২০০১ সাল। আমি তখন ক্লাশ ওয়ানে পড়ি। থাকি নানা নানীর সাথে ঢাকায়। নানা সোনালী ব্যাংক এর হেড অফিসে চাকরি করতেন। ঐ সালে মামা আমাকে নিয়ে রমনার বটমূলে নিয়ে যায়। সাবাই রঙ্গীন সাজে সেজেছিলো। তা দেখে আমার চোখ জুরিয়েছিলো। মনে আনন্দ লেগেছিলো। মেলা থেকে সম্ভবত একটি ভ্যানগাড়ি ক্রয় করি।
বাসায় এসে দেখি, নানা খুব দুঃচিন্তা গ্রস্থ। নানা নাকি মামা কে একশ বার ফোন দিয়েছিলো। তখন মামার মোবাইলে নেটওয়ার্ক না থাকায় ফোন আসে নাই। পরে জানতে পারলাম রমনার বটমূলে বোমা হামলা হয়েছে। যাই হউক সেই যাত্রায় আমরা বেচে যাই।
তারপর প্রায় নয় বছর পর। তখন ক্লাশ নাইনে পড়ি। নানা ততদিন বৃদ্ধ হয়ে গেছেন। তিনি আমাদের ভবেরচর শাখায় বদলী হয়ে আসেন। তিনি সেখানে অবসর গ্রহন করবেন বলে আশা করেছিলেন।
চৈত্র মাসের শেষের দিকে আমাদের ভবেরচর বাজারে জিলাপী ভাজা হয়। এই রেওয়াজ আমাদের ভবেরচর বাজারে এখনো হয়। তারপর পুরো বৈশাখ মাস জিলাপী ভাজা হয়। আবার জৈষ্ঠ্য মাসে আর জিলাপী ভাজা হয় না। আবার এক বছর পর। ভবেরচর বাজারে জিলাপী ভাজা শুরু হলেই কেমন যেন মনটা পহেলা বৈশাখ এর আমেজ সৃষ্টি হয়।
২০০৯ সালে পহেলা বৈশাখের আগের দিন আমি মেহেদী আর নূরে আলম তিনজন মিলে বাসায় ফিরার সময় জিলাপী কিনেছিলাম। আর জিলাপী খেয়ে বাসায় ফিরি।
আমাদের এখন পহেলা বৈশাখ এর পরের দিন মানে ২য় বৈশাখের দিন মেলা হয়। মেলাটি হয় কালীতলা গ্রামে। আমরা বন্ধুরা সেখানে খুব মজা করেছিলাম। ২০১০ সালেও সেভাবে মজা করেছি। এখন কোন উৎসবে সেরকম আবেগ কাজ করে না।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৬