হাই কমিশন অফিসে যারা কাজ করেন উনারা খুশিমতো আচার আচরণ করেন। অসহায়ের মত তাকিয়ে দেখতে হয়, সেবা গ্রহণের জন্য গেলে মনে হয় দয়া ভিক্ষার জন্য কোনো রাজদরবারে গিয়েছি।
যাক, ভিডও দেখে আমারও মাথা গরম হয়েছিল। বকাবকি লাফালাফি দেখে মন চেয়েছিল হাতের কাপ ছুড়ে মারি!
এমন কয়েকজনের কারণ সকলকে বকলে অনেকের মন খারাপ হবে। কিছুলোক সকলখানে আছে, ওদের কথা শুনলে থাপড়াতে মন চায়। আমি যখন দেশে যাই তখন অসহায়ের মত তাকিয়ে থাকি। অফিসারদের হাবভাবে ভয়ত্রস্ত হই।
দেশে পৌঁছে যারা বাড়াবাড়ি করে ওদেরকে কেউ পছন্দ করে না। একজন যে বকা দিয়েছে সেই বকার জন্য তার জেল হওয়া উচিৎ, আপনারা কী বলেন?
নবাবজাদা হলো উচ্চস্তরের গালি অথবা কটু বাক্য। কাউকে হেনস্তা করার জন্য এই কটু বাক্য ব্যবহার করা হয়। উচ্চপদস্থ হয়ে এই কটু বাক্য ব্যবহার করা ঠিক হয়নি।
রেমিটেন্স নিয়ে বকাবকি না করে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে, প্রফেশনাল হতে হবে। মাথা মোটাদেরকে কেউ পছন্দ করে না।
করোনাভাইরাস নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে রাশিয়াতে ৫ বছরের জেল। কোরিয়াতে গুলি করে হত্যা করে।
এই ভাইরাস দেশে ছড়ালে সর্বনাশ হবে! সত্যি বলছি আমার মাথায় কুলাচ্ছেনা।
দেশে পৌঁছে এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়েছিল কেমনে? এই বিচার আগে করতে হবে। এক থেকে শুরু করে দুই গুনলে দেশ নিরাপদ হবে। যারা ওদেরকে বেরোতে সাহায্য করেছে তাদেরকে জরিমানা করে ওদের সাথে এক কামরায় রাখলে আগামীতে এমন কাজ করা থেকে অন্যরা বিরত থাকবে।
এখন সকলকে সচেতন হতে হবে নাইলে কী হবে কেউ জানে না। সত্যি ভয় হচ্ছে। আমি টেক্সি চালাই, মানে কখন আক্রান্ত হব জানি না। আমি বুড়ো মানুষ এবং দুর্বল, আমার স্ত্রীও দুর্বল। এক ডাক্তারকে কোথাও নিয়ে যাচ্ছিলাম পৌঁছার পর জিজ্ঞেস করেছিলাম আক্রান্ত হলে কী হবে, আমিতো ভয়ে মরে যাচ্ছি। ডাক্তার বলেছিল, তেমন কিছু হবে না তবে দুই সপ্তা কষ্টভোগ করতে হবে, এই কষ্টভোগ উপভোগ্য নয়। জোয়ানরা এবং কর্মঠরা ঠিকে থাকবে, দূর্বল এবং বৃদ্ধদের জন্য আশঙ্কা বেশি।
মরতে হবে জেনেও মানুষ বাঁচতে শিখেছে, মৃত্যুর পর নিথর হবে জেনেও সম্পদ এবং শক্তির জন্য মরিয়া হয়েছে। করুণাময় করুণা করো, ভয়ে অন্তরাত্মা সন্ত্রস্ত হয়েছে। স্বত্ব মো.আ.হা
সকলের মঙ্গল হোক।
ছবি নেট থেকে
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৭