেসিং শিখমু, মুভি দেখমু আরও হাবিজাবি :D। পরীক্ষা শেষ তারপর ????

পিসি অন করতেই আলসেমি লাগে । মনে হয় দুনিয়াডা এত নিঠুর কেন রে মমিন ??? :((

খুব বেশি হলে যে সব জুনিয়র পরীক্ষার পর দুই একদিন ছিল তাদের কে দিয়ে নাস্তা আনাইতাম । এখন তারা গেছে বাড়িতে , ছুটি কাটাতে । ৫৫ দিনের বিশাল ছুটি । আর আমি কি করতেছি ???

ভালো প্রশ্ন , একচুয়ালি আমি করতেছি টা কি ??? আমি অপেক্ষা করতেছি । কবে আসবে সেই দিন ? যেদিন আমি ' নিশ্চিত ফেইল ' মারা সাব্জেক্টটার 'ক্লিয়ারেন্স' দিব এবং পাশ করব । তারপর আমি বাড়ি যেয়ে ফুর্তি করব ।

তো যে উদ্দেশ্য আজ কিবোর্ডের শ্রাদ্ধ করতেছি , সে প্রসঙ্গে আসি,

ওয়ালেট এ টাকার পরিমান কম । তার প্রধান কারন হইল
আমি ইনকাম করি না (যার কারণে অভাবে আছি) । তো যেহেতু বাপের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমান টাকার বেশি পাইনা । টাকা উড়ানোর কোন সুযোগ নাই । ফলে স্বপ্ন দেখতেই দিন যায়।


আজ ফেবু ওয়ালে বিকাল থেকে অদ্ভুদ ভাবে নিউজফিডে একধরনের পোস্ট দেখা শুরু করলাম । প্রথমে একজন পোস্ট করল যে তার মনে নাকি ঈদ লেগেছে , তাই সে পিতজা খাচ্ছে । এবং সদ্য কেনা পিতজা র ইয়া একটা ছবি । টাকা বাচানোর জন্য দুপুরের খাওয়াটা স্কিপ দিছিলাম /:)
পোস্ট দেখে পেটে টান পড়ল । পোস্ট টা কোন মতে এভয়েড করলাম । ১৫ মিনিট ও গেলো না । দেখলা কে যেন পোস্ট দিল ডাবল পিতজার ছবি :(( । খালি পেটে মাথা টা ঠান্ডা করার চেষ্টা করলাম । মাথাডা কোন রকম কুল করে ফেবু চালিতে লাগলাম । তারপর একসময় ইউটিউব গেলাম , মেটালিকা র কনসার্ট দেখলাম । মিনিট দশেক দেখে আবার ফেবু ঢুকেই আমি মারা গেলাম ।


কারণ প্রথম পোস্ট এ একজন তার মেয়ে বন্ধু কে নিয়ে পিতজা খেতে গেছে সাথে ই্য়া বড় ছবি :((
তাই রাগ করে হল থেকে বেরিয়ে একটা শিক মেরে অশান্ত পেট টাকে শান্ত করলাম :D

সন্ধ্যা গড়ালো । মুভি দেখা শুরু করলাম Oculus .দেখা শেষ করে বিছানাতে একটা গড়ান্টি দিতেই ঘুমিয়ে পড়লাম । ঘুম ভাঙল ১০ টা ২৫ (রাত) এ । তারপর মাসল মেমরির কারসাজিতেই অটোমেটিক ফেবু ঢুকেই মাথা ফেটে চৌচির । কার আম্মায় যেন পিতজা বানিয়েছে তার একটা গামা সাইজের ছবি আমার ওয়ালে পোস্ট হইছে :(( । সেই মুহুর্তে আমার রুম মেট রে বললাম চল পিতজা খাইতে যাই । সে বেচারার অবস্থা আরও করুণ । সেও পেট এ হাত দিয়ে বলল , "চল আমার ও খিদা লাগছে " । যা হয় হবে যত টাকা লাগে লাগুক পিতজা খেয়েই ছাড়ব X( । মনের বেয়াদ্দপ দত্য টাকে আগে বশ করতে হবে X(

কিন্তু এত রাতে পিতজা পাব কোথায় ?? ফোন দেওয়া হল বড়লোক বন্ধু দের কাছে । আমার রুমমেট ই ফোন দিল । ফোন করে কিছুক্ষণ হু হাঁ করে বলল ,যে এই রাতে পাওয়া মুশকিল , খেতে হলে কাল খেতে হবে । আমি বললাম কিছু একটা এলাহি খাবার দিতেই হবে । তা না হইলে হবে না।

রিকশা চড়ে গেলাম একটা সস্তা রেস্টুরেন্ট এ , হাত ধুয়ে বসলাম । ওয়েটার কে জিজ্ঞেশ করলাম , কি আছে ? সে একটা গভীর নিঃশ্বাস নিল । বুঝলাম লম্বা একটা খাবারের তালিকা বলতে যাচ্ছে । আমি থামিয়ে দিয়ে বললাম , মাছ এর আইটেম কি কি আছে ??

১. পোয়া মাছ
২. কাতল মাছ
৩. রুই মাছ
৪. বাইন মাছ

মাছ গুলার সাইজ দেখলাম । পোয়া মছের সাইজ বড় আছে । কইলাম আমারে একটা ল্যাঞ্জা দাও । আমার রুমমেট খাশির একটা চাপ অর্ডার দিল ।
অতঃপর , সেই ক্ষণ আসল । আমি ও আমার রুমমেট হাম হুম করে খাওয়া শুরু করে দিলাম । নিমেশে প্লেট শেষ । আরও একপ্লেট ভাত নিলাম । ধুমায়ে টান দিলাম । তারপর এক সময় প্লেট খালি হল । হাত ধুইলাম । বিল মেটালাম । তারপর রিকশায় আসতে আসতে কথোপকথন

রুমমেট : সকালের নাস্তার একটা ভিজুয়ালাইজ করলাম ।
আমি : কি ?
রুমমেট : ধর , টেবিলে পাউরউটি টোস্ট করে রাখা আছে , টেবিল এ বসলাম , তাতে বাটার লাগালাম । তারপর কামড় দিলাম । চোখ বন্ধ করে পুরো স্বাদ টা নিলাম । মুচমুচিয়ে খেলাম । সেই সাথে একটা গ্লাসে রাখা আসল জুস এক ঢোক খেলাম । আহ শান্তি :D

ওর সাথে আমিও অইগুলো কল্পনায় খাওয়া শুরু করলাম । তারপর বেরসিক এর মত বললাম............

আমি : কিন্তু দোস্ত, ইন রিয়েলিটি , এইডা হইল 'অল টাইইমের' ৮ টাকার টোস্ট বিস্কিট আর টঙ্গের কন্ডেন্স মিল্কের ৫ টাকার চা
রুমমেট : এটাই তো জীবনের দুঃখ রে, মমিন /:)

হল এর সামনে এসে রিকশা থেকে নেমে দুজন এ কন্ডেন্স মিল্কের ৫ টাকার চা খেয়ে হলে উঠে গেলাম

এইতো এভাবেই চলছে আমাদের ব্যচেলর জীবন :|


বি.দ্র. আমার রাতের খাবারের বিল ছিল ৬০ টাকা (আমার জন্য অনেক)

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×