এসির ভেতর বসেও আরাবি ঘেমে নেয়ে উঠেছে। মাথা ঝিম ঝিম করছে তার, কিছু বুঝে উঠতে পারছে না ছেলেটি। মানবতার ধ্বজাধারী বসের হাতে যখন মানবতার কংকালটি চরমভাবে চুড়মার হলো। সম্মানের ভয়ে কিছু বলতে পারছে অসহায় কাপুরুষ কিছু মানুষ। সবাই বসের ভালোবাসা চাই। একপেশে অভিভাবক বস হয়ত সুযোগ নিচ্ছে, অথবা নিচ্ছে না। মাথায় হাত বুলিয়ে পেটে লাথি মারছে, অথবা মারছে না। তবে দিন শেষে বেঁচে থাকবে সবাই। কেউ বউয়ের অভিযোগ সহ্য করবে কেউবা সন্তানের। আবার কেউ নিজেকেই গালগাল দিবে। আর কেউ আরাবির মতো চুপচাপ বসে থাকবে। দুশ্চিন্তায় তার মাথা ঝিম ঝিম করবে। শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত রুমের টেবিলে মাথা ঠেকাবে। ভাববে, গার্মেন্টসের বেতন না পাওয়া শ্রমিকরা কতো কষ্টে আছে। ওরা ভালো নেই।
ভালো নেই দেশের হাজারও মানুষ। এই লকডাউন কতো দিন চলবে কে জানে? কেউ পুলিশ আর্মির প্রশংসায় চঞ্চমুখ। আড়ালে বসে গালভরে গালমন্দ করা রিকশা চালক কারও নজরে পড়ছে না। ক্ষুধার অভিশাপ নিয়ে একসময় সে হয়ত আত্মহত্যা করবে। তবু চাল চুরি কমবে না। হাসপাতাল থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হবে হুজুরের বউকে।সরকার আহ্বান করে যাবেন। সরকারের লোকগুলো সাহায্য না করেও ভিডিও কনফারেন্সে গালগপ্প মেরে যাবেন। সরকারকে ফোলাবেন। নারীকেও টুপি মাথায় দিয়ে কেউ বলবেন ওমর। আর এই ওমরের দেশের অনেক মানুষ মারা যাবে না খেয়ে। যাদের খবর কেউ রাখে না। রাখবে না। রাখছে না। আফসোস করার মতো হয়ত থাকবেন ও পাড়ার অভদ্র লোক দুটি। ভালো মানুষরা তো সব ঘরে দুয়োর লাগিয়ে বসে আছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫