ফরমালিন নিয়ে কত ঘটনা ঘটছে। গোলাগুলি হচ্ছে, মোবাইল কোর্ট চলছে, ৮ টি পয়েন্টে চেক পোষ্ট বসানো হয়েছে। যত যাই করুক, ফরমালিন ওয়ালা ফল মূল আসা কি বন্ধ হচ্ছে? প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি আর বন্ধ করা এক জিনিস নয়। অনেক বিশিষ্ট লোকজনকে দেখলাম টকশোতে আবার এই ফরমালিনকেই হালাল করার চেষ্টা করছেন। তারা এই ফরমালিন ব্যাবহারের পেছনে যৌক্তিকতা তুলে ধরছেন। সাথে এও বলছেন অনেক উন্নত দেশেও এই ফরমালিনের ব্যাবহার আছে যেমন- থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, সৌদী আরব ইত্যাদি। :-&
এই সব ঘটনা, রটনা আর প্রপাগান্ডার পেছনে কারন হচ্ছে এই অপরাধকে ধীরে ধীরে বাড়তে দেয়া। যদি এই অপরাধকে অনেক আগেই অংকুরে বিনষ্ট করা হত আজ এত প্রানঘাতী সমস্যা তৈরী হত না। আমাদের দেশে সমস্যা লালন করা হয়। অতঃপর যখন সরকারের গদি নিয়ে টান পরে, তখন সরকারের হদিস হয়। যাই হোক যত যাই হোক, ভাল কিছুর জন্য কিছু ক্ষতি মেনে নিয়ে হলেও খাদ্য দ্রব্য আর ফল- মূলে এই ফরমালিন জড় থেকে উতপাটন করা উচিৎ, সেটা কটু গন্ধ দিয়েই হোক আর দেয়া বন্ধ করেই হোক, সে সিদ্ধান্ত সরকারের। তাহলে হয়তঃ এই সরকার বলতে পারবে আর সব নষ্ট কাজের মত এই একটা জঘন্য কাজকে অন্তত তারা প্রশ্রয় দেয়নি।
সেই সুত্রে অনেক দিন ধরে দেখছি, খিলগাঁও এলাকায় অভিযান হচ্ছে না। কিন্তু কেন? ঢাকার সব জায়গা থেকে ফরমালিন যুক্ত ফল মূল সরিয়ে এনে এই খিলগাঁও এলাকায় ডাম্প করা হচ্ছে। আগে তো খালি রেললাইন, ফুটপাত দখল ছিল এই ফরমালিন যুক্ত ফলমূলের আসরে। এখন খিলগাও থেকে তিলপাপাড়া মেইন রাস্তা দখল করেও এই ফরমালিনযুক্ত ফল অহরহ বিক্রি হচ্ছে। লোকাল পাতি নেতারা যারা ফুটপাতের ফল বিক্রেতাদের কাছ থেকে বখড়া অথবা চাঁদা তুলছে, তারা ফুটপাতের ও অবৈধ দোকানদারদের আশ্বাস দিচ্ছে যে এইদিকে পুলিশ আর মোবাইল কোর্ট আসার সাহস পাবে না, তাদের উপর থেকে নিষেধ করা আছে। তাই সব বিক্রেতা বুঝে গেছে যে সব জায়গায় গেলেও কোন অদৃশ্য এক কারনে এইখানে মোবাইল কোর্ট হানা দিচ্ছে না। যেখানে সব জায়গায় ফলের ক্রাইসিস, সেখানে সন্ধ্যা হলেই এই এলাকায় এই বিষাক্ত ফল দিয়ে রাস্তাঘাট উপচে পরছে।নতুন নতুন জায়গা দখল করে দোকান ভাড়া দেয়া হচ্ছে। দেদারসে বিক্রি হচ্ছে এই বিষ। রাস্তা দিয়ে ঠিকমত হাটা যায় না, চলাচলের জায়গা দখল করে তথা বন্ধ করে চলছে এই ফরমালিনের মহা উৎসব। সাংবাদিক, থানা-পুলিশ, মোবাইলকোর্ট কেউ কি এদিকে একটু নজর দিবে না? নাকি সৎ পুত্রের মত অবহেলায় থাকবে ঢাকার এই এলাকাটা?