গতকাল ছোট মেয়ের সাইকেল সারাতে নিয়ে গেছিলাম। ৩০ বছর আগে এই কাজটা আমার নিয়মিত করতে হতো। সাইকেল ছিলো তখন আমার বাড়তি অঙ্গ। মাঠ-ঘাট-জঙ্গল পেরিয়ে নতুন পৃথিবী আবিস্কার করি প্রতিদিন। মাইলের পরে মাইল। আর এখন আমার মেয়ে সাইকেল চালায় ঘরে।
সাইকেলমিস্ত্রি চাইনিজ সাইকেল দেখেই বুঝে গেছে সমস্যা কোথায়। বললো দেশের সাইকেল অনেক ভালো, কেন যে চাইনিজ কিনলাম! ঢাকার রাস্তায় সাইকেল চালানোর চিন্তা করাও আমার কাছে দু:স্বপ্ন। কিন্তু লোকজন প্রচুর সাইকেল চালাচ্ছে। দেশে সাইকেল তৈরী হচ্ছে ভালো ভালো ব্রাণ্ডের। একটা পার্টস কিনতে গেলাম এমন একটা দোকানে, যেখানে প্রচুর দেশী সাইকেল বিক্রির জন্য সাজিয়ে রেখেছে। - ঝকঝকে, তকতকে - আধুনিক।
একটা সাইকেল কিনতে ইচ্ছেও হলো। পার্টস কিনে সাইকেল মিস্ত্রির ডেরায় এলাম। সাইকেল আগে আমি নিজেই সারতে পারতাম। ত্রিশ বছর পরে দেখলাম সবকিছু আগের মতই আছে। টুলস গুলো। মিস্ত্রিরাও আগের মতই। একই তাদের জীবনমান।
সাইকেল একটা নিরাপদ বাহন - পরিবেশের জন্য তো বটেই। স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। আমি একটা সাইকেল কিনবো কিনা সত্যি সত্যি ভাবছি। যান্ত্রিক পরিবহনের উপরে আমাদের নির্ভরতা যত কমানো যায় - পৃথিবীর জন্য ততই মঙ্গলের।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৫