নেটে ঘাটাঘাটি করতে যেয়ে ছবি গুলো পেলাম। একি ফ্রেমে বন্দী জীবন আর মৃত্যুর উপস্থাপনা আমাকে আলোড়িত করেছে, তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
ধর্মযুদ্ধ (সালঃ ২০০০ ইং)
এটা একটা বাবা আর তার ছেলের গল্প। বাবার নাম জামিল আদ-দুররা, ছেলের নাম মুহাম্মদ। মানবতা যেখানে কাল কাপড় দিয়ে তার চোখ ঢেকে রেখেছে, যেখানে সমগ্র বিশ্ব তার বিবেককে বিসর্জন দিয়েছে সেই জায়গার গল্প, হ্যাঁ আপনি ঠিক ধরতে পেড়েছেন! এটা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। বাবা জামিল তার ছেলে মুহাম্মদকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে ইসরায়েলী বুলেট থেকে। কিন্তু বাবা পারেননি, ছুটে আসা ঘাতক বুলেট কেড়ে নিয়েছিল মুহাম্মদের প্রান, মুহাম্মদের মৃত্যুর ঠিক অল্প আগেই বিবিসির কোন এক সংবাদ কর্মী এই ছবি তুলেছিল। জামিল মারাত্বকভাবে আহত হয়েছিলেন, আর তাদেরকে রক্ষা করতে ছুটে আসা সাহসী এক এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারকেও নিজের প্রান বিসর্জন দিতে হয়েছিল।
-------------------------
ভিনিতসারের শেষ ইহুদী (সালঃ ১৯৪১ ইং)
ছবিটি তুলেছিল নাজি বাহিনির এক সৈনিক। ইউক্রেইনের ভিনিতসারে হত্যা করা হয়েছিল ২৫,০০০ ইহুদীকে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে নাজি বাহিনির এক সদস্য হত্যা করতে যাচ্ছে ভিনিতসারের শেষ জীবিত ইহুদীকে। সামনে বধ্যভুমিতে শুয়ে আছে আর অসংখ্য ইহুদী। মৃত্যুর ঠিক পূর্বে তার শূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা সৃষ্টি করেছে এক অদ্ভুত অনুভুতির। জীবনটা আসলেই কতো ঠুনকো.........
------------------------
মারলবোরো সড়কের আগুন (সালঃ ১৯৭৫ ইং)
জুলাই ২২, ১৯৭৫, ফটোগ্রাফার স্টেনলি-জে-ফোরমেন কাজ করতেন বোস্টন হেরাল্ড অ্যামেরিকান পত্রিকাতে, নিকটবর্তী এক পুলিশ ভ্যানের রেডিওতে শুনতে পেলেন মারলবোরো সড়কে আগুন লেগেছে, সাথে সাথে ছুটে গেলেন সেখানে। একটা দমকল গাড়ির উপরে উঠলেন ছবি তোলার জন্য। ছবি তুলেলন, আর সেই ছবিতে ফ্রেম বন্দি হল এক অসাধারণ লোমহর্ষক ঘটনার, আগুনের হাত থেকে বাঁচার জন্য লাফিয়ে পড়েছিল ডায়ানা ব্রায়ান্ট নামক একজন মহিলা আর এক ছোট্ট মেয় শিশু। ডায়ানা ব্রায়ান্ট বাঁচতে পারেননি, মারা গিয়েছিলেন সাথে সাথেই। ভাগ্য ভাল ছিল শিশুটির, এক দমকল কর্মী ঝাঁপিয়ে পড়ে ধড়ে ফেলেছিল তাকে। একি ফ্রেমে জীবন আর মৃত্যুর ছবি।
--------------------------