somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিথ্যের যুগে সত্যের অনুসন্ধান ! সেই মহা ভারতের বিমানটি এখন কোথায় ?

০১ লা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সৃষ্টের শক্ত আর ভক্তের মক্ত অবিশ্বাস হলেও বিশ্বাস করতে হবে । আর সেটা হল অবশেষে আফগানিস্তানের মরুভূমিতে মহাভারতে বর্ণিত সেই বিমানটির সন্ধান মিলেছে। ৮জন সদস্যের একটি মার্কিন সেনা দল ৫০০০ বছরের সে পুরাতন বিমানটির সন্ধান পেয়েছেন । ২০১৩ সালের মার্চ মাসে বিশেষ অনুসন্ধানের মাধ্যমে তারা একটি গুহার মধ্যে সেই বিমানটির সন্ধান পান । ধারণা করা হচ্ছে হিন্দুশাস্ত্রের মহাভারত এবং বেদে ভিমানা নামে যে উড়ন্ত যানের কথা বলা হয়েছে এটি সেগুলোর মধ্যেই একটি হবে। মহাভারতে বর্ণিত বিমানের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে এটির বৈশিষ্ট্যও মিলে গেছে।


মার্কিন সৈন্যের একটি অনুসন্ধানী দল এক অভিযানে এ বিমানটি আবিষ্কার করেন। দলটিতে ৮ জন সদস্য ছিলেন। তারা বিমানটি সরানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে বিমানটি অদ্ভুত কোনো শক্তি দ্বারা সুরক্ষিত রয়েছে। সেজন্য তারা সরাতে পারেননি। উল্টো সেই ৮ সদস্য একেবারে নিঁখোজ হয়ে যান। পরবর্তীতে উদ্ধারকারী দল তাদের আর কোনো হদিসই পায়নি। ধারণা করা হয় বিমানটির অদ্ভুত সুরক্ষা ব্যবস্থার কারণে তারা নিখোঁজ হয়ে গেছে। সেখানে হয়তো কোনো ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ মাধ্যাকর্ষণ ফিল্ড আছে। আর সেই সুরক্ষা ব্যবস্থাকে বলা হচ্ছে সময় কূপ। তবে গুহাটিতে নিখোঁজদের ব্যবহৃত একটি ক্যামেরা পাওয়া গেছে। সেটি নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে।


বিমানটি সম্পর্কে প্রাচীন মহাকাব্য মহাভারত এবং বেদে যে ধারণা দেয়া আছে। সেটি ভীনগ্রহের কোনো প্রযুক্তি কিনা তা নিয়েও গবেষণা চলছে।আর বিমান আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে ওই গুহায় প্রাচীনকালের কিছু লেখারও সন্ধান মিলেছে। সেসব নিয়েও গবেষণা চলছে। অনেকেই মনে করছেন অবশেষে প্রাচীন সংস্কৃত মহাকাব্য মহাভারত এর হিসাবটা মিলল এবার।
বিমান সম্পর্কে বেদের দুটি পঙতি
৪৭। kṛṣṇáṃ niyânaṃ hárayaḥ suparṇâ apó vásānā dívam út patanti
tá âvavṛtran sádanād ṛtásyâd íd ghṛténa pṛthivî vy ùdyate
এর অর্থ হচ্ছেঃ
সোনালি রংয়ের পাখিগুলো অন্ধকারে অবতরণ করে আকাশ পাতাল ফাঁড়িয়া স্বর্গ দিয়ে চলে। আবার সময় মত সে মর্তে নেমে এসে সম্মোহনী শক্তি দিয়ে পৃথিবীকে সিক্ত করে।।
৪৮। dvâdaśa pradháyaś cakrám ékaṃ trîṇi nábhyāni ká u tác ciketa tásmin sākáṃ triśatâ ná śaṅkávo `rpitâḥ ṣaṣṭír ná calācalâsaḥ
আর এর অর্থ হচ্ছেঃ
বারটি তার পাখা একটি তার পা তিনটি জাহাজ কোন মানব ইহাকে বুঝতে পারে। তিনশো ষাটটি পাখি একসাথে উড়ে কার সাহস আছে তাকে নিচে নামাতে পারে।।


আর বিমানটি সম্পর্কে রামায়নের যে ধারণা দেয়া আছেঃ
এই পুস্পক বিমানটি রবীর মত রাবণের কাছ থেকে যেটা ছিনিয়ে আনা হয়েছে এবং আমার ভাইয়ের রাম কাছে থাকে। আকাশচারী যানটি আকাশ পাতাল সব জায়গায় যেতে পারে আকাশে চলার সময় সোনালী মেঘের মত দেখায় যেটাতে প্রভু রাম আরহণ করেন।।
প্রশ্ন হল সময় কূপ কি ? মহাভারতে বলা আছে যে বিমানটি একটি সময় কূপ দ্বারা আচ্ছাদিত। এর চারপাশে হয়তো এক ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ মাধ্যাকর্ষণ ফিল্ড আছে। বিজ্ঞানী আইনস্টাইন এটিকে ইউনিফিল্ড ফিল্ড থিউরি বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই থিউরিকে ১৯৪৩ সালে ফিলাডেলফিয়া থিউরি হিসেবে পরীক্ষা করা হয়। সম্প্রতি সেই গুহায় মার্কিন সেনাদের হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা থিওরিটিকে আরো বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে।


তাছাড়াও মহাভারত এবং বেদে ভিমানিকা শাস্ত্রের কথা বলা হয়েছে। সেখানে সেই বিমানের যেমন বৈশিষ্ট্য ধারণা দেয়া আছে ঠিক সেই একই ধরনের বৈশিষ্ট্য আফগানিস্থানের গুহায় পাওয়া সে বিমানেও পাওয়া গেছে।বেদে বলা হয়েছে এই যানটি এক ধরনের অলৌকিক শক্তির মাধ্যমে চলাচল করে। এটি পানিতে বাতাসে আবার স্থলভাগ দিয়েও চলতে পারে। এই যানটির কাছে যদি কেউ যায় তাহলে সে আর ফিরে আসতে পারে না। যানটির বিশেষ এক শক্তি আছে যা অন্যান্য জীবকে খেয়ে ফেলে। অর্থাৎ কোনো ধরণের বিকিরণের কারণে জীবটি অদৃশ্য হয়ে যায়। সেটি উচ্চমানের লেজারও রশ্মিও হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে মার্কিন সেনারাও যানটির কোনো বিকিরণের শিকার হয়েছে।


স্যার ডেসমন্ড লেসলি বলেছেন মহাভারত এবং বেদে যে ধরণের প্রাচীন যানটির কথা বলা আছে সেটি আসলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বিরোধী বাহন। বেদে বাহনটির যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে তার সঙ্গে হিরোশিমায় ফেলা পারমানবিক বোমার মিল আছে। বেদে বলা আছে যানটি ভগবান ব্রহ্মা পরিচালনা করতেন। তবে অনেক জায়গায় বলা আছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভগবান এটিকে পরিচালনা করেছেন। যেমন ভগবান কুবেরও এটিকে পরিচালনা করেছেন। এই তথ্য প্রমাণগুলো আমরা হিন্দু ধর্মের প্রাচীন গ্রন্থগুলো স্পর্ষ্ট করে লেখা আছে । আবার অনেকের মতে সেখানে কিছু ভুলও থাকতে পারে। কারণ গ্রন্থগুলো সেই আমলের সংস্কৃত ভাষায় লেখা। যার অনেক শব্দের অর্থ অনেকেই সঠিক ভাবে উদ্ধার
বা কোন ব্যাখ্যা করতে পারেনি। আর মহাভারতে বিমানটির জ্বলন্ত মিসাইল ব্যবহারের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে মারণাস্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা এরকম অস্ত্রটি পরিচালিত হতো একটি বৃত্তাকার প্রতিফলকের মাধ্যমে। যখন সুইস অন করা হয় তখন একটি আলোর বাণ উৎপাদিত হয়। যখন এটিকে কোনো টার্গেটের উপর ফোকাস করা হয় তাৎক্ষণিকভাবে এটি তার ক্ষমতা দিয়ে লক্ষ্য বস্তুকে ধ্বংস করে দেয়।


বেশ কয়েক বছর আগে একবার তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে কিছু সংস্কৃত ভাষার দলিল উদ্ধার করা হয়েছিল। তারপরে সেগুলোকে অনুবাদ করার জন্য চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডঃ রুথ রাইনা বলেছেন আমরা এই লেখাগুলোর ভিতরে নক্ষত্র মণ্ডলে চলতে সক্ষম এই রকম মহাকাশযান নির্মাণের কিছু নির্দেশনা দেখতে পেয়েছি।


তিনি আরো বলেছিলেন এই যানটির আসল রহস্য হলো তার মহাকর্ষ বিরোধী শক্তি। অর্থ্যাৎ মহাকর্ষের যে আনবিক শক্তি আছে সেই শক্তিকে তোয়াক্কা না করেই যানটি চলতে পারে। তা সে জলই হোক বা স্থলই হোক। আবার এটিতে হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মে যে আধ্যাত্মিক শক্তির কথা বলা আছে ঠিক সে রকমের শক্তিও আছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় কেউ যদি আধ্যাত্মিক শক্তিকে আয়ত্ত করতে পারে তাহলে সে শূন্যে ভাসতে পারবে আকাশে উড়তে পারবে ইত্যাদি। ডঃ রুথ রাইনা বলেছেন এই শক্তিটিকে হিন্দু শাস্ত্রে লেঘিমা সিদ্ধি বলা হয়। শক্তিটি মানুষের শারীরবৃত্তীয়ভাবেই থাকে। কেউ কেউ সাধনার মাধ্যমে তার ফলটি ভোগ করতে পারে। আবার কেউ ভোগ করতে পারে না। এটিকে আবার অপকেন্দ্র বলও বলা হয়। এই অপকেন্দ্র বলটি মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে পরাজিত করতে পারে। অর্থ্যাৎ সেখানে আর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজ করে না। যানটির ভিতরে এক ধরনের অলৌকিক শক্তি আছে আর সেটির আরেকটা নাম হলো এ্যাসট্রাস Astras বেদ অনুসারে। আবার বেদের আরেক জায়গায় এটার আরেকটা নাম দেয়া আছে আর সেটি হলএ্যান্টিমা Antima। আর এ্যান্টিমা শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় যার অদৃশ্য হওয়ার ক্ষমতা আছে। আররো বলা আছে গারিমা garimaএর অর্থ সেটি পাহাড়ের সমান ভারি হতে পারে। আর সংস্কৃত ভাষায় এই যানটির নাম দেয়া হয়েছে ভিমানা Vimāna । আর এই ভিমানা শব্দটি দিয়ে বোঝায় একটি বিশাল প্রাসাদ যা আধ্যাত্মিক শক্তির বলে চলতে পারে। প্রাচীন মহাভারত থেকে জানা যায় এই যানটির চারটি পা অথবা চাকা এবং বারটি হাত আছে। আর এর একটি অংশে মারাত্মক অস্ত্র রাখা আছে যেগুলো লেজার অস্ত্রের মত। এখনও লেজার অস্ত্র পৃথিবীতে সমৃদ্ধ নয় তাই আফগানিস্থানের এই ঘটনা গবেষকদের অবাক করে দিয়েছে।এই প্রযুক্তিটি যদুর্বেদে বেদের একটি প্রকার যেভাবে বর্ননা করা আছে ঠিক সেভাবেই তৈরি করা। সেখানে পরিস্কারভাবে বলা আছে যে এই যানটির চালক হলো অশ্বিন। তাছাড়াও মহাভারত ভগবত পুরাণ গীতা ও রামায়নসহ হিন্দু ধর্মের অনেক গ্রন্থে এর সম্পর্কে বলা হয়েছে।


ঋগবেদের ১০২৪ নম্বর অনুচ্ছেদে এই যানটি নিয়ে অনেক স্তব লেখা আছে। কিন্তু এখানে একটু বিরোধ আছে। যেমন ড: রুথ রাইনা তিব্বতে পাওয়া পান্ডুলিপির লেখা পড়ে বলেছেন যানটির চারটি পা। কিন্তু ঋগবেদে বলা আছে এটির তিনটি পা এবং তিনতলা বিশিষ্ট। সর্বোচ্চ তিন জন যাত্রী বহন করতে পারে। সোনা ও রূপা এবং লোহা দিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে। ওড়ার জন্য দুই দিকে দুটি পাখা আছে। রাজা ভুজুকে যখন সাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল ঠিক তখন অশ্বিন এই বাহনটিতে চড়ে তাকে রক্ষা করেছিলেন। খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে প্রভু ভরত রাজের সময়ের ঘটনা এটি। ভিমানিকা শাস্ত্র নামের একটি অনুচ্ছেদে এর সম্পর্কে আরো বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো এতদিন সবার অজানা ছিল। ১৮৭৫ সালে সেটি অবিষ্কার করা হয়। এই শাস্ত্র বাহনটির বিভিন্ন অংশ এবং তার কাজ নিয়ে আলোচনা করেছে। যেমন কীভাবে বাহনটি আকাশ থেকে তার সোলার শক্তি সঞ্চয় করে ও ঝড় বৃষ্টিকে কীভাবে প্রতিরোধ করে এবং কীভাবে এটি মাটিতে নামে আবার কীভাবে আকাশে ওড়ে তাছাড়াও একবার চার্জ নিয়ে কত দূরে যেতে পারে ইত্যাদি বিষয় গুলো।


তবে সেই পান্ডুলিপি থেকে পাওয়া তথ্যগুলো খুবই মজার এবং অলৌকিকও বটে। কিন্তু সমস্যা হলো লেখাগুলো সুপ্রাচীন সংস্কৃত ভাষায় লেখা ।আর সে কারণেই সবগুলো লেখার অর্থ উদ্ধার করা যাচ্ছে না বা সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণেই সেখানে কি বোঝানো হয়েছে তা অনেক ক্ষেত্রেই জানা যাচ্ছে না।


প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্র গবেষক সমরঙ্গল সূত্রধরের গবেষণা অনুযায়ি পাঁচটি অলৌকিক বিমান তৈরি করা হয়েছিল পাঁচ দেবতার জন্য। তারা হলেন যথারিতী ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও কুবের, ইন্দ্র এবং ইয়ামা। তারপর আরো কিছু বিমান তৈরি করা হয়েছে অন্যান্য দেবতাদেরও জন্য। বিমানগুলোর মধ্যে আবার চারটি প্রধান ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হলোঃ রুকমা ও সুন্দরা, ত্রিপুরা এবং সাকুনা।
রুকমার গঠন ছিল কলার মোচার মত। এর গায়ের রং উজ্জ্বল সোনালি। সুন্দরার গঠন হলো আধুনিক রকটের মত। এটির রং ছিল উজ্জ্বল রূপার মত। ত্রিপুরার গঠন ছিল তিন কোনা বিশিষ্ট প্রসাদের মত এবং তিন তলা বিশিষ্ট।


সর্বশেষ সাকুনার গঠন ছিল একটি পাখির মত। দুই দিকে দুটি পাখা ছিল তার।


এই প্রধান চার ভাগ থেকে আবার ১১৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তবে মৌলিক বৈশিষ্টগুলোর তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। ভিমানিকা শাস্ত্রে সেগুলোর সোলার শক্তি সঞ্চয় করা এবং ব্যবহার করার সমস্ত কিছু বর্ণনা করা আছে। সেখানে বলা হয়েছে বাহনগুলোর আটটি টিউব অথবা গোলাকার নল আছে যেগুলো দিয়ে সূর্যের আলো সংগ্রহ করে। এভাবে বাহনটির সমস্ত কিছু সিরিয়ালে বর্ণনা করা আছে। তবে অনেক লেখারই অর্থ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।


সমরঙ্গণ সূত্রধরের গবেষণা থেকে আরো জানা যায় এটি কীভাবে পরিচালনা করা হয়। আর কীভাবে এটি তার শক্তি সঞ্চয় করে ইত্যাদি বিষয়ে। সংস্কৃত এসব পান্ডুলিপিতে সেই সময়ের অসংখ্য রূপক শব্দ এবং কাব্যরস ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা আজও জানিনা আসলে এই কাব্যরস গুলো দিয়ে তারা কী বোঝাতে চেয়েছেন। যেমন এই বাহনগুলোর পাইলটকে কেমন দক্ষ হতে হবে তাদের খাবার কী হবে তাদের পোশাক কী রকম হবে একবার খাবার নিয়ে তারা কতদিন চলতে পারবে ইত্যাদি। সমরঙ্গণ সূত্রধর তার গবেষণায় লিখেছেন শাস্ত্রে বাহনটি তৈরি করতে যে ডিজাইনের কথা বলা হয়েছে সেখানে তিনটি পদার্থের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো সামালা ও সাউন্ডালিকা এবং মোউর্থিকা। যদি এই তিনটি পদার্থ একসঙ্গে ভালভাবে মেশানো হয় তাহলে ১৬ প্রকার পদার্থ তৈরি হবে। যেগুলোর নাম ঠিক এই রকম উসনামভারা ও উসনাপা এবং লাজামরাতিক ইত্যাদি। কিন্তু সেগুলোর অর্থ কারো কাছে জানা নেই। তাছাড়াও বাহনটি তৈরি করতে কীভাবে ধাতুগুলো পরিস্কার করা হবে ও কীভাবে বিভিন্ন এসিডিক পদার্থকে রিফাইন করবে এবং কীভাবে তাপমাত্রা থেকে তার তৈল সংগ্রহ করবে ইত্যাদি বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। বাহনগুলোতে সাত ধরনের ইঞ্জিনের কথা বলা হয়েছে। যেগুলোর একটা আরেকটা থেকে আলাদা এবং তাদের কাজও আলাদা আলাদা। একটিকে এক রকম কাজ করতে দেয়া হয় । আরেকটিকে আরেক রকম কাজে লাগানো হয়। কারণ বিভিন্ন রকম ইঞ্জিন বিভিন্ন রকম কাজে পারদর্শী।





ছবিতথ্যঃ সূত্র এবং কৃতজ্ঞতা নতুন সময়।



সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৪
২৩টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×