পাকিস্তান নামের দেশটার সাথে আমাদের দেশের বিএনপি নামক দলটার অনেক মিল আছে। প্রতিপক্ষ যখন থাপ্পড়ের পর থাপ্পড় দিয়ে মুখের জিওগ্রাফি পালটে দিচ্ছে, তখন বিএনপি ব্যস্ত আছে হুমকি ধামকী দিয়ে সরকার ফেলে দেবার ধান্দায়। সরকার সুযোগ দিলে মাঝে মাঝে নিজেদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে হাঁক ডাক করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেবার ব্যর্থ চেষ্টা চালায়।
এবার সেই ভূমিকায় নেমে গেল পাকিস্তান। ২০১৬ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ভারতীয় সেনা যে অভূতপূর্ব সার্জিকাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল, তাকে শুরু থেকে অস্বীকার করে আসছিল পাকিস্তান। তা করতেই পারে, কারণ সেটা স্বীকার করতে গেলে নিজেদের মেকি বীরত্বের বেলুন যে চুপসে যায়!
কিন্তু নিজেদের দূর্বলতা বেশিদিন ঢেকে রাখা যায়না। আর তাই কিনা ভারতীয় সেনাদের অভূতপূর্ব কৃতিত্বের স্বীকৃতি মিলেছে পাক সোনবাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল আসিফ গফুরের কথায়।লন্ডনে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় হুমকীর সুরে তিনি ঘোষণা দেন, ‘ভারত একবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালালে পাকিস্তান দশবার চালাবে’।
একেই বলে ছাল নাই কুত্তার বাঘা নাম। আরে ব্যাটা আগে তো স্বীকারই করিসনাই যে ভারতের বেয়নেট তোর পেছনে ঢুকেছিল। এবার যখন স্বীকার করেছিস, তো একটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে দেখা না তোর মেরুদন্ডে কত জোর! তারপরে তো আর হুমকী ধামকীরই কোন প্রয়োজন পড়বেনা - ভারত এমনিতেই বুঝে যাবে তোদের ক্ষমতা - তোরা এখন যেমন বুঝেছিস।
দুই পাকিস্তান যখন এক ছিল, তখন তোরা আমাদের বোঝা মনে করেছিস। এদিকে ঝড় বন্যা হত, ক্ষয়ক্ষতি হত, তার রিলিফের মাল তোরা গাপ করেছিস। এখানকার ঘাস খাইয়ে সেই গরুর দুধ ওখানে দুয়েছিস। এখান থেকে সৈন্য নিয়ে সুইসাইড স্কোয়াড বানিয়ে ভারতীয় ট্যাঙ্কের সামনে ফেলে ৬৫ এর যুদ্ধে বীরত্ব দেখিয়েছিস! তখন একবারও মনে হয়নি যে দুই পাকিস্তান দুদিক থেকে ভারতকে কিরকম চাপে আর আতঙ্কে ফেলেছিল। কারণ বাঙালিদের বীরত্ব বলে একটা জিনিস ছিল। এখন আর তোদের গলাবাজি ছাড়া আর কিছুই নেই।