কখনো নিজের লাাইফস্টাইলে চলার পথে প্যাটার্ন লক্ষ করেছিলেন? এই যেমন; ~প্রতি শনিবার আপনার দিনটি খারাপ যায়। ~যখনি মুড খারাপ হয়ে যায় তখনি প্রিয় মানুষগুলো কিভাবে যেন আপনার সম্পর্কে অবগত হয়ে যায়, আপনার মুখে একটু হাসি দেখার জন্য সর্বাত্নক চেষ্টা করে। ~পরীক্ষার আগেরদিন যা পড়েন তা কখনোই আসেনা / সবসময় তাই চলে আসে। চলুন, ব্যতিক্রমী কিছু প্যাটার্ন দেখে আসি।
~"আহমদ ছফা"র "গাভী বিত্তান্ত" বইটা কখনো পড়েছিলেন? গাভী বিত্তান্ত বইটা পড়ার প্রায় শেষমুহূর্তে, আমার চারপার্শ্ব থেকে কিছুটা গোবরের ঘ্রাণ পাচ্ছিলাম। কিন্তু এই ঘ্রাণটা কোন দিক থেকে আসতেছিল তা বুঝতে পারতেছিলাম না। হঠাৎ লক্ষ করলাম হয়তো গাভী বিত্তান্ত বইটা পড়ছিলাম বলে সেখান থেকে এই সুবাস পাচ্ছিলাম নাতো। মানে আমি কোন ধ্যানে নেইতো!!! বলা বাহুল্য যে, উপন্যাসের শেষের দিকে গরুটার পাকস্থলীতে সমস্যা হয় (সোজা বাংলায় গরুর ডাইরিয়া।) পরেরদিন পাশের বাসার ছাদের বাগানে পোকা মাড়ার জন্য ওষুধ দিচ্ছিলো। জিজ্ঞাসা করলাম, "গতকালকেও কি আপনারা বাগানে ওষুধ দিচ্ছিলেন?" উত্তর দিল, "হ্যাঁ।"
~আজ থেকে প্রায় দুইবছর আগে ঠিক এই দিনেই পরীক্ষা দেওয়ার একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলাম। কোন কিছুই না লিখে ৩ ঘণ্টা বসেছিলাম। এবার সময়টা ভিন্ন হলেও সময় কাটানোর পদ্ধতিটা ভিন্ন হয়নি!
~কয়েকমাসের বিনিময়ে অনেক কষ্ট করে "নিঃসঙ্গতার একশ বছর" 'গ্যাব্রিয়েল গারসিয়া মার্কেস' এর লেখা 'জি এইচ হাবীব' অনুবাদিত নোবেল প্রাইজ প্রাপ্ত বইটা পড়েছিলাম। সম্পূর্ণ বইটা জুড়েই ছিল, নিসঙ্গতার এক ভয়ানক ছোঁয়া। বইতো, সবসময় কাল্পনিক বিষয়াবলী নিয়েই লেখা হয়। যদিও মাঝে মাঝে তাতে বাস্তবতার ছোঁয়া থাকে, কিন্তু অধিকাংশই লেখা হয়ে থাকে কল্পনার মিশ্রিত এক রূপ। বইটা পড়েছিলাম, স্বাভাবিক ভাবেই সব কিছু নিয়েছিলাম। কিন্তু এতেও যে বাস্তবতার কোন রেশ থাকবে অথবা কখনো তৈরি হয়ে যাবে তা ভাবিনি। ঢাকা কলেজে ভর্তি হওয়ার পর মনে হয়েছিলো, আজীবনের জন্যই কুমার থেকে যাব। বাস্তবে না হোক স্বপ্নেও এসে হয়ত কোন অপ্সরী এই জীবনটাকে রাঙিয়ে দিয়ে যাবে। নাহ এমনটা কখনোই হয়নি। অনেক আসা নিয়ে আজ ইডেন মহিলা কলেজে গিয়েছিলাম পরীক্ষা দিতে। ভাবুনতো সবসময় একটা গণ্ডীর মধ্যে থেকে হঠাৎ ফিমেল স্মেল সম্বলিত আবহাওয়ায় একটা ছেলে কিভাবে পরীক্ষা দিবে! অতো কিছু কি ভাবার সময় আছে? না ভেবেই পরীক্ষা দিতে গেলাম। কিন্তু ওমা এ কি? আমার পাশে নয় সমগ্র রুমে সবাই তো দেখছি ছেলেই। ভাবলাম আমাদের তলায় অথবা আমাদের জোনে হয়ত এমনটা হয়েছে। পরীক্ষা শেষে বের হয়ে দেখলাম আমার সামনের রুম, অপজিটের রুম পিছনের রুম সব দিক থেকেই ললনারা বের হচ্ছে। বের হয়নি শুধুমাত্র আমার রুম থেকেই। এবার ও তাহলে কোন গতি হলো না!!!
~মনে পড়ে ভার্চুয়াল জগতের সেই প্রথমকার দিনগুলোর কথা যখন সস্তা প্রেম-ভালোবাসার লেখাগুলো নিয়েই পরে থাকতাম। যৌবনের প্রথম সকাল ছিল সেগুলো। শীতকালীন সূর্যের মত এর প্রতিটি সকাল ছিল তেজস্বীপূর্ণ।একটা পর্যায়ে কারোর প্রেমেও পরে গিয়েছিলাম। ভালোবেসেছিলাম খুব। তবে সেই প্রেম ভালোবাসাটা সস্তা ছিলোনা। হয়ত সস্তা ছিল অপরপ্রান্তে থাকা সেই মানুষটির দৃষ্টিভঙ্গি। তারপর থেকে আর কখনো এমন প্রেম ভালোবাসা মিশ্রিত কাব্য উপন্যাস পড়া হয়নি। আবার চর্চা করবো প্রেমের উপাখ্যান। আবার ভালবাসবো নতুন কাউকে............
~প্যাটার্ন তৈরি করুন, প্যাটার্ন ফলো করুন, নিজের জন্য গতি নিজেই খুঁজে বের করুন।
~হিমু সহ হুমায়ুন আহমেদে এবং অন্যান্য লেখকদের বই পড়ুন। সুন্দর সুন্দর প্রেমের উপন্যাস (সফল প্রেমের উপন্যাস পড়ুন। বুঝলেন ই তো সব।) খুঁজে খুঁজে বের করে পড়ুন নিজের মধ্যে প্রেম জাগ্রত করুন, একটা কপোতীর কপোত হয়ে যান।
#শুভকামনা।
নোটঃ আড্ডা টাইপের পোস্ট বলতে পারেন। আপনার গুরুত্বপূর্ন সময় নষ্ট করার জন্য দুঃখিত।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৭