somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খালেদা জিয়া এতিমদের একটি টাকাও স্পর্শ করেনি! মিথ্যায় সয়লাব রাজনীতি!!!!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেগম খালেদা জিয়ার রায় এবং জেল যাবার পর এক শ্রেনীর লোক তারস্বরে মিথ্যা চেচিয়ে যাচ্ছে- এতিমদের টাকা মেরে খেয়ৈছেন খালেদা জিয়া!
কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই সব শেয়ালের এক রা’র মতো এক সুরে একই কথা বারবার বলচে গোয়েবলসীয় নীতিতে!
কিন্তু জনগণতো আর বোকা নয়। তারা সত্য জানতে চায়।
আসলে সত্যিটা কি?
কার টাকা? কোথা থেকৈ আসল ? টাকাটা কোথায় আছে?
টাকা লেনদেনে খালেদা জিয়ার কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা আছে কি?
চলুন দেখি ঘটনাক্রম

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক।
মামলার অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান, কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।
মামলা প্রমাণের জন্য সরকারি পক্ষ থেকে দাবি করা হয় বিদেশ থেকে আসা রাষ্ট্রীয় এতিম তহবিলের টাকা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টকে দিয়ে টাকা আত্মসাত করেছিলেন বেগম জিয়া। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলের দাবি, “এতিমদের দুই কোটি ১০ লাখ টাকারও বেশি অর্থের সম্পূর্ণটাই আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা। এ কারণে দুর্নীতি দমন আইন ও দণ্ডবিধির অভিযোগগুলো প্রমাণ হয়েছে। আর এই ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি।”

এবারে ধীরে ধীরে মামলার ভেতরে ঢোকা যাক:
১) সরকার দাবি করেছে, কথিত আত্মস্যাৎ করা টাকা সরকারি এতিম ফান্ডের। এবং সেটা প্রমাণের জন্য কোর্টে কিছু বানোয়াট কাগজ দাখিল করেছে সরকার পক্ষ। আসলে এই টাকা আসে কুয়েতের আমিরের কাছ থেকে। বাংলাদেশে কুয়েত দূতাবাস থেকে যে পত্র দেওয়া হয়েছে, তাতে কুয়েতের আমির জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টকে টাকাটা দিয়েছে বলা আছে। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে এতিমখানা তৈরির জন্য কুয়েতের আমির ১২,৫৫,০০০ ইউ এস ডলার অনুদান প্রেরণ করেন, যা তৎকালীন রেটে বাংলাদেশী মুদ্রায় ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ২১৬ টাকা। উল্লেখ্য কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের শাসকরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার খুব ভক্ত ছিলেন, বেশিরভাগ রাষ্ট্রপ্রধানের সাথেই তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। ১৯৯১ সালে সৌদি আরবের একটি ব্যাংক থেকে টাকাগুলো ডিডির মাধ্যমে পাঠানো হয়। ঐ ডিডি সোনালী ব্যাংক রমনা শাখায় ভাঙ্গিয়ে অর্ধেক টাকায় বাগেরহাটে এতিমখানা বানানো হয়। এখনও সেই এতিমখানা যথারীতি চালু আছে। এ বিষয়ে দুদক কোনো মামলা করেনি। বাকি অর্ধেক ২,৩৩,৩৩,৫০০/- টাকা জিয়াউর রহমান অরফানেজ ট্রাস্টের একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এরমধ্যে অল্প কিছু টাকায় এতিমখানার জন্য বগুড়ায় জমি কেনা হয়, আর বাকি টাকা এফডিআর করে জমা রাখা হয়েছে, এখন যা সুদেমুলে ৬ কোটি টাকার উপরে ব্যাংকে জমা আছে। এখান থেকে কোনো টাকা কেউ আত্মসাৎ করেনি।

২) মামলা প্রমাণের জন্য সরকার পক্ষ প্রথম থেকেই জাল জালিয়াতির আশ্রয় নেয়। প্রথমেই টাকার উৎস নিয়ে গন্ডগোল পাকায়। সরকার বলে, এটা সৌদি সরকার থেকে পাওয়া অনুদান, যা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। আসলে টাকার উৎস কুয়েত। এই টাকা সরকারি এতিম ফান্ডের- এমন প্রমাণের উদ্দেশ্যে আইও হারুন অর রশিদ ভুয়া ফাইল তৈরি করে কোর্টে দাখিল করেন। তিনি দাবি করেন- ওটা “প্রধানমন্ত্রীর এতিমখানা তহবিলের” টাকা ছিল। আদালতে জেরায় স্বীকার করতে বাধ্য হয় এটার জন্য কোনো ফাইলপত্র না পাওয়ায় নিজেরা কপিপেস্ট ও ফটোকপিতে কাটা-ছেড়া করে একটি ছায়ানথি বানিয়ে কোর্টে দাখিল করেছিলেন। আসামী পক্ষের কৌসুলিরা যুক্তিতর্ক দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, নথিটি পরে বানানো, এবং কাটা-ছেড়া ও ঘষামাজা। যতোটা জানা যায়, ১৯৯১ সালে বা এখনও “প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল” নামে কোনো তহবিল কখনই ছিল না। এ সংক্রান্তে ব্যাংক কাগজ বা যেসব ছায়ানাথির কথা বলা হয়েছে, তা বানোয়াট ও অসৎউদ্দেশ্যে তৈরি করা। আরও উল্লেখ করা যায়, ১৯৯১ সালের ২০ মার্চ বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের অধীনে। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ, তখন রিলিফ ফান্ড রাষ্ট্রপতির নামে ছিল। সে অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নামে কোনো ফান্ড ছিল না। ঐ বছর আগস্ট মাসে সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন হওয়ার পরে ১৯ সেপ্টেম্বর বেগম জিয়া ২য় বার শপথ গ্রহণ করে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন। অথচ দুদক তাদের ভুয়া কাগজপত্রে তার আগেই জুন মাসে প্রধানমন্ত্রীর নামে এতিম ফান্ডের কাগজ ও অসম্পূর্ণ ব্যাংক কাগজ প্রস্তুত করে জমা দেয়।

৩) সরকার পক্ষ সাক্ষী হিসাবে মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকীর পিএস সৈয়দ জগলুল পাশার নাম দেয়। দাবি করা হয়, সৈয়দ পাশা নাকি ঐ কথিত এতিম ফান্ডের ফাইল দেখভাল করতেন। আসলে এগুলো সত্য নয়। ঘটনার সময় অর্থাৎ ১৯৯১ সালে সৈয়দ পাশা প্রধানমন্ত্রীর অফিসেই চাকরিই করতেন না, ফাইল দেখার তো প্রশ্নই আসে না। তাছাড়া ঐ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের পদটিও ছিল না। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারে প্রধানমন্ত্রীর সচিবের একটি পদ ছিল বটে, সেটা যুগ্মসচিব/অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার (কামাল সিদ্দিকী অতিরিক্ত সচিব থাকতে ওখানে পদায়িত হন)। আর জগলুল পাশা প্রধানমন্ত্রীর অফিসে আসেন ১২/০৯/১৯৯২ তারিখে। তার মানে দাঁড়ায়- বানোয়াটভাবে দাবি করা ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিলের’ কথিত নথি জগলুল পাশা দেখতেন--তা পরিপূর্ণভাবে মিথ্যা।

৪) এই কথিত দুর্নীতি মামলার অনুসন্ধানকারী, বাদী, আইও, এবং সাক্ষী একই ব্যক্তি- হারুন অর রশিদ। তার চাকরি শুরু হয় দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে ১৯৭৯ সালে এসিস্টেন্ট পদে, যখন সেটি অনুমোদিত পদ ছিল না। পরে বিভিন্ন কৌশলে ১৯৮৫ সালে অ্যাসিসটেন্ট ইন্সপেক্টর এবং ১৯৯২ সালে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি নেন হারুন। হারুনের চাকরি চলে যায় বিএনপির আমলে ২০০৫ সালে। মামলা করে হারুন হেরে যায়, পরে আপিলে থাকা অবস্থায় ফখরুদ্দীনের আমলে রহস্যজনক কারণে আপিল তুলে নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান হাসান মসহুদকে ধরে উপসহকারী পরিচালক পদে চাকরি জোটান হারুন। নিয়োগের মাত্র দুইদিন পর এই মামলার অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় হারুনকে। তার আগে দুদকের আরেক অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নূর আহমেদ একই বিষয়ে ২০০৮ সালের ১১ জুন ‘অনুসন্ধানে কিছু পাওয়া যায়নি’ মর্মে রিপোর্ট জমা দেন। অথচ শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে হারুনকে দু’টি প্রমোশন দিয়ে সহকারী পরিচালক ও উপপরিচালক করেন- কেবলমাত্র খালেদা জিয়ার নামে বানোয়াট মামলার কাগজপত্র বানানোর শর্তে। মোটকথা, ২০০৫ সালে খালেদা জিয়ার শাসনামলে চাকরিচ্যুত হওয়ার কারণে হারুন বিএনপির ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন, আর সেটা ব্যবহার করেই এই বানোয়াট মামলার যত কারুকাজ করেছে শেখ হাসিনার সরকার।

৫) হারুন অর রশিদ আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে দাবি করেন, ১৯৯১-১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বেগম জিয়া নাকি ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল’ নামে চলতি হিসাব খুলেন! আসলে এই বক্তব্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, রমনা করপোরেট শাখার হিসাব নম্বর ৫৪১৬ খোলার ফরমে খালেদা জিয়ার কোনো স্বাক্ষর নাই। অথবা অনুদানের অর্ধেক টাকা বাগেরহাটে জিয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্ট কিংবা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে টাকা বিলি বণ্টনের ক্ষেত্রে বা কোনো চেকে কোনো ফাইলেও খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর নাই। ঐ ট্রাস্ট ফান্ডের ট্রাস্টি ছিলেন মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান। ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল’- এই নামে কোনো তহবিলের অস্তিত্বও নাই।

৬) জিয়া এতিমখানার জন্য কুয়েতের আমীর থেকে পাওয়া ঐ টাকার অর্ধেক গেছে বাগেরহাটে জিয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্টের এতিমখানা নির্মাণে। এই অংশ নিয়ে কোনো মামলা নাই, অভিযোগও নাই। তার মানে এটা পরিস্কার যে, পুরো অনুদানের টাকা কোনো সরকারি অর্থ ছিল না। যদি সেটা থাকতো, তাহলে বাগেরহাট নিয়েও মামলা হতো। তা হয়নি। আর বগুড়ার অংশের টাকা এখনও ব্যাংকে পড়ে আছে। কাজেই মামলার কোনো উপাদান নেই। নিশ্চিতভাবেই এই মামলায় বেগম খালেদা জিয়া বেকসুর খালাস পাওয়ার কথা।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সাথে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই। কোথাও কোনো সই-সাক্ষর কিছুই নেই। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় এবং সাংবাদিক সম্মেলন করে শত শত বার বলে যাচ্ছেন- এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন খালেদা জিয়া! তাঁর মন্ত্রীরা রায়ের আগেই বলে যাচ্ছেন- খালেদা জিয়ার জেল হবে। দুদকের কৌসুলি মোশারফ কাজল দাবি করেছেন - খালেদা জিয়ার যাবজ্জীবন কারাদন্ড! এই হলো বিচারের নমুনা!!

কিন্তু কেনো সাজা দিবেন? কোন অপরাধে? খালেদা জিয়া কি ১ টাকাও মেরে খেয়েছেন? নাকি তিনি তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের তিন চতুর্থাংশ জনগণের সমর্থনপুষ্ট সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী হওয়া তাঁর অপরাধে? যেকোনো সময় নির্বাচন হলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, তাঁকে কোনোভাবে ঠেকানো যাবে না-- তাই বানোয়াট মামলায় ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে আদালতের উপর প্রভাব খাটিয়ে খালেদা জিয়ার নামে বানোয়াট শাস্তি ঘোষণার কথা আগাম ঘোষণা দিচ্ছেন অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা। ভুয়া মামলায় সাজা দিয়ে তাঁকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চান শেখ হাসিনা- এটাই গল্পের মুল পয়েন্ট।

খালেদা জিয়ার উপর এই আক্রমণ কিন্তু দেশ ধংসের শেষ আলামত। যদি সরকার এটা করে পেয়ে যায়, তবে এই দেশে আর গণতন্ত্র ফেরানো যাবে না, থাকবে না কোনো মানবাধিকার, ফলে এই দেশে আর কেউ বাস করতে পারবেন না। এতদিন ধরে রাজনৈতিক হত্যা, রাষ্ট্রীয় গুম ও অপহরণ, মিথ্যা মামলা, বানানো জঙ্গিবাদ- এসব দেখে আসছে জনগণ। সবাই ভেবেছে, সামনে যেকোনো একটা নির্বাচন হলে অবস্থার পরিবর্তন হবে। কিন্তু সেটা পেতে হলে ৮ তারিখের গণতন্ত্রের এই শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কেননা বিনাভোটের অবৈধ সরকার টের পেয়ে গেছে, সামনে নির্বাচন হলে তাদের নদী পাড়ি দেওয়ার সুযোগ নেই। অন্য সব জরিপের কথা বাদ, কেবল ছাত্রলীগের জরিপেই উঠে এসেছে আ’লীগ ৪০ এর উপরে সীট পাবে না। এখন তাই মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে ৫ জানুয়ারির মত আরেকটা ভুয়া ইলেকশন করে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার মতলব এটেছেন তারা।

বাংলাদেশের ইতিহাসে কোথাও কখনও একটি মামলাকে এভাবে চালনা করা হয়নি- দেখে মনে হচ্ছে কাউকে ফাঁসাতেই এত আয়োজন! রেকর্ড হয়ে রইল!!! আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বেগম খালেদা জিয়া কোর্টে গেছেন নিয়মিতভাবে, এমনকি নিজের মায়ের ও ছেলের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনেও! বিনা ভোটের সরকারের এমনই হম্বিতম্বি ও বাগাড়ম্বর যে, খালেদা জিয়া বুঝি কি বড় বড় দুর্নীতি করেছেন? অথচ শেখ হাসিনার নামে ১৫টি দুর্নীতির মামলা ও চেকে ঘুস নেয়ার মামলা তুলে নেয়া হয়েছে বা ধংস করা হয়েছে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে।
১/১১ এর সময় আওয়ামীলীগের নেতাদের মামলার রায়ে হওয়া শাস্তির অল্প কিছু নমুনা-
২০০৭ ও ২০০৮ সালে ৭৫টি মামলার রায়ে রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন ব্যক্তির দন্ড হয়। এরমধ্ আওয়ামী লীগের বর্তমান মন্ত্রী, এমপি, মন্ত্রী-পত্নীসহ ১৯ জনের সর্বোচ্চ ১০ থেকে সর্বনিম্ন ৩ বছর সাজা হয়েছে। তবে তারা সবাই এখন মুক্ত এবং সরকারে সক্রিয়।
রায়ে বর্তমান এমপি শামীম ওসমান ও সাবেক এমপি জয়নাল হাজারীর ৩ বছর, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ১০ বছর, বর্তমান মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ১০ বছর ও স্ত্রী লায়লা আরজুমান বানুর ৩ বছর, বর্তমান মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর ৭ বছর ও তার স্ত্রী তাসমিমা হোসেনের ৫ বছর, বর্তমান মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ৭ বছর ও তাঁর ছেলে সাজেদুল হক চৌধুরী দিপুর ৩ বছর, বর্তমান এমপি শেখ হেলাল উদ্দিনের ১০ বছর ও তাঁর স্ত্রী রূপা চৌধুরীর ৩ বছর, সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ১০ বছর, এমপি ডা. এইচবিএম ইকবালের ১০ বছর, এমপি এসএম মোস্তফা রশিদী সুজার ১০ বছর ও তার স্ত্রী খোদেজা রশিদী সুজার ৩ বছর, সাবেক এমপি মুফতি শহীদুল ইসলামের ১০ বছর, এমপি হাজী মো. সেলিমের ১০ বছর, সাবেক এমপি হাজী মকবুল হোসেনের ১০ বছর ও তাঁর স্ত্রী গোলাম ফাতেমা তাহেরা খাতুনের ৩ বছর সাজা হয়। ক্ষমতায় আসার পর তারা একে একে মুক্তি নিয়ে নেন ক্ষমতার জোরে!

অথচ খালেদা জিয়ার মামলা দু’টো মামলাই বানোয়াট কাগজ দিয়ে কেবল রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে করা। এ অবস্থায়, আপনার করণীয় ঠিক করার আগে মামলাটি সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া প্রয়োজন।
বিএনপি, ২০ দলীয় জোট এবং দেশের মানুষকে এটা বুঝতে হবে- এটা ব্যক্তি খালেদা জিয়ার ওপরে আক্রমণ নয়, দেশের গণতন্ত্রের উপর হামলা। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করলে এই ভুয়া মামলা বাতাসে উড়ে যাবে।

তথ্য সূত্র : Click This Link



সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭
১০টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×